শনিবার, ১ এপ্রিল, ২০১৭

অথর্ববেদ কুন্তাপ সুক্তে মুহাম্মদ সঃ এর ভবিষ্যদ্বানী ও অনলাইন হিন্দুদের কপটতা

মজার ব্যপার হচ্ছে আমি যখনই বেদ নিয়ে কিছু লেখি, তখনই বেদ সম্পর্কে অজ্ঞ সমীর নামক নীচু জাতের এক হিন্দু আমার লেখার রিবিউটাল লিখতে বসে। অনেক আগে একটা নোট লিখেছিলাম, বেদ এ মুহাম্মদ সঃ এর আলেখ্য নিয়ে। নোট লিংক,এখানে ক্লিক করুন
মুর্খটা এটার জবাব লিখেছে তার একটা সাইটে। আসলে নীচু জাতের জন্য তো বেদ পাঠেরই অনুমতি নেই, যজ্ঞেও অনুমতি নেই। আর উলটো এই কমজাতটা আমাকে বলে আমি নাকি বেদ সম্পর্কে অজ্ঞ। যদিও আমি নিজে কিছু বলিনা বরং বৈদিক পন্ডিতরা যা বলে গেছেন তা শুধু তুলে ধরি মাত্র। আর কে বেদ সম্পর্কে অজ্ঞ তা এই নোটেই পুরোপুরি পরিস্কার হয়ে যাবে। উপরন্তু নিজেকে বেদ জ্ঞানী দাবিদার এই অজ্ঞকে তার বেদের জ্ঞান সম্পর্কে যেকোন একটি বৈদিক প্রতিষ্টান হতে সার্টিফিকেট পেশ করতে বলা হল। প্রকৃতপক্ষে এই গাধা যদি বেদজ্ঞানী হত তবে কি ওকে মন্দিরে যেয়ে শীবের আটি পুজা করতে হত? গাধাটার জানত ও বুঝত যে, শীব বেদ অনুসারে পরমাত্তার একটি গুনবাচক নাম ছাড়া কিছুই নয়। যাই হোক, দেখি ও কি লিখেছে।

মুর্খটা লিখে,

ইদানিং অনলাইনের জগতে কিছু জেহদি মুসলমানের আর্বিভাব হয়েছে যারা বেদ সম্বন্ধে অজ্ঞ এবং মূর্খ বিশেষ। এরা বেদে সম্বন্ধে কোনো প্রাথমিক জ্ঞান অর্জন না করে ইন্টারনেট থেকে কতিপয় বেদের ই-বুক ডাউনলোড করে, হিন্দুদের মধ্যে বেদ সম্বন্ধে মিথ্যাচার করে, সাধারণ হিন্দুদের ব্রেণ ওয়াস করে তাদের দ্বিতীয় মুসলমান বানানোর প্ল্যানে নেমেছে। তারা সরাসরি তাদের এইসব মন্তব্য গুলো কে আর্য সমাজের কাছে পরীক্ষার জন্য রাখতে পারবে না। নিজের কু-বুদ্ধি খাটিয়ে বেদের মূল মন্তব্য কে ভেঙেচুড়ে, বিকৃতি করে, কতিপয় ত্রুটিপূর্ণ বেদের সাহায্য নিয়ে তাদের এইসব মন্তব্য গুলোকে এখন ইন্টারনেটে প্রচার করতে নেমেছে। আজ তাদেরই একটি মন্তব্যের বিশ্লেষণ করে তার শুদ্ধতা যাচাই করা হবে ও তাদের মূর্খামী গুলো তুলে ধরা হবে মাত্র। এটা জাস্ট একটা বিশ্লেষণ মূলক নোট কোনো লিখিত ডিবেট নয়, নোটের উদ্দেশ্য কেবলমাত্র কাটমোল্লাদের দাবীর ত্রুটিগুলোকে তুলে ধরা এবং তার সমাধান করা।

 আমার জবাবঃ
আমার এই বক্তব্যকে আমি আর্য সমাজের কাছে তুলে ধরতে পারব না ? হাস্যকর, বছর দেড়েক আগেও মহেন্দ্র পাল আর্য এর সাথে আমার ফেসবুকে ডিবেট হয়েছে, আমাকে ইসলাম বিষয়ক প্রশ্নে আটকাতে না পেরে আমাকে ব্লক দিয়েছিল। পরবর্তিতে আমি তাকে স্কাইপ ডিবেটের আমন্ত্রন জানালে সে কোন সাড়া দেয়নি। ভারতে গত সপ্তাহে আমার এক ভাই বি.আর রুহুল আমিন মহেন্দ্র পালের সাথে বহাসে বসতে চাইলে সে তা রিজেক্ট করে দেয়, সে নাকি শুধু জাকির নায়েকের সাথে ডিবেটে বসবে, হাস্যকর। ফেমাস হবার ধান্দা আরকি। আর বেদে ইসলামের ভবিষ্যদ্বানী ও শেষ নবীর আলেখ্য পর্যবেক্ষন পুর্বক বহু আর্য সমাজীগনই যুগে যুগে ইসলাম গ্রহণ করেছেন, যেমন-সতীশ চন্দ্র গুপ্ত, যিনি আর্য সমাজ ত্যাগ করে ইসলাম কবুল করেন এবং সত্যার্থপ্রকাশকে রিফিউট করে ‘সত্যার্থ প্রকাশ কি সমীক্ষা’ নামে একটি বই লিখেন, কিংবা গাজী মাহমুদ ধর্মপাল, যিনি দীর্ঘ ১৬ বছর আর্য সমাজের সন্মানিত স্কলার ছিলেন, পরবর্তিতে আর্য সমাজ ত্যাগ করে ইসলাম কবুল করেন এবং বেদকে ও সত্যার্থপ্রকাশকে রিফিউট করে বহু গ্রন্থ রচনা করেন। এছাড়া অনিল রাও, স্বামী নিত্যানন্দ সহ আরো বহু আর্য সমাজী স্কলারদের কথা বলতে পারি যারা যুগে যুগে ইসলামের সত্যতা বুঝতে পেরে ইসলাম গ্রহন করেন। যাক গে এই নোটে পর্যায়ক্রমে আমার নোটের রিবিউটাল রচনাকারী যে বেদ সম্পর্কে কতখানি অজ্ঞ তা তুলে ধরা হবে। প্রথমে বলি, জনৈক চন্ডাল তার পুরো রিবিউটালই লিখেছে আর্য সমাজের ভাষ্য মোতাবেক, অথচ আমার নোটের গুরুত্তপুর্ন আর্গুমেন্টটাই সে পড়ে নি। বেদে ইসলামের ভবিষ্যদ্বাণী কিংবা মুহাম্মদ সঃ এর ভবিষ্যদ্বানী সংক্রান্ত মন্ত্রগুলো কখনোই নিরপেক্ষভাবে ভাষ্যকৃত হবে না আর্য সমাজীগণ কর্তক। কারন তাদের গুরু স্বামী দয়ানন্দই ছিলেন একজন ইসলাম+সকল ধর্ম বিদ্দেষি।গৌতম বুদ্ধ এমনকি আদি শংকরাচার্যকেও সমালোচনা করতে তিনি পিছপা হন নি। তিনিই শিখিয়ে গেছেন অন্য ধর্মকে রিফিউট করতে হলে মিথ্যা বলাও যাবে। তাই বেদে ইসলামের ভবিষ্যদ্বানীর ক্ষেত্রে আর্য সমাজীগণের ভাষ্য কোনভাবেই গ্রহীত হবে না। এক্ষেত্রে দেখা যেতে পারে ক্লাসিকাল বেদ অনুবাদক বা ভাষ্যকররা কি করেছেন, কারন তারাই একমাত্র এগুলোকে নিরপেক্ষভাবে করেছেন।

মুর্খটা লেখে,
(১) (ইদম) আর্য সমাজীদের মেনপেজ অনুসারে যার অর্থ “যে/এই”।
জবাবঃ
(১)ইদম আর্য সমাজের মেইনপেজ অনুসারে অর্থ যে/এই, আর আমি লিখেছি এখানে। মুলত এখানে কোন ভুল আছে বলে আমি মনে করি না। এটি হচ্ছে সম্ভাষনের রীতি। সম্ভাষন হিসেবে এটিকে কেউ, হে , এই, ও , ওহে, যেমন লিখতে পারে, তেমনি এখানেও লিখতে পারে, যেমন হিন্দিতে সম্ভাষনটা হয় ‘ইধর’ ইংরেজীতেও শুনি Here please. যাই হোক, এখানে যে/এই/এখানে যাই লেখা হোক না কেন তা আমার নোটের মুল বক্তব্য একচুল উনিশ বিশ করে না।

