মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৭

অশ্বমেধ যজ্ঞ শঙ্কা সমাধান, নাকি শঙ্কা বৃদ্ধি ?

উগ্রবাদি হিন্দু ওয়েবসাইট “অগ্নিবীর” আমার লেখা নোট অশ্বমেধ যজ্ঞ কে রিফিউট করার হাস্যকর চেষ্টা করেছে। নোটের শুরুতেই সনাতনী হিন্দু অর্থাৎ যারা আর্য সমাজের না তাদের প্রতি অগ্নিবীরের খোটাটা নজরে আসল। উগ্রবাদীর বক্তব্য ছিল আমার পোষ্ট এর জবাব অন্য সনাতনীরা কেন দিচ্ছে না ? মূলত সনাতনী অন্য ভাইয়েরা খুব ভাল করেই শাস্ত্রের জ্ঞান রাখে, তাই আমি যখন পয়েন্ট বাই পয়েন্ট শাস্ত্র থেকে রেফারেন্স দিয়েছি তারা এটা মেনে নিয়েছে। কারন এরা অগ্নিবীরর মত শাস্ত্রবিমুখ নয়। আর অশ্বমেধযজ্ঞ নিয়ে ফানাটিক সাইট অগ্নিবীরের লোকেরা যে পুর্বের পোষ্টে তুমুল মিথ্যাচার করেছে তা আমি পুর্বের নোটে প্রমান করেছি। যাক গে উগ্রবাদি মিথ্যাবাদীর আমাকে রিফিউট করা নোটের পয়েন্ট গুলো পর্যবেক্ষন করা যাক।

উগ্রবাদি অগ্নিবীর লেখে,
মূর্খ জিহাদি লিখেছে, “তিনি মুলত শাস্ত্রীয় বচনের বিরুদ্ধে গিয়েই তিনি বেদের অনুবাদ হতে অশ্বমেধ যজ্ঞকে বাদ দিয়েছেন।” হাহাহা, মহর্ষি নাকি বেদের অনুবাদ থেকেই অশ্বমেধ যজ্ঞকে বাদ দিয়েছে। এটা কি করে সম্ভব? ঋগবেদ ১/১৬২-১৬৩ এবং যজুর্বেদ ২২-২৫তম অধ্যায় অশ্বমেধ প্রকরণ নামে পরিচিত। মহর্ষি অশ্বমেধ প্রকরণ তো দূরে থাক একটি মন্ত্রেরও অর্থ বাদ দেন নি। )
আমার জবাবঃ
কথার একটি সামান্য ভুলকে এদের তিলকে তাল বানানোর কোন জুড়ি নেই। আমি বলেছিলাম “তিনি মুলত শাস্ত্রীয় বচনের বিরুদ্ধে গিয়েই তিনি বেদের অনুবাদ হতে অশ্বমেধ যজ্ঞকে বাদ দিয়েছেন।” এখানে অশ্বমেধ যজ্ঞকে বাদ দিয়েছেন বলতে বুঝিয়েছি সেই রানীকে ঘোড়ার সাথে শয়ন , ঘোড়া হত্যা, ও তারপর ঘোড়ার লিংগ মর্দনকে। এটি না বোঝার কিছু নেই। কারন প্রথম লাইনেই আমি লিখেছ, “স্বামী দয়ানন্দ স্বরস্বতি কোন শাস্ত্রীয় বচনের দ্বারা কারো অনুবাদকে বাদ দেয় নি।” তাই এখানে আমার মুল বক্তব্য না বোঝার কিছু নেই।
উগ্রবাদির লেখাঃ
বরং তিনি (স্বামী দয়ানন্দ) অশ্বমেধ প্রকরণের যথার্থ আধ্যাত্মিক অনুবাদ করেছেন যার প্রশংসায় পঞ্চমুখ গায়ত্রী পরিবারের পণ্ডিত রাম শর্মা, পণ্ডিত ভগবতী শর্মা, অরবিন্দ আশ্রম এবং স্বয়ং ঋষি অরবিন্দ। (দ্রষ্টব্য: যজুর্বেদ হিন্দি অনুবাদ, ভূমিকা পৃষ্ঠা ৬-১৩, গায়ত্রী পরিবার এবং ঋষি অরবিন্দ লিখিত “ Dayananda and Vedas”
আমার জবাবঃ
মজার ব্যাপার হচ্ছে এখানে অগ্নিবীর যাদের নাম বলল আমি যদি তাদের বেদ অনুবাদ অগ্নিবীরকে এনে দেই, অগ্নিবির কি তা মানবে ? যেমন পন্ডিত রাম শর্মা যিনি গায়েত্রী পরিবারের তার করা বেদ এর অনুবাদে কিন্ত স্পষ্টভাবে পশু বলির কথা আছে ? এখন ফানাটিক অগ্নিবার কি তা মানবে ?
আর অগ্নিবীরের কাছে প্রশ্ন রাম শর্মা বা অরবিন্দ বড় বৈদিক পন্ডিত নাকি স্বামী বিবেকানন্দ ? যে ম্যাক্স মুলার ও গ্রিফিন্থএর অনুবাদকে অগ্নিবীর তুচ্ছতাচ্ছুল্য করে আসুন দেখি তাদের অনুবাদ প্রসংগে স্বামী বিবেকানন্দ কি বলেছেন,
প্রথমেই আচার্য সায়ন যার অনুবাদও ফ্যানাটিক অগ্নিবীর মানে না তার প্রসংগে স্বামীজি কি বলেছেন, তা দেখি,
Sometimes while explaining the arguments of Sayana to establish the eternity of the Vedas, Swamiji was praising very highly the commentator’s wonderful ingenuity; sometimes again while arguing out the deeper significance of the doctrine, he was putting forward a difference in view and indulging in an innocent squib at Sayana.
ম্যাক্স মুলার সম্পর্কে স্বামী বিবেকানন্দের বক্তব্যঃ
“do you know, my impression is that it is Sayana who is born again as Max Müller to revive his own commentary on the Vedas? “
তিনি আরো বলেন,
after I had seen Max Müller. Even here in this country, you don’t find a scholar so persevering, and so firmly grounded in the Vedas and the Vedanta.
[ Complete work of Swami Vivekananda, vol 6]

সরাসরি পড়ুন,
http://www.ramakrishnavivekananda.info/vivekananda/volume_6/conversations_and_dialogues/ix_sharat_chakravarty.htm
ম্যাক্স মুলার সম্পর্কে স্বামী বিবেকানন্দের এরকম বক্তব্যের পরো কিভাবে অনলাইন স্বামীজী অগ্নিবীর ম্যাক্স মুলারকে গালি দেয় ? এইসব ছালহীন অনলাইন উগ্র হিন্দুরা কি বেদ স্বামী বিবেকানন্দের থেকেও বেশী বুঝে ?
এরপর অগ্নিবীর “অধ্বর” শব্দের অর্থ চন্দ্রশেখর উপাধ্যায় নামক একজন লেখকের বই বৈদিক শব্দগ্রন্থ থেকে দেখানোর চেষ্টা করল যা হাস্যকর ছাড়া আরকি ? একটি শব্দের মুলত অনেক অর্থ থাকতে পারে। এক্ষত্রে সঠিক অর্থটি বাছাই করা হবে অবশ্যই প্রাসংগিক শাস্ত্র হতে। আর আমি যযুরবেদের প্রাসংগিক শাস্ত্র ও শাখা হচ্ছে শতপথ ব্রাক্ষন যাকে বৈদিক যজ্ঞের ব্যাখা বলা হয়, সেখান থেকে অধ্বর এর অর্থ দেখালাম তবুও ফানাটিকরা মানছে না। এদেরকে আর কি বলা যায় ? শতপথ ব্রাক্ষনের ১/৪/১/৪০ এ, এখানে বলা আছে, যজ্ঞের সময় যজ্ঞকারী ব্যাক্তি ক্ষতিসাধিত হতে পারে না। এজন্যই এর নাম অধ্বর, এখানে পশু হত্যা হবে না এই সেন্সে অধ্বর এমন কোন প্রকারের কথা নাই কারন বেদ খুব স্পষ্টভাবে যজ্ঞে পশু হত্যার বিধান দিয়েছে। যা শুধু আর্য সমাজীরা ছাড়া সকল স্কলাররাই মানে। যেমন অগ্নিবীর ফ্যানাটিক উপরে যে চারজন বেদ স্কলারদের নাম বল তাদের থেকেই একটা প্রমান দিচ্ছি, যেমন গায়েত্রী পরিবারর শ্রীরাম শর্মা , দেখুন তিনি ঋগ্বেদ ১০/২৭/১৭ এ কি অনুবাদ করেছেন,
Sri ram sharma
“বুড়ো নে বলশালী মেষকো পরিপাক কিয়া”
এখানে मेष (মেষ)=ভেড়া
पचत(পাচত)= রান্না
দেখুন গায়েত্রী পরিবারের অনুবাদ এবং বেদের মুল সংস্কৃততেও একেবারে স্পষ্ট আছে। এরপরো অগ্নিবীর নামধারীরা এরকম মিথ্যাচার করে কিভাবে যে যজ্ঞে পশু বলি নাই ?