এরপরে লিখে,
 (২) দ্বিতীয় ভুল, মূল মন্ত্রে “উপ” “শ্রুত” আলাদা আলাদা শব্দ এবং এই দুই শব্দ বৈদিক ব্যাকরণের দিক থেকে আলাদ এবং একসাথে ব্যাবহৃত হবার কোনো কারণ আমি দেখতে পাচ্ছি না, কিন্তু মুসলমানরা এখানে লিখেছে “উপাসৃত”। “উপ” “শ্রুত” অর্থ কি আগেই ব্যাখা করা হয়েছে।
 জবাবঃ
এইবার গাধাটা যেন বিশাল একটা ভুল পেয়ে গেছে এমনভাবে গলা চড়ালো। বৈদিক ব্যাকারনের সংস্কৃততে উপ শ্রুত দুটি আলাদা শব্দ, কিন্তু আমি তো এটি সংস্কৃততে লিখিনি। লিখেছি শুধু উচ্চারন। এটা ভুল কিভাবে হয় ? যেমন School কে ‘স্কুল’ আবার ‘ইসকুল’ ও লেখে, তাই উচ্চারন লিখতে এটা কোন ভুল নয়।আর যদি ভুল ধরিও তো, এই তথাকথিত ভুলও আমার নোটের তথ্যকে একচুলও এদিক ওদিক করে না। এরপরে আসছি।

এরপরে লেখে
(৩) মূল শব্দটি হল “নরাশংসঃ” যার বৈদিক ব্যাকরণ অনুসারে বিশ্লেষণ করলে দাঁড়াই, নর+শংসঃ=মানুষ+প্রশংসা অর্থ্যাৎ মানুষদের মধ্যে যে প্রশংসা পাই, “নরাশংসঃ” দ্বারা রাজাকেই বুঝিয়েছে এখানে, দানবীর ও ধার্মিক রাজা সকলের দ্বারা প্রশংসিত হয়।
আমার জবাবঃ

বৈদিক ব্যাকারণ অনুসারে অবশ্য ঠিক অর্থই ও বলেছে, নরাশংস=যিনি প্রশংশিত ও যাকে মানুষ প্রশংসা করে।যদিও অগ্নিবীর নামক মিথ্যাবাদি সাইট শুধু জাকির নায়েককে মিথ্যা প্রমান করতে এর অর্থ লিখেছিল,যে প্রশংসা করে।যাই হোক। তবে এখানে সমীর নরাশংসকে দানবীর রাজা বানিয়ে ফেলেছে। যদিও মুল মন্ত্রে সেরকম কিছু পেলাম না। তুলসীরামের অনুবাদেও এই মন্ত্রে প্রশংসিত মানব বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।তারপরো ওর কথাই ধরে নিই,যে একজন দানবীর রাজা। রাজা মানে যে শাসক,(যদিও মুল মন্ত্রে কোথাও রাজা নেই) আমাদের নবিজি নিসন্দেহে ছিলেন একজন দানবীর রাজা ও শাসক। মক্কা বিজয়ের পর তার রাজ্য ছিল সাম্যবাদের। তিনিই ছিলেন তখন মক্কার রাজা, সর্বোচ্চ আইন প্রনয়নকারী।পিকে হিট্টির মতে তিনি ছিলেন সাম্যবাদের রাজা। তার সেই রাজত্ব আসলে কেমন ছিল এটা বলে বুঝানো যাবে না, আপনারা একনজর হলিউডের ‘The message’ মুভিটি দেখতে পারেন, একটা ধারনা পাবেন আরকি। আর দানবীর ! এই মুর্খ বোধহয় এও জানে না যে মানব ইতিহাসে দানের ক্ষেত্রে নবিজি সঃ এর থেকে বড় দৃষ্টান্ত খুব কমই আছে।সীরাত ও হাদিসে তার অসংখ্য দানশীলতার পরিচয় পাওয়া যায়। অভাবে থেকেও নিজ অর্থে তিনি ক্রিতদাসদের কিনে মুক্ত করতেন।দানশীলতার এরকম উদাহরন ইতিহাসে বিরল। দানের ব্যাপারে নবিজি সঃ বলেন, ‘দানে পিছপা হয়ো না, হোক সেটা এমনকি তোমার মুখের এক টুকরো হাসি’(Fiqh-us Sunnah,Hadith 98) তাই এই দুটি গুনও উপর্যুপরি নবিজির বৈশিষ্ট্যের সাথেই মিলে যায় যা এই মহামুর্খ অনুধাবন করতে পারেনি।

এরপরে লিখে, 
(৪) আর যদি নরাশংসঃ মানে কোনো মহান মানব কে ধরা হয়, তবে হিন্দুজাতীতে কি মহামানবের অভাব পড়েছে যে বেদুইন অশিক্ষিত মুহাম্মদ কে ধার নিতে যাবে! সনাতন ধর্মে রাম ও কৃষ্ণ কি কম প্রশংসিত। এছাড়াও আছেন আদি-শঙ্করাচার্য যিনি জগৎগুরু নামে প্রশংসিত। নরাশংসঃ=মানুষের মধ্যে প্রশংসা পাওয়া পুরুষ। সাধারণ ভাবে সে যে কেউ হতে পারে।
 জবাবঃ
নরাশংস যদি এখানে আদি শংকরাচার্য বা রাম কৃষ্ণ হয়ে থাকে, তাহলে গাধাটা আগে প্রমান করুক, তাদের মধ্যে কেউ একজনও উঠের বাহনে চড়েছে বা তারা মরুভুমিতে বসবাস করেছে, অন্যান্য অমিলগুলো নাহয় বাদই দিলাম।

এরপরে লিখে,
(৫) চলুন কিছুক্ষণের জন্য ধরি, নরাশংস=মহাম্মদ অর্থ্যাৎ মহাম্মদের নাম বেদে আছে। আচ্ছা আপনার নাম কি “পবন বা সমীর বা অনিল বা প্রভজ্ঞন তবে Congratulation আপনার নামের অর্থ বায়ু তাই আপনি বেদ থেকে শুরু করে কুরাণ সব স্থানে আছেন। অবশ্যয় এটা এইসব মূর্খ মুসলমানদের দৃষ্টিকোণে বিচার করে।
জবাবঃ
 হা হা হাস্যকর যুক্তি। গোমুত্র খাওয়া মস্তিষ্ক থেকে এর থেকে আর কি কথা বেরোতে পারে? কেন নামের মিলে আমরা কিংবা অন্যান্য সত্যসন্ধানীরা নরাশংসকেই মুহাম্মদ সঃ ধরে নিয়েছে এটা আমার নোটেই বিস্তারিত বুঝিয়েছি। বিভিন্ন স্কলারদের মতে এই সুক্তটি রহস্যময় এবং একি সাথে এটি ভবিষ্যত টেন্সে বা ভবিষ্যত বর্ননের অর্থে লেখা। এই সুক্ত একজন মানুষের ভবিষ্যদ্বানী করেছে যে কিনা হবে প্রশংসীত। আর নবিজি মুহাম্মদ সঃ এর খোদ নামই হচ্ছে প্রশংসিত, একি সাথে সুক্তের অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলোও সম্যকভাবে মিলিয়েই আমার নোটে দেখিয়েছি, শুধু নামের মিল দেখিয়ে নয়। আর সমীর অর্থ বাতাস, কিন্তু সমীর কি এই গাধার একলার নাম ? বা ও প্রথম মানুষ এই নামের ? অপরদিকে মুহাম্মদ সঃ এর নামের আগে আর কোন মানুষের এই নাম পাওয়া যায়নি। সীরাতে আমরা দেখি তার দাদা আবদুল মুত্তালিব যখন তার এই নাম রাখেন মক্কাবাসী অবাক হয়ে যায় এই নাম শুনে, কারন এটা ছিল সম্পুর্ন নতুন একটি নাম। অপরদিকে কোরানে কি সমীর নামে কারো ভবিষ্যদ্বানী আছে? আর বাতাসের বৈষিষ্ট আর মানুষ সমীরের বৈশিষ্ট কি এক ? ও কি পারবে গোমাতার পশ্চাদদেশ থেকে পাদ হয়ে বেরোতে? তাই এই মহামুর্খ যা বলার চেষ্টা করছে তা হচ্ছে স্রেফ কুযুক্তি এবং সত্য অস্বীকারের খোড়া উপায় ছাড়া কিছুই নয়।

মুর্খটা লিখে, 
(৬) আরো মজা পাই ডাঃ জাকিরের দাবী শুনে আল্লা=ব্রহ্মা, এই দাবী তোলার জন্য ইসলামি আলেমরা জাকিরের বিরুদ্ধে ফতোয়া দেয় তাকে কাফের ঘোষণা করে। এখন এইসব গুটি কয়েক মূর্খ মুসলমান এসেছে নরাশংস=মহাম্মদ দাবী করতে। বেশ চলুন ধরে নিলাম নরাশংস ওই মহাম্মদ, এটা কেনো শুধু হিন্দুরা মানবে মুসলমানরাও শুদ্ধ মানুক, নামাজ আদায়ের সময় “মহাম্মদু রাসূলুল্লাহ” না বলে “নরাশংসু রাসূলুল্লাহ” বলুক, সৌদি আরব থেকে ফতোয়া জারী করুক মহাম্মদ কে নরাশংস নামেও ডাকা যাবে, সম্পর্কটা দুইদিক থেকে হওয়া উচিত নয় কি?
জবাবঃ
 আল্লাহ=ব্রক্ষা, এরকম কোন দাবি জাকির নায়েক জীবনেও করেনি, বরং জাকির নায়েক বলেছেন, ব্রক্ষা শব্দের অর্থগতভাবে আল্লাহর একটি গুনবাচক নাম, ‘খালিক’ এটির সংস্কৃতই হচ্ছে ব্রক্ষা। তাই অর্থগত দিক দিয়ে ব্রক্ষা দ্বারা আল্লাহকে নির্দেশ হতে পারে। কিন্তু ব্রক্ষা বলতে যদি শরীরধারী দেবতা বুঝায় যে আবার নিজের কন্যার সাথে কামলীলা করে তবে তা দিয়ে আল্লাহকে বুঝানো যাবে না। আর এটা নিয়েই কিছু ধর্মব্যাবসায়ী জাকির নায়েকের পিছনে লেগছে যা নিয়ে আবার সমীরের মত নীচু জাতের মালুদের আস্ফালনের শেষ নেই। আর রাসুল সাঃ কে নারাশাংসা রাসুলুল্লাহ কেন ডাকব ? আবারো কুযুক্তি প্রদান শুরু করল এই বেক্কল মালু। রাসুল সঃ কে তো বহুজনে বহু নামেই ডেকেছে, তাকে তো আল আমিনও ডাকা হত, আবার আহাম্মদও ডাকা হত, তো এখন কি আমরা ‘আল আমিন রাসুলুল্লাহ’ ‘আহাম্মদ রাসুলুল্লাহ’ বলি নামাযে? তো যেহেতু আমরা এগুলো বলিনা আমরা তারমানে কি এই যে, তার আরেক নাম আল আমিন বা আহম্মদ নয় বা এই নাম দিয়ে তাকে নির্দেশ হয় না ? প্রকৃতপক্ষে এগুলো হচ্ছে অকাট মুর্খ মস্তিষ্কের কুযুক্তি, যার রিবিউটাল লেখাও আমার জন্য যথেষ্ট হাস্যকর।

আবার লেখেঃ
আরো বিনোদনী ব্যাপার, যেখানে ওদের সর্বজ্ঞ আল্লাও বলে যাইনি হিন্দুজাতীর গ্রন্থে মুহাম্মদ আছে, এমন কি ওদের কুরাণ হাদিসেও খুঁজে পাওয়া যায় না হিন্দুজাতীকে, উল্লেখ নাই বেদের নাম, ঋষি, অবতার বা মহান মানবের নাম, কিন্তু দাবী করতে ছাড়বে না বেদে মহাম্মদ আছে!! কিন্তু দেখুন ইহুদি আর খ্রীস্টান জাতীর সঙ্গে কত সুন্দর যোগসুত্র আছে ইসলামী কুরাণে ও হাদিসে। কিন্তু হিন্দুদের ক্ষেত্রে এক তরফা যোগসু্ত্রের দাবী তোলে ওরা, মানে একহাতে তালি বাজানোর ন্যায় ব্যপার।

আমার জবাবঃ
আল্লাহ খুব স্পষ্টভাবেই কোরানে বলেছেন যে তিনি সকল জাতীতেই নবি পাঠিয়েছেন, একি সাথে কোরানে উল্লেখ আছে সাবাঈন জাতির কথা, অর্থাৎ যারা আব্রাহামিক ধর্ম বাদে অন্য সকল ধর্ম যেমন যেমন হিন্দুইজম, বুদ্ধিজম ইত্যাদির ফলোয়ার। যেখানে আল্লাহ তা’লা নিজে বলেছেন তিনি বিভিন্ন জাতিতে গ্রন্থ ও নবী পাঠিয়েছেন, সেখানে সাবাঈন গোত্রেও শেষ নবীর আলেখ্য থাকবে না এটা ভাবা অযৌক্তিক। বেদ সম্পর্কে মুসলিমদের স্টান্ড কি এটা আমি আমার পুর্বের একটি নোটে ক্লিয়ার করেছি। বেদের মুল অংশ যে প্রফেট জরুথুষ্ট্রের জেন্দআবেস্তা হতে ধার করা সেটা নিয়ে খুব শীঘ্রই একটা নোট লেখার আসা রাখি। আবেস্তাতেও মুহাম্মদ সঃ এর একি আলেখ্য বিদ্যামান যেমনটা রয়েছে বেদে।

আবার মুর্খামী করে লেখেঃ
যে নরাশংসঃ কে নিয়ে এতো ঝামেলা জানেন এই বৈদিক সুক্তে নরাশংসঃ কে? ইন্দ্র আর প্রজাপতি, তবে যেহেতু এই সুক্তে ইন্দ্র কে সরাসরি খুঁজে পাওয়া যায়, তাই কেউ কেউ এই সুক্তে দেবতা হিসাবে ইন্দ্র কেই উল্লেখ করেছেন। বেদের সুক্ত গুলোতে দেবতা একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কারণ এই দেবতা কে কেন্দ্র করে বেদ সুক্ত গুলি স্তুতি করা হয়। এই বিষয় গুলো বেদের সাধারণ পরিচিতি তে শেখানো হয় মানে প্রাথমিক লেভেলে, যা এইসব মূর্খ মোল্লাদের জানার বিষয় নয় এরা প্রাথমিক লেভেল বাদ দিয়ে সরাসরি স্কুলের দরবারে হাজির হয়, যার জন্য এদের এই অবস্থা। এই সুক্তটির বিষয় “রাজধর্মোপদেশ” এখানে রাজার ভূমিকাই আছেন ইন্দ্র। এছাড়াও গোটা বেদে ইন্দ্র কে বহু বহু বার প্রশংসিত স্তুতি করা হয়েছে। আরো একটি বেদের প্রাথমিক লেভেলের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে, বেদে অবতারবাদ, নবীবাদের কোনো স্থান নাই।

আমার জবাবঃ

এবার আসা যাক সমীরের বেদজ্ঞানে অজ্ঞতার নিদর্শনের অংশে। মুর্খটা বলল, এই সুক্তে নারশাংস নাকি ইন্দ্র। আসলে কি আর বলব বেদ সম্পর্কে প্রাথমিক যে জ্ঞানটুকুও দরকার তাও এর নেই। এই জ্ঞান নিয়ে সে আমার নোটের জবাব লিখতে এসেছে। মহামুর্খ এও জানে না যে, "ইন্দ্রং মিত্রং বরুণমগ্নিমাহুরথো দিব্যঃ স সুপর্ণো গরুত্মান্। একং সদ্ বিপ্রা বহুধা বদন্তি অগ্নিং যমং মাতরিশ্বানামাহুঃ।।" (ঋগ্বেদ ১.১৬৪.৪৬) অনুবাদ-সেই এক ও অদ্বিতীয় পরমসত্য ঈশ্বরকে জ্ঞানীগন বিভিন্ন নামে অবহিত করে থাকেন,কেউ অগ্নি,কেউ ইন্দ্র,কেউ যম,কেউ বরুণ,কেউ গরুত্মান কেউবা মাতরিশ্বা!" অর্থাৎ ইন্দ্র বেদ অনুসারে নিরাকার পরমাত্তার নাম মাত্র। কোন মানুষ্য আকৃতির ঋষি নয় যে উটে চড়ে বেড়ায় বা শত্রুর সাথে রণক্ষেত্রে যুদ্ধ করে। একি সাথে আমি খুব অবাক হই, এটা দেখে যে, এই নোটটি অনলাইন কিছু আর্য সমাজীরাও শেয়ার দিয়েছে। অথচ ইন্দ্র যে মানুষ আকৃতির কেউ, এটা সবার আগে অস্বীকার করার কথা এই আর্যসমাজীদেরই।কারন তারা নিরকারবাদি একিসাথে মুর্তিপুজারও বিরোধী। কিন্তু এরপরো এত বড় একটা মিথ্যা এই নোটে থাকার পরও তারা এটিকে শেয়ার দিয়েছে কারন এটা মুসলিমদের দাবি রিফিউট করেছে এই ভেবে। অর্থাৎ তারা তাদের গুরু স্বামী দয়ানন্দের পথেই হাটছে, অন্য ধর্মকে রিফিউট করতে প্রয়োজনে নিজ মতবাদ সম্পর্কেই মিথ্যা বল।

মুর্খ আবার লেখেঃ
খানে “স্তবিষ্যতে” শব্দটি হল স্তবঃ অর্থ্যাৎ স্তুত করা অর্থ্যাৎ “যে রাজা এই যজ্ঞ/কর্ম অনুষ্ঠিত করবে সেটা তাকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে” ভবিষ্যতে গর্ব করে এই অর্থে নয়।

আমার জবাবঃ
স্তবিষ্যতে অর্থ ভবিষ্যতে গর্ব করে এমন কথা তো আমিও বলিনি। আমি শুধু বলেছি, স্তবিষ্যতে ফিউচার টেন্স। ভুল বললাম নাকি শুদ্ধ্য তা যেকোন বৈদিক প্রতিষ্ঠান হতে গাধাটাকে যাচাই করে নিতে বলা হল।

আবার লেখে,
এখানে কূন্তাপ সুক্তের সব নয় কয়েকটি মন্ত্র উপমালঙ্কার যুক্ত যা প্রথম দুটি মন্ত্রের নিচে তুলশিরাম উল্লেখ করে দিয়েছে। এই মন্ত্রগুলিতে কিছু অর্থগত সমস্যার সন্মুখীন হতে হয়। আর্যসমাজীরা এই সুক্তের সুক্ষবিশ্লেষণ করে (ষষ্টিম সহস্ত্রা) (নবতিম) অর্থ্যাৎ “অনেক দান” অর্থ হিসাবে ব্যাবহৃত করেছেন।আর্য সমাজের মেন পেজে ও তুলশিরাম এই বিষয়ে উল্লেখ করেছেন। গোটা বেদে এইরকম বহু শব্দ আছে যার অর্থ নির্বাচনের জন্য সুক্ষবিশ্লেষণ আব্যশক নইলে ত্রুটিপূর্ণ বেদের অনুবাদ হয়। এইজন্য একমাত্র মহাযোগী+বেদাচার্যদের বেদের অনুবাদ অধিকাংশ শুদ্ধ। তবে কিছু সাধারণ বেদ অনুবাদরা এই সমস্যার সন্মুখীন হতে চান নি, যার জন্য (ষষ্টিম সহস্ত্রা)(নবতিম) এর অর্থ উনারা সংখ্যা হিসাবে উল্লেখ করে ছেড়ে দিয়েছেন। যার দাবী মূর্খ মুসলমানরা এখানে তুলেছে। তবে যেহেতু এটা মুসলমানদের কাছে “বেদের মুহাম্মাদের অস্তিত্বের ব্যাপার” তাই মোল্লারা এটা না মানতেও পারে, তবে তাদের মানা বা না মানাতে কিছুই যায় আসে না। “সুক্ষবিশ্লেষণ” আমাদের কাছে স্বিকার্য।

আমার জবাবঃ
 এখানে মুর্খটা আর্য সমাজীদের ‘সুক্ষবিশ্লেষণ’ তুলে ধরেছে। যার কোন দরকারই ছিল না, কারন তাদের এই সুক্তের ভাষ্য সম্পর্কে আমি সম্যক জ্ঞাত। সবগুলো ভাষ্য পড়েই তো আমি নোটটা লিখেছি। একিসাথে তাদের ভাষ্য এক্ষেত্রে কেন গ্রহনীয় হবে না সেটাও দেখিয়েছি। মজার ব্যাপার হচ্ছে সুক্ষবিশ্লেষণ তো পন্ডিত বেদ প্রকাশ উপধ্যায়, ড. শ্রীবাস্তব প্রমুখরাও করে গেছেন, গাধাটা সেগুলো মানে না কেন ? মুসলিমদের ফেবারে যায় এই জন্যে ? উপলংকার কথা এমন একটা জিনিস যা ব্যাক্তিবিশেষে ভিন্ন হতে পারে। আর্য সমাজী কোন ব্যাক্তিবিশেষের ব্যাখা তাকে চূড়ান্ত ব্যাখা হিসেবে সীলগালা করার ক্ষমতা রাখে না। একিসাথে আমিও পন্ডিত বেদ প্রকাশের বিশ্লেষন দ্বারাও সুক্তের অর্থ সীলগালা করিনি। শুধু তুলে ধরেছি মাত্র। সত্য সন্ধানীরা নিজেরাই অর্থ খুজে নিবে।কোন কোন মুর্খ ইন্দ্রদেবকে নারশাংসা ভাববে, কোন মুর্খ নাম না জানা রাজাকে, কেউবা অজ্ঞাত কোন রাজর্ষিকে। কিন্তু সত্যসন্ধানীরাই নারশাংসার বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সত্য মানুষকে খুজে বের করবে।

আবার লেখে, 
“কৌরম” এর বৈদিক ব্যাকরণ ভিত্তিক বিশ্লেষণ করলে দাঁড়াই (কূ+রমঃ)= পৃথিবী+আনন্দদায়ক অর্থ্যাৎ পৃথিবীতে যে আনন্দস্থাপন করে। আর “রুশমেষু”=রুশঃ+মেষুঃ=তিক্ত জিনিসের প্রত্যাক্ষণ করা বা পরিত্যাগ করা। আর্য সমাজীরা এটার অনুবাদ করেছেন “ইহা কে অপসারণকারী বীরের বংশ” অর্থ্যাৎ এই দান কে যে বীরের বংশ খুশি মুখে দিয়ে দেয়, এটাই তো হলো “নরাশংসঃ” ও “কৌরম” লক্ষণ। এছাড়া “রুশমেষুর” আরেক অর্থ হয় অশুরিকপ্রবৃত্তির সংহারক হিসাবে কারণ যেহেতু এটা কুন্তাপ সুক্ত (কূণ+তপঃ)=ফলপ্রদ+তপস্যা অর্থ্যাৎ তপস্যার মাধ্যমে ফল লাভ করা, এখানে তপস্যা মানে কর্মমার্গ।

আমার জবাবঃ
(১১) কৌরম এর একটি অর্থ পৃথিবি পৃষ্ঠে ভ্রমন করা, আরবীতে যার অর্থ হয় হিজরত। মুহাম্মদ সঃ ছিলেন হিজরতকারী। আর্য সমাজীদের ভাষ্য মোতাবেকই শব্দটার অর্থ দেখিয়েছি। আর যদি পৃথিবি পৃষ্টে শান্তি আনয়নকারী হিসেবেই ধরি, তাতে তো ঐতিহাসিকভাবেই সবার প্রথমে যার নাম আসে তিনি হচ্ছেন মুহাম্মদ সঃ, কারন তিনিই আইয়ামে জাহেলিয়াত বা অন্ধকার যুগের অবসানকারী এবং শান্তি আনয়নকারী।

এরপরে লেখে,
এরপর মুসলমানরা দাবী তুলেছে, “নরাশংসা অউর অন্তিম ঋষি” “কল্কি অবতার অউর মুহম্মদ সাহিব” বই এর ব্যাপারে, লেখক- বেদ প্রকাশ উপাধ্যায়। এটা যতসব ফালতু বইএর সিরিজের মধ্যে একটা। এইসব মুসলমান প্রেমী ব্যাক্তিদের নিজের ব্যাক্তিগত ও মনগড়া মতামত যুক্ত বই যদি হিন্দুদের মানতে হয়, তবে হিন্দুদের তাদের ধর্মগ্রন্থ কে ত্যাগ করতে হবে।যেহেতু উনার বই মুসলমানদের পক্ষে লিখা তাই, মমিনরা বেদ প্রকাশের পা চাটে। মুসলমানরা বলে পন্ডিত বেদ প্রকাশ উপাধ্যায় লিখেছে! একজন পন্ডিত লিখেছে! কিন্তু এটা বলে না এই বইটি ঠিক যতটা প্রসার হয়েছে ঠিক ততটাই সমালোচনা আর বিতর্কের মুখে পড়েছে। উনি এরসব বইগুলোতে নিজের বুদ্ধিখাটিয়ে, নিজের দৃষ্টিকোনে, নিজের ব্যাক্তিগত ও মনগড়া মতামত যুক্ত করে একটা হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে সম্পর্ক তৈরী করেছেন মাত্র। যার জন্য কোনো পন্ডিত সভাই তার এই নবরিসার্চ মান্যতা পাইনি, উল্টে সমালোচনা আর বিতর্কের মুখে পড়েছে।
আমার জবাবঃ
বইটি ওর কাছে ফালতু বই। সেটাই স্বাভাবিক হবে কারন চুড়ান্ত নিদর্শন অস্বীকারকারীরা নিজেদের কান চোখ চেপে হলেও সত্যকে এড়িয়ে যাবে, এটা তাদের ফিতরত। আর হ্যা এটা সত্য আর সত্যকে মানতে হলে হিন্দুদের তাদের ধর্মগ্রন্থ ত্যাগ করতে এটাও সত্য, আর এজন্যই অসংখ্য হিন্দুরা সময়ে সময়ে ইসলামে ফিরে আসছে। আর মুসলিমরা পন্ডিত বেদ প্রকাশকে শ্রদ্ধা করে, পা চাটে না। শ্রদ্ধা করা আর পা চাটা দুটি এক না। চাটাচাটির কর্ম হিন্দু ধর্মে থাকতে পারে। ইসলামে নেই। এরপর লিখেছে এই বইটি নাকি কোন হিন্দু পন্ডিত সভায় মান্যতা পায়নি।উলটো এটা সমালোচিত হয়েছে। আসলে আপনারা জানেন কি ? আর্য সমাজের প্রতিষ্টাতা দয়ানন্দ স্বরস্বতির “সত্যার্থ প্রকাশ” নামক বিখ্যাত বইটিও কোন হিন্দু পন্ডিতের সভায় মান্যতা পায়নি, উলটো সমালোচিত হয়েছে। বিশেষ করে ইস্কনিরা এই বইটির তীব্রভাবে সমালোচনা ও নিন্দা করেছে। এরপরো এই বইটী হিন্দুদের নিকট ব্যপকভাবে প্রচলিত। আসলে হিন্দু ধর্ম বলতে কোন একটি ধর্মকে বোঝায় না, এর প্রতিটি শাখাই এক একটি আলাদা ধর্মের মত, যেখানে ধর্মগ্রন্থ থেকে শুরু করে খোদ ঈশ্বরের নাম ও কনসেপ্টই আলাদা। যেমন আর্য সমাজীরা পুজে নিরাকার ওমকে, তাদের ধর্মগ্রন্থ বেদ। তারা গীতাকে মানে না।রাম কৃষ্ণকে অবতার বা ইশ্বর মানে না। ইস্কনীরা পুজা করে কৃষ্ণকে। তারা তাদের ধর্মগ্রন্থ মানে গীতাকে। তারা আবার বেদকে মানে না। আবার শাক্তরা উপাসনা করে শীবকে। তারা অনেকে কৃষ্ণকেও গাল দিতে পিছপা হয় না। ইস্কনীরা আবার শিবকে রাখে কালির পায়ের তলায়, আবার এজন্য শাক্তরা তাদের গালি দেয়।মূলত পুরো হিন্দু ধর্মের লোকজনই এভাবে নিজেরা হতবিহবল অবস্থায় বিচরন করে যে কোন জন ঈশ্বর, কোনজন দেবতা আর কোনটিই বা তাদের ধর্মগ্রন্থ এটা নিয়ে। এই হিন্দুদের এক শাখার পন্ডিতদের লেখা বই ই আরেক শাখার পন্ডিতদের কাছে গৃহীত হয় না, বরং সমালোচিত হয়। তাহলে বেদ প্রকাশ যিনি আরেক ধর্মের সত্যতায় বর্ননায় বই লিখেছেন তার বই কিভাবে হিন্দুদের নিকট সমাদৃত হবে এবার নিজেরাই চিন্তা করুন। তবে সমাদৃত যে হয়নি এমন নয়। যুগে যুগে বহু হিন্দু গুরুরাই এর জন্য ইসলাম কবুল করেছেন এবং করছেন। একটি বিখ্যাত উদাহরন দেয়া যায়, আচার্য্য শিবশক্তি স্বরুপজি। যার ১০ লাখের বেশি ফলোয়ার ছিল। তিনি ইসলামের সত্যতা বুঝতে পেরে ইসলাম কবুল করে নেন।

এরপর লেখে,
এইরকম ফালতু দাবীদারের লম্বা লিস্ট আছে, বেদ প্রকাশ উপাধ্যায় দাবী মুহাম্মাদ কল্কি অবতার, স্বামী বিবেকানন্দের দাবী রামকৃষ্ণ কল্কি অবতার এইদিকে প্রভুপাদের দৃষ্টিতে চৈতন্য নিমাই কল্কি অবতার! হিন্দুরা কি এইসব ফালতু জিনিস মানবে? কিছুদিন আগে হিমাদ্রী শেখর দও দাবী তুলেছে যিশু আর কৃষ্ণ একই সত্তা, খ্রীষ্টানরা কি এইসব ফালতু জিনিস মানবে? ইসলাম ধর্মেও আছে আলি দস্তির দাবী ইসলাম কোনো ধর্ম নয়, (নবি মুহাম্মদের ২৩ বছর বই) এম.এ.খানের দাবী ইসলাম সন্ত্রাসের ধর্ম (জিহাদ বই) আনোয়ার শেখের দাবী ইসলাম আরবদের জাতীয় আন্দোলন। মুসলমানরা কি মানবে এইসব? ভারতে দেওবন্দীদের সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের মুখপাত্র মুফতি ইলিয়াস সরাসরি টিভি ক্যামেরার সামনে দাবি করেছে যে – “মুসলিমদের প্রথম পূর্বপুরুষ হচ্ছে হিন্দুদের ভগবান শিব” মুসলমানরা কি মানবে এইসব? মাথাই বুদ্ধি থাকলে বেদে মুসলমানরা নিজের নাম খুঁজতে পারবে কিন্তু তার মান্যতা কেউ দেবে না, উল্টে সমালোচনা আর বিতর্কের মুখে পড়বে। আর না সেটা হিন্দুদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।
আমার জবাবঃ
কল্কি অবতারের পরিচয় নিয়ে একেক হিন্দু স্কলারের একেক দাবীই প্রমান করে যে হিন্দুরা এখনো কল্কির আসল পরিচয় জানে না। এজন্যই একেকজন একেক কথা বলে। আর হ্যা একটা কথা, দাবী করা আর যুক্তি প্রমানের সাহায্যে ব্যাখা করা দুটি এক নয়। হীমাদ্রি শেখর দত্ত দাবী করেছেন যীশূ আর কৃষ্ণ এক। কিন্তু কোন খ্রিষ্টান স্কলার কি এমনটা দাবী করেছে ? যদি দাবী না করে থাকে তবে খ্রিষ্টানরা মানবে কেন ? আর মুফতি ইলিয়াস কখনো বলেন নি, মুসলিমদের প্রথম পুর্বপুরুষ হচ্ছে হিন্দুদের ভগবান শিব। তিনি যা বলেছেন মিডিয়া তার বক্তব্যটিকে তার থেকে বেশি ঘুরিয়ে প্রচার করেছে। তিনি বলেছেন, আদি পিতা একজনই। কেউ তাকে আদম ডাকে, কেউ তাকে মনু ডাকতে পারে বা কেউ শিব। কিন্তু আদি পিতা একজনই ছিল। হিন্দু কোন ধর্ম নয়, এটি ভৌগলিক বিশ্লেষন। এমনটাই বলেছেন তিনি। তিনি শিব নামটি এনেছেন একটি উদাহরন প্রয়োগে মাত্র। তিনি বলেন নি যে শিবই মুসলিমদের পুর্বপুরুষ। তিনি বলেছেন হতে পারে সেই পুর্ব পুরুষকেই হিন্দুরা এখন শিব বা মনু নামে ঢাকে। তার বক্তব্যের ভিডিওটি দেখুন,
https://www.youtube.com
এরপরে মুর্খটা আলী দস্তি, এম এ খান এদের বইয়ের কথা বলল মুসলিমরা সেগুলো মানবে কিনা। আমার জবাব হচ্ছে আমি হিন্দুদের কোন হিন্দু বিদ্বেষী বই মানার কথা বলিনি, তাই মুসলিমরা ইসলাম বিদ্বেষী বই মানবে কিনা এটা অযৌক্তিক প্রশ্ন। আর অনলাইনে ইসলাম বিদ্বেষী লেখকদের লেখা বা বই সার্চ করলেই, তাদের প্রত্যেকটি ভিত্তিহীন কথার জবাব সম্বলিত লেখা বিস্তারিতভাবে পেয়ে যাবেন। তাদের বইকে খন্ডিয়েও অনেক স্কলাররা বই লিখেছেন, এমনকি অমুসলিম স্কলাররাও তাদের প্রপাগন্ডা খন্ডন করেছেন, যেমন ক্যারেন আর্মষ্ট্র। তাই যেগুলা যৌক্তিকভাবেই খন্ডনো, তা মানার তো কোন কারন নেই।

এরপর মুর্খটা লেখে,
এবার কাটমোল্লা অথর্ববেদের ২০.১২৭.২-৩ থেকে কতগুলি দাবী নিয়ে এসেছে- (ক) “উষ্ট্রা ঈয়াশা প্রবাহানো” এর অর্থ নাকি “উট দ্বারা প্রবাহিত তাহার বাহন” “বধূ মন্তো দ্বির্দশ” এর অর্থ নাকি “১২ জন স্ত্রী সমেত”
(১) উট দ্বারা প্রবাহিত তাহার বাহন লিখছে কিন্তু পাঠার্থে বাহন যা এখানে রথ নামে আছে তারই উল্লেখ করে নাই এবং এরই সঙ্গে ঈষমাণাঃ এর অর্থটাই হজম করে ফেলেছে, যার অর্থ শীঘ্রগামী। এর সঙ্গে আবার দাবীও তুলেছে “নরাশংসঃ” বাস করবেন মরুভূমিতে কারণ এখানে উটের রথের কথা বলা হয়েছে, সেটার বিশ্লেষণ পরে করা হবে লক্ষ্য রাখবেন। (২) তারপর আবার লিখছে- “বধূ মন্তো দ্বির্দশ” এর অর্থ নাকি “১২ জন স্ত্রী সমেত”। মজার বিষয় “দ্বির্দশ” মানেও ১২ হয়! যেখানে সংস্কৃতে দ্বাদশ এর অর্থ ১২। এখানে “দ্বির্দশ” মানে (দ্বি+দশ=২X১০=২০)। তাহলে মমিনের দাবী অনুসারে মুহাম্মাদের ২০টি বিবি ছিলো! আর “বধূমন্তঃ” শব্দটা মূল মন্ত্রে একসঙ্গে একই সঙ্গে আছে, যা মোল্লাটা হজম করে ফেলেছে, আর দুটো শব্দ বৈদিক ব্যাকরণের দিক থেকে মৌলিক শব্দ, একে আলাদা ভাবে লিখা যাবে না। এই বৈদিক মন্ত্রে তো “বধূমন্তঃ” রথের বাহন হিসাবে ব্যাবহার উল্লেখ আছে, তাহলে কেউ কি তার ২০টি যুবতি স্ত্রী দিয়ে রথ টানাবে? এখানে কূন্তাপ সুক্তের সব নয় কয়েকটি মন্ত্র উপমালঙ্কার যুক্ত যা প্রথম দুটি মন্ত্রের নিচে তুলশিরাম উল্লেখ করে দিয়েছে। এই টাইপের মন্ত্রগুলিতে কিছু অর্থগত সমস্যার সন্মুখীন হতে হয়। আর্যসমাজীরা এই সুক্তের সুক্ষবিশ্লেষণ করেছেন মাত্র, যা এই মোল্লার পছন্দ হয়নি। এবার আর্যসমাজীদের সুক্ষবিশ্লেষণ টা একটু দেখবো। ‘বধূ’ শব্দটি আরেকটি বিশেষ অর্থ আছে যা শুধু স্ত্রী লিঙ্গকে প্রকাশ করে মাত্র। আর ‘মন্তঃ’ শব্দটি অর্থ ‘ইহা’। এই মন্ত্রে প্রথম অর্ধে ইহা+রথের বাহন হিসাবে উট কে বোঝানো হয়েছে, তাই উটের স্ত্রী লিঙ্গ মানে “উটনি” যা “বধূমন্তঃ” এর অর্থ স্থির করেছে আর্যসমাজীরা। এছাড়া এমন কোনো শাস্ত্রীয় বিধান আমার আছে বলে যানা নাই, যেখানে ২০টা বিবাহ আর সেই স্ত্রীদের দিয়ে রথ টানানোর অনুমতি দেয়।
(৩) এছাড়া মোল্লা যা এখানে দাবী তুলেছে “উটের রথ”। মোল্লার ক্ষমতা নাই এমন একটি হাদিস দেখানো, যেখানে বর্ণনা করা হবে মুহাম্মাদ ২০টি উটের টানা রথে চেপে যাতায়াত করতেন। হ্যাঁ, এবার মোল্লা যদি বলে উটের রথ আর উটে চাপা এক তবে সেই বিচারে এটাও প্রমানিত হয় চাল আর চালতা এক, আম আর আমড়া এক, গুড় আর গু এক।

আমার জবাবঃ
আলোচ্য অংশে রথ এবং ঈষমাণাঃ নিয়ে কিছু লেখা হয়নি কারন আমার নোটে পরবর্তী লাইনটি ব্যবহারই করিনি। এই দুটি শব্দই পরবর্তী লাইনে আছে। পরবর্তী লাইন পর্যন্ত দরকার হয়নি তাই তা লেখাও হয়নি। তাহলে দেখা যাক, এই দুটি শব্দ বা পরবর্তী পুরো লাইনটি আমার কোণ ব্যাখাকে পরিবর্তন করে কিনা।
ধারাবাহিকভাবে ওর কমেন্ট অনুসারে আসছি। ও লেখে সংস্কৃত দ্বির্দশ মানে নাকি ২০। তাহলে প্রশ্ন সংস্কৃত বিংশতি মানে কি ? তবে এটা সত্য যে দ্বির্দশ মানে ২০ ও ধরা যায়, ১২ ও ধরা যায়। ওর ব্যাখা দ্বি+দশ=২X১০=২০। তাহলে একাদশের পর দ্বাদশকে দুই দশ অর্থাৎ দ্বা+দশ=২ X ১০=২০ ধরতে সমস্যা কি? কিন্তু আমরা কি একাদশের পর দ্বাদশকে বিশ ধরি না ১২ ধরি ? তাই ব্যাখানুযায়ী কেউ দ্বির্দশকে ২০ কিংবা ১২ ধরতে পারে। আর বেদ প্রকাশ উপোধ্যায় সংস্কৃত অধ্যাপক, তিনি দ্বির্দশ মানে কি এটা জানেন না এমন ধরা বোকামী। অন্যদিকে সংস্ক্রৃত ভাষার উপরে এই মুর্খের কোন ডিগ্রি আছে কিনা পারলে সেটা দেখাক ও।
এরপরে লিখেছে বধুমন্তঃ শব্দটি নাকি সংস্কৃত ভাষায় একটা মৌলিক শব্দ, আর একে আলাদা করা যায় না। আমি অবাক হলাম, মৌলিক শব্দের সংজ্ঞা জানে এই মুর্খ ? মৌলিক শব্দ তাকে বলে যে শব্দকে ভাংগলে আর অন্য কোন শব্দ পাওয়া যায় না। কিন্তু "বধুমন্তঃ" ভাঙ্গলে "বধু ও মন্তঃ" দুটি আলাদা শব্দ পাওয়া যায়।
শব্দ দুটি একত্রে লেখা এজন্য এটা মৌলিক শব্দ এমন কথা তো পাগলেও বলবে না। কারন একি মন্ত্রে রয়েছে দেখুন, “রথস্য”, এখানে দুটি শব্দ, রথ এবং আস্য। রথ অর্থ বাহন, আর আস্য মানে চারুতা বা সৌন্দর্য। এখানে দুটি শব্দ একত্রেই লেখা হয়েছে এরমানে কি এই দুটি শব্দ একটি মৌলিক শব্দ? বেকুবটা হাই স্কুল পাশ করেছে কিনা সন্দেহ রয়েছে, নয়ত মৌলিক শব্দ কি তাও জানে না।
ও লিখল, এই বৈদিক মন্ত্রে তো “বধূমন্তঃ” রথের বাহন হিসাবে ব্যাবহার উল্লেখ আছে,
আমার প্রশ্ন কোথায় আছে লেখা ? এখানে স্পষ্ট বলা আছে উষ্ট্র ঈয়াশা প্রবাহানো, অর্থাত উঠ দ্বারা চালিত। বধুমন্তঃ ঈয়াশা প্রবাহানো কি লেখা আছে কোথাও ? তাহলে এই মিথ্যুকটা না জেনে ওলট পালট বকছে কেন ?
এরপরে মুর্খটা ইসলাম বিদ্বেষী আর্য সমাজের উপলংকার ব্যবহার করল মন্ত্রটিতে। ব্যাপারটা অনেকটা বিড়ালের নিকট দুধ পাহাড়া দেয়ার মত। আর্য সমাজীরা বেদে অবতারবাদ, মুর্তিপুজাবাদ, বর্নপ্রথাবাদ কিংবা যেকোন ব্যাক্তি বা স্থানের বর্ননাবাদ কিছুই মানে না। একিসাথে তারা ইসলাম বিদ্বেষীও, তাই তারা তাদের মন্ত্রভাষ্য এমনভাবেই করবে যাতে মুসলিমদের শেষ নবীর আলেখ্য তাতে না ফুটে ওঠে। তারা তিলকে তাল বানাতে পারে। আর অন্য ধর্মকে মিথ্যা প্রমানে মিথ্যা কথা বলাও এদের গুরুজীই শিখিয়ে গেছেন। তাই পক্ষপাতদুষ্ট আর্য সমাজের বানী এই অংশে কখনোই গৃহীত হবে না। যেমন আর্য সমাজের ভাষ্যানুযায়ী বেদ এ মুর্তিপুজা সম্পুর্ন নিষেধ। এই মুর্খ কি তা মানবে ?
 এরপরে রথ নিয়ে ও যা বলল, সেটার ব্যাপারে বলি, রথ শব্দের স্বাভাবিক অর্থ বাহন। আসুন দেখি সংস্কৃত ডিকশনারী অনুসারে কি আছে,
ডিকশনারীতে এর প্রথম অর্থ দেয়া chariot, কিন্তু একিসাথে এর আরেকটি অর্থ দেয়া রয়েছে তা হচ্ছে Goer বা যাত্রী বা সাওয়ারী।
সংস্কৃত ডিকশনারী লিংক spokensanskrit.de/tinput=ratha
তাহলে উটের রথের আরেক অর্থ দাঁড়ায় উটের যাত্রী বা সাওয়ারী।
একিসাথে যদি chariot অর্থও ধরি, তবে এর অর্থও যে চাক্কাওয়ালা কোন গাড়ি হতেই হবে এমন নয়। কারন Chariot অর্থ বাহন, আর বাহন শুধু যান্ত্রিকই হবে এমন নয়, ঘোড়াও, উট, গাধা এগুলোও বাহন। একটি বহুল প্রচলিত উদাহরন দেই, যেমন হিন্দুরা বলে স্বরস্বতির বাহন হচ্ছে রাজাহাস। এখন স্বরস্বতি যে রাজাহাসে বসা থাকে সেটা কি কোন চাক্কাওয়ালা গাড়ির সাথে থাকে ? কিংবা বলা হয় গনেশের বাহন ইদুর। ইদুরটিকি চাক্কাওয়ালা গাড়িতে থাকে ? অর্থাৎ বাহন বলতে স্বাভাবিক কোন প্রানী যার সওয়ারী করা যায়, তাকেও বুঝায়।
একিসাথে সেই প্রাচীন সময়ে উটের তৈরি কোন গাড়ি যে ব্যবহার হত না, এটাও সত্য নয়। কারন বাইবেলে স্পষ্টভাবে মরুভুমিতে উটের তৈরি গাড়ির কথা উল্লেখ আছে,
রেফারেন্স কিং জেমস ভার্সন Isaiah 21:7
“And he saw a chariot with a couple of horsemen, a chariot of asses, and a chariot of camels;”
সরাসরি লিংক www.biblegateway.com
তাই সেই সময় যে উটের গাড়ি বা chariot ও ব্যবহার হত, এটাই তার প্রমান।

এরপরে ও লেখে,
 (৪) সম্ভবত, এখানে উষ্ট্রা মানে বাহন রূপে ব্যাবহৃত উট নয়, এই মন্ত্রটাই রহস্যা আবৃত তাই যদি সুক্ষবিশ্লেষণ করি, যদিও এটা আমার দিকের সুক্ষবিচার আর্যসমাজের নয়। কারণ মরুভূমির বালিতে উট চললেও বালিতে রথের চাকা চলবে না অথচ এই মন্ত্রে উল্লেখ করা হচ্ছে রথ চলবে শীঘ্রগামী এবং অন্য পশুর টানা রথের তুলনাই উটে টানা রথ শীঘ্রগামী নয়। আবার এটা বলা হচ্ছে উটের রথ এমন উন্নত মানের হবে যা উন্নত মানুষের উচ্চপদ বা শিখর কে অপমান করবে। তাই সম্ভবত এখানে উষ্ট্রা মানে কোনো শীঘ্রগামী পশু এবং উষ্ট্রা রথ মানে কোনো উন্নতমানের রথকে বোঝানো হয়েছে।
আমার জবাবঃএখানে ও নিজের সুক্ষ বিচার তুলে ধরেছে। আসুন দেখি ওর চিন্তার দৌড়। ওর মতে এখানে ঊষ্ট্রা মানে উটই নয়,অন্য যেকোন বাহন। মূলত এরকম কথা বলার পর জবাব দেয়ার আর কিছু থাকে না। আটি পুজারীদের লজিক হচ্ছে, উট মানে উট নয়, অন্য কিছু। কি আর বলব। তাহলে তো বলা যায় যে খোদ মুহাম্মদ সঃ নামও যদি বেদ এ লেখা থাকত তো এরা বলত যে এই মুহাম্মদ সঃ সেই মুহাম্মদ সঃ নয়, এর অর্থ অমুক বা তমুক (অলরেডি এর স্বজাতিরা করেছেও এমনটা ভবিষ্যত পুরানে স্পষ্টভাবে মুহাম্মদ সঃ এর নাম দেখানোর পর)। তাই কেউ যদি বলে উট মানে উট নয়, তবে তাকে আর কি যুক্তি দেখানো যায় ? যাক গে, ও যুক্তিও কিছু দিয়েছে সেগুলা দেখি, ওর মতে মরুভুমির বালিতে উট চললেও রথের চাকা চলবে না। আমি পুর্বের অংশে এটা প্রমান করেছি যে রথ মানেই চাক্কাওয়ালা কোন বাহন হতেই হবে এমন নয়। এরপরো যদি ধরে নিই চাক্কাওয়ালা বাহন তবে বলি, ততকালীন আরবে যে শুধু বালুই ছিল এমন নয়, সেখানে মাটির রাস্তাও ছিল এবং, ফুল ফলের বাগানও ছিল। গাড়ি চলার মত শক্ত রাস্তায়ও সেখানে ছিল। বিভিন্ন পশুটানা চাক্কাওয়ালা গাড়ীও ব্যাবহৃত হত তখন।











আর বাইবেলেও দেখিয়েছি যে ততকালীন সময় মরুভুমিতে ঘোড়া এবং উটের তৈরি গাড়িও ব্যবহৃত হত।
এরপর মুর্খটা আবার লিখল ঊটের গাড়ি শিঘ্রগামী হতে পারে না, কিন্তু এই মন্ত্রে গাড়িটিকে শিঘ্রগামী বলা রয়েছে। এই মুর্খের উটের গতি সম্পর্কে আসলে ধারনা নাই। উট ঘন্টায় ৬৫ কিঃ মিঃ বেগে ছুটতে পারে। https://en.wikipedia.org/wiki/Camel_racing  আর অন্য পশুর তুলনায় ঊটের গাড়ী শীঘ্রগামী নয়, এটা কোন যুক্তি হতে পারে না, কারন মন্ত্রে বলা হয়নি যে তার গাড়ী হবে সবথেকে শিঘ্রগামী। বরং স্বাভাবিকভাবে বলা হয়েছে তার গাড়ী শীঘ্রগামী।
আর এই মন্ত্রে তার গড়ি “উন্নত মানুষের উচ্চপদ বা শিখর কে অপমান করবে” এই কথাটিতে স্পষ্টভাবে রুপক অর্থ চলে আসে। এই মুর্খ আক্ষরিক জিনিস যেমন উটকে রুপকভাবে অন্য কিছু ধরে আছে কিন্ত এই অংশটির রুপক অর্থ হতে পারে তা চিন্তাই করল না। এখানে সেই উটের গাড়িকে রুপকভাবে ভাবা যেতে পারে নবিজির কাফেলাকে। তার কাফেলাই সমাজে উচু নীচু ভেদাভেদ দূর করে, সমাজে থাকা উচ্চপদ মানুষ যারা মুর্তিপুজা, জাত প্রথা, দাসবৃত্তি সহ বিভিন্ন পাপে নিমজ্জিত, তাদের সেই পদকে অপমান করে রাসুলুল্লাহর কাফেলা। উষ্ট্রটানা বাহনই হচ্ছে রাসুলুল্লাহর কাফেলার প্রতীক। আর হ্যা অনেক আর্য সমাজীয় স্কলাররাই হাস্যকরভাবে বধুমন্তঃ শব্দটাকে উটের সাথে লাগিয়ে দিয়েছে। তারা লিখেছে উটের বধু, যা হাস্যকর। যেমন আচার্য বিদ্যানাথ শাস্ত্রী লিখেছেন, The twenty camels with their females ।
 অর্থাৎ উট তাদের বধু বা নারীদের নিয়ে গাড়ি টানছে। মূল সংস্কৃততে কিন্তু বধু আছে, এটা ভুললে হবে না। তাই এটি সত্যকে আড়াল করার জন্য যথেষ্ট হাস্যকর অনুবাদ বলা যায় আর্য সমাজীদের।
মুর্খটা এরপরে বলল, মুহাম্মদ একটা গুণে ক্ষত্রিয় হয়ে গেলো, বাকি গুণ গুলো কি আর দরকার নাই! আমি কোথাও বলিনি মুহাম্মদ স্ঃ ক্ষত্রিয় হয়ে গেলেন। আমি বলেছি ক্ষত্রিয়ের গুনও তার মধ্যে ছিল। পুরো সুক্তে কোথাও নারশাংসাকে ক্ষত্রিয় বলা হয়নি, তবে ক্ষত্রিয়ের গুন অর্থ যোদ্ধা হওয়ার কথা বেদ এ রয়েছে। আর আমিও তাই বলেছি যে রাসুলুল্লাহর মধ্যেও সেই ক্ষত্রিয় গুন ছিল, কারন তিনিও ছিলেন যোদ্ধা। শত্রুদের মোকাবেলায় তিনি কম বেশী ২৭ টি যুদ্ধ করেছেন। আর এখন যদি ও বলে যে ক্ষত্রিয় গুন হতে হলে হিন্দু হতে হবে তাহলে বলি এই জাতীয় মালুরাই প্রচার ব্রাক্ষন, শুদ্র, ক্ষত্ত্রিয় এগুলো গুন ও কর্ম বিভাজন। ধর্মীয় বা জাত বিভাজন না। আর যদি এগুলো জাত ও ধর্মীয় বিভাজনও হয়ে থাকে, তাতেও কিছু আসে যায় না, কারন মন্ত্রে নারশংসাকে কোথাও ক্ষত্রিয় বলা হয়নি। বলা হয়েছে তিনি যুদ্ধ করবেন, আবার ধর্মও প্রচার করবেন। ক্ষত্রিয়রা ধর্ম প্রচার করে না। অর্থাৎ যুদ্ধ করা একিসাথে ধর্মপ্রচার করার দিক দিয়ে এটা স্পষ্টভাবে রাসুলুল্লাহ সঃ এর সাথে মিলে যায়।

এরপরে ও লেখে,
সাধে কি আর মোল্লা কে মূর্খ বললাম! প্রথম মন্ত্রটা একবার দেখা যাক – (জনাঃ) হে মনুষ্য! (ইদম) যে (উপ) আদর করে (শ্রুত)শোনো যে (নরাশংসঃ)মানুষের মধ্যে প্রশংসা পাওয়া পুরুষ (স্তবিষ্যতে)গর্ব করা যাবে. সাধারণ দিক দিয়ে বিচার করলে এটা তো চিরন্তন সত্য, যাকে নিয়ে মানুষ প্রশংসা করবে তাকেই নিয়ে ওরা গর্ব করবে। এখানে নরাশংসঃ কোনো বিশেষ ব্যাক্তি নাকি! এই নরাশংসঃ যে কেউ যে কোনো কালে হতে পারে!
আমার জবাবঃ
এই বিষয়টা আসলেই এপিক ছিল। এই মিথ্যুকটা এখন এই মন্ত্র কোন মানুষকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে এটাই অস্বীকার করছে। অথচ যেকোণ ভাষ্য হতেই পুরো সুক্তটা পড়ুন, স্পষ্টভাবে বোঝা যাবে এখানে একজন বিশেষ মানবের কথা বলা হয়েছে। আচার্য্য বিদ্যানাথ শাস্ত্রি এটার অনুবাদে লেখে, O people, you hear this, the man whom people praised is described here.
অর্থাৎ এখানে স্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে একজন বিশেষ মানুষের কথা বলা হয়েছে।
৩ নাম্বার মন্ত্রে রয়েছে, বিদ্যানাথ শাস্ত্রীর অনুবাদে,
The king has given hundred gold coins, ten garlands, three hundred horses and ten thousand cows, to this industrias man to this industrias man
এটা দ্বারা স্পষ্টভাবে বুঝা যায় যে বিশেষ একজন মানুষের কথা বলা হল। তাই মিথ্যুকটা যতই মিথ্যাচার করুক, সত্য চেইঞ্জ হবে না। আর ওর মতে নারশাংসা যদি যেকোন কালের যেকোন কেউই হতে পারে, তবে ১৪০০ বছর আগের সেই সময়ের নবিজি সঃ ও হতে পারে।

 মুর্খটা আবারো বলছে,
 এখানে রাজার ভূমিকাই আছেন ইন্দ্র, যিনি হচ্ছেন এই সুক্তের স্তুতা অর্থ্যাৎ দেবতা, যিনি এখানে “নরাশংসঃ” নামে আখ্যায়িত হয়েছেন। এই সুক্তটি সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলছে বৈদিক যুগের রাজধর্মের প্রেক্ষাপট কে কোনো বেদুইন অশিক্ষিত, সন্ত্রাসের মাধ্যমে নতুন একটি ধর্ম স্থাপন কারী আরবি মুহাম্মদ কে নয়।
আমার জবাবঃ
এই কামুক বর্বর শিবের পুজারীটা আবারো আর্য সমাজের ভাষ্য ব্যবহার করতে যেয়ে গুলিয়ে ফেলেছে, ইন্দ্রকে মানুষ বানিয়ে ফেলেছে, অথচ আমরা জানি ইন্দ্র ঈশ্বরের গুনবাচক নাম ছাড়া আর কিছুই নয়। ও নাকি আর্য সমাজের ভাষ্য ব্যাবহার করেছে, তা আর্য সমাজের কোন ভাষ্যে পেল যে ইন্দ্র মানুষ বা রাজা ?

আবার লেখে,
আর মোল্লা কোন মন্ত্রের কোথাই পেয়েছে “নরাশংসের বাহন হবে উট” এখানে তো বলা আছে “উটে টানা রথের কথা”। আর রাজস্থানে এখন মাইলকে মাইল পাকা সড়ক হয়েছে তো কি হয়েছে! মরুভূমির বালিতে রথের চাকা চলবে না কিন্তু পাকা সড়কে ঠিকই চলবে।
আমার জবাবঃ
উটটি তবে কার বাহন এই মুর্খই জবাব দিক। উটের বাহন কি তবে ভুতে চালাবে ? আর এটা উটের গাড়ি কিনা, মরুভুমিতে চলতে পারবে কিনা, এই ব্যাপারটা পুর্বের কমেন্টে পরিস্কার করেছি, তাই নতুন করে আবার বলার দরকার বোধ করছি না।

এরপরে লেখে,
হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে প্রতিটি ঋষি বৈদিক ধর্মীয় বংশভূত, তাহলে মুহাম্মদ কি প্রাচীন হিন্দুজাতীর বংশভূত ছিলো? আর মুহাম্মাদ যদি বৈদিক ঋষি হয় তবে মুসলমানরা কেনো মুহাম্মাদ কে নবী বা রাসূল বলে কেনো! সরাসরী “ঋষি মুহাম্মাদ” বললে পারে! যতদূর আমি জানি ঋষি শব্দটাই আরবিদের জন্য “কুফুর”।
আমার জবাবঃপুরো সুক্তে কোথাও নারশাংসাকে ঋষি বলা হয়নি। এটি বিভিন্ন ভাষ্যকর, এই নামের সংগে ঋষি যুক্ত করেছে, যেমন কেউ লিখেছে মামহ ঋষি, কেউ রেভ ঋষি। তাই এই মুর্খকে আগে প্রমান করতে হবে এই সুক্ত নারশাংসাকে ঋষি বলা রয়েছে। মুল সংস্কৃত থেকে ঋষি শব্দটা পারলে ও দেখাক। আর আমি বলেছিলাম সংজ্ঞাগত ভাবে ঋষি অর্থ যিনি ধ্যান এর মাধ্যমে ঐশ্বরিক জ্ঞানকে লব্ধ করেছেন। আর রাসুলুল্লাহ হেরা গুহায় ধ্যান এ নিমগ্ন থাকতেন, সেখানেই তিনি প্রথম ঐশ্বরিক অধ্যাদেশ পান। আর ঋষি হলেই হিন্দু হতে হবে, আগে ও পারলে দেখাক হিন্দু জিনিসটা কি ? হিন্দু শব্দটাই বা আছে কোথায় ? ওর যেকোন ধর্মগ্রন্থ থেকে পারলে হিন্দু শব্দটা দেখাক।

এরপর অজ্ঞ বেকুবটা লেখে,

 বেশ চলুন মানলাম মুহাম্মদ ঋষি! এর সঙ্গে মোল্লা এটাও স্পস্ট করুক, মুহাম্মদ কোন আদি বৈদিক ঋষির বংশধর। বেদ সংহিতার ঋষিরা আদি ৭-৯ ঋষির পর্যায়ক্রমিক বংশধরদের মধ্যে কেউ, মুহাম্মদ কোন আদি বৈদিক ঋষির বংশধর? আর শুধু যুদ্ধ করতে পারলে ক্ষত্রিয় হওয়া যায় নাকি! আমি যতদূর জানি শৌর্য, তেজ, ধৈর্য, দক্ষতা, যুদ্ধে অপলায়ন, দান ও শাসন ক্ষমতা এইগুলোও থাকা চাই। আর মুহাম্মদ তো মরার