এরপর অগ্নিবীর জোকার যা করল তা হচ্ছে সবচেয়ে হাস্যকর। সে মহাভারত দিয়ে প্রমান দিতে চাইল যে যজ্ঞে পশু বলি নাকি মানা। চিন্তা করুন যেখানে আমি মূল শাস্ত্র ধরে ধরে প্রমান দিচ্ছি সেখানে সে প্রমান দিচ্ছে মহাভারত বা উপন্যাস, গাথা থেকে ? আবার রেফারেন্স দেয়ার পরে শেষে লিখল,
“তাই এটা সহজেই অনুমান করা যায় যেসব গ্রন্থে যজ্ঞে পশুবলির আয়োজন রয়েছে সে অংশ প্রক্ষিপ্ত বা বিকৃত”
তারমানে কি ? অগ্নিবীরের কাছে প্রধান গ্রন্থ মহাভারত, যে সে এর আধারে সব গ্রন্থকে প্রক্ষিপ্ত বলল ? তাহলে উপরে যে বেদ থেকে যে পশু বলির রেফারেন্স দিলাম তারমানে বেদও প্রক্ষিপ্ত ? :O 
যতদুর জানি আর্য সমাজীরা মহাভারত এর মত রুপকথা মানে না। তাহলে অগ্নিবীর এটা থেকে কেন দিল রেফারেন্স ? এটা পিক এন্ড চুজের কি সর্বোচ্চ সীমা হয়ে গেল না ? এখন যদি আমি এই মহাভারত থেকেই প্রমান দেই যে যজ্ঞে পশু বলির কথাও আছে, তাহলে এই ফ্যানাটিক কি করবে ? যেমন
মহাভারত খন্ড ৩, বনপর্ব, নীচে কিশোরী মোহোন গাংগুলীর অনুবাদ
mahavarat 3
আরো দেখুন গরু উতসর্গের কথাও আছে একি বন পর্বে,
mahavarata khnda 3 bana parba
আর যে অশ্বমেধযজ্ঞ নিয়ে কথা হচ্ছে, অগ্নিবীর ফ্যানাটিক কি জানে না যে মহাভারতে এই অশ্বমেধ যজ্ঞের কথাও আছে যেখানে ঘোড়াকে কেটে কুটে খাওয়ার কথাও আছে ? মহাভারত অশ্বমেধ পর্ব, সেকশন ৮৯, অনুবাদ কিশোরী মোহন গাংগুলী
Aswamedha
অগ্নিবীর নামক উগ্র হিন্দুরা যে মিথ্যাচারের বেসাতী খুলেছে অনলাইনে হিন্দুদের ধোকা দিতে, এ ব্যাপারে কি কারো কোন সন্দেহ আছে ?
এরপর অগ্নিবীর আমার দেয়া বেদের সংস্কৃত মুল অংশকে রিফিউট করার চেষ্টা করল, আসুন দেখি সে কি করল।
সে এখানে রেতোধা কে লিখল পরাক্রমশালী এবং রেতোকে লিখল পরাক্রম।
আমি মুল সংস্কৃত ডিকশানারী থেকে স্ক্রীনশট দিচ্ছি। রেতো মানে কি ?
Dictionary
[The Student’s English-Sanskrit Dictionary, page 384]
অর্থাৎ রেতো মানে হচ্ছে সিমেন বা বীর্য, রেতোধা মানে হচ্ছে গর্ভাধারন আর দধাতু মানে ধারন করা। অর্থাৎ এই মন্ত্রে খুব স্পষ্টভাবে বলা বীর্য ধারনপুর্বক গর্ভধারন এর কথা। কার বীর্য ? ঘোড়ার বীর্য । এরপুর্বে লাইনেই আছে বৃষ বাজী। এখানে অগ্নিবীর বৃষা কে বলবান অনুবাদ করলেও বাজীকে ঘোড়া অনুবাদ না করে , করেছে বীরপুরুষ। অথচ বাজী অর্থ যে ঘোড়া এ কথা কে না জানে ? ক্লাস ফাইভের ব্যাকারন বইটা চেক করলেও পাওয়া যাবে।
এরপর অগ্নিবীর ইনিয়ে বিনিয়ে বলল বৈদিক শব্দ বোঝা কত কঠিন তা । কিন্তু সে কোন বৈদিক শাস্ত্র হতে রেত এর অর্থের রেফারেন্স দেখালো না।
আসুন দেখি তৈতরীয় সংহিতা বা কৃষ্ণা যযুরবেদ এ কি আছে,
(উল্লেখ্য কৃষ্ণা যযুরবেদ হচ্ছে যযুরবেদ এরই আরেক অংশ যেটা আর্য সমাজীরা মানে না। আবার দক্ষিন ভারতের ব্রাক্ষনরা যযুরবেদ হিসেবে এটাকেই মানে। এখানে বেদ এর অথেনটিসিটি নিয়ে খোদ হিন্দুদের মধ্যেই বিভিন্ন মত প্রতীয়মান)
কৃষ্ণা যযুরবেদ ৭/৪/১৯ এ আছে,আমি মূল সংস্কৃত দিচ্ছি ও নীচে স্ক্রীনশট
সংস্কৃত বিশেষজ্ঞরাই যাচাই করুক,
krishna yajurveda
এবার উগ্রবাদি লিখল,
গোবধ যেমন বেদে নিষিদ্ধ তেমনি ঘোড়া হত্যা করাও বেদে নিষিদ্ধ। অথর্ববেদের ৮/৩/১৫ তে বলা আছে,”
oooooooooooooo
আমার জবাবঃ
এই ফ্যানাটিক বোধহয় জীবনেও নিজের ধর্মগ্রন্থ ঠিকমত পড়ে নাই। অথবা পড়েও মিথ্যাচার করছে। সে যে অথর্ববেদের ৮/৩/১৫ এর রেফারেন্স দিল যে এখানে ঘোড়ার মাংস ও গরুর মাংস খাওয়া নিশেধ সে কি এই সুক্তের কনটেক্সট আদৌ পড়েছে ? এই শুক্তে বহিঃশত্রু হতে দেশ আক্রমনের প্রেক্ষিতে অগ্নির কাছ প্রার্থনা করা হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে মন্ত্রগুলা পড়লেই তা দেখা যায়, যেমন ৭,৮,৯,১০ ও ১৪ নাম্বার মন্ত্রগুলা দেখলেই তা পরিস্কার হয়। ফ্যানাটিক যে ১৫ নাম্বার মন্ত্র দিল, ঠিক সেখানেই খেয়াল করুন স্পষ্টভাবে গরুর দুধ গ্রহনকারীর কথাও আছে এবং তাকেও একি শাস্তি দেয়ার কথা আছে। তার মানে কি গরুর দুধ খাওয়াও বেদের নিষেধ ? এটি আরো স্পষ্ট আছে ১৭ নাম্বার মন্ত্রে, এখানে বলা গরুর দুধ যে খায় তার বুকে বর্শা মারার কথা।
ppppppppppppppp
pppppppppp
এখন এই মন্ত্রগুলোর অর্থ সার্বজনীনভাবে নিলে ফানাটিক কি বলবে যে বেদ অনুসারে দুধ খাওয়াও মানা ? তাহলে গরুকে মায়ের আসনে বসায় তারা যে  যুক্তিত্‌  যে , শিশু গরুর দুধ খায় এজন্য গরু মা এর মত, সেই যুক্তিই তো এখানেই ভুপাতিত হয়ে যায়।কারন সেক্ষেত্রে তো শিশু তো দুধই খেতে পারবে না এবং প্রত্যেক শিশু ও তাদের বাবা মা বেদ অনুসারে খারাপ দুশ্চরিত্র ও হত্যার যোগ্য বলে গন্য হবে। এখন বেদ সম্পর্কে অজ্ঞ এসব ফানাটিক হিন্দুরা কি বলবে ?
উগ্রবাদি আবার লিখল, যেখানে আমি বেদ থেকে পুরান মানার কথা বলেছি,
“ব্রাহ্মণ গ্রন্থেরই অপর নাম ইতিহাস, পুরাণ, কল্প, গাথা ও নারাশংসী।” অর্থাৎ বেদে উল্লিখিত পুরাণ হচ্ছে ব্রাক্ষণ গ্রন্থ।
এখন তাহলে সেই বেদের প্রেসক্রাইব করা গ্রন্থই অর্থাৎ ব্রাক্ষন থেকেই যখন আমি রেফারেন্স দিলাম, সে লিখল,
যেখানে পশুহত্যাই যজ্ঞের মূলনীতি বিরুদ্ধ সেখানে শতপথের এই বক্তব্যকে প্রক্ষীপ্ত হিসেবেই বিবেচনা করা যায়। 
চিন্তা করুন তাহলে সে এবার খোদ বেদের প্রেস্ক্রাইব করা গ্রন্থকেই মানতে অস্বীকার করছে। আর অজস্র রেফারেন্স দিয়েই আমি দেখিয়েছি যে যজ্ঞে বেদ অনুসারে পশূ হত্যার বিধান আছে। উপরে আচার্য শ্রী রাম শর্মার বেদ অনুবাদ থেকেও দেখিয়েছি। এরপরো এসব ফ্যানাটিকরা মানবে না।
এরপর ফ্যানাটিক লিখল,
তারপরেও হরিবংশ যে প্রচলিত ১৮ পুরাণ, ১৮ উপ পুরাণের অন্তর্গত নয় তা জিহাদীর গুরু মুসাফিক তাকে জানায় নি।
অগ্নিবীরকে জিজ্ঞেস করা হল আমার পুরা নোটের কোথায় আমি লিখেছি হরিবংশ পুরান ১৮ পুরানের অন্তর্গত ? সে একে উপপুরাণ বলে এর গুরুত্ত হ্রাস করার চেষ্টা করছে। অথচ উপপুরানো হিন্দু ধর্মালম্বিদের কাছে সমানই গুরুত্তপুর্ন। যেমন অন্তিম অবতারের বর্ননা দেয়া কল্কি পুরান হচ্ছে একটি উপপুরান। ইস্কনী, বৈষ্ণবীদের কাছে প্রভুত সমাদৃত নৃসংহপুরানও হচ্ছে একটি উপপুরাণ।
এরপর রামায়ন থেকে যেখানে অশ্বমেধ যজ্ঞের বর্ননা দিলাম সেখানে লিখল, যে সকল রামায়ন গবেষকই এই মত দিয়েছেন বাল কান্ড ও উত্তর কান্ড রামায়নে প্রক্ষিপ্ত। অথচ সে এখন রামায়ন গবেষকেরও হাওয়ালা দিল না। এই উগ্রবীরদের কাছে নিজেদের মতের বিরুদ্ধে শাস্ত্রের কোন কথা গেলেই তা প্রক্ষিপ্ত। এখন উপরে তো মহাভারত থেকেও দিলাম, এখন সেটাকেও এখন নিক্ষিপ্ত করবে।
আর অগ্নিবীরকে যদি আমি এবার ৬ বেদাংগের একটি হতে অশ্বমেধ যজ্ঞের বর্ননা দেই তাহলে এই ফ্যানাটিক কি করবে ?
Apastamba Srauta Sutra যেটি ৬ বেদাংগের একটি “কল্প” এর অংশ, সেখানেও অশ্বমেধ এর এরকম বর্ননা আছে,
২০/১৭/১২-১৮
the Chief Queen recites some Slokas (mentioned in Yajurved) and then all the wives of the king circumambulates the horse, fan it, tie their hairs on the right side of their head. Ramayana tells us that queen Kaushalya the mother of Hindu god Ram had spent a night with the horse.

1 টি মন্তব্য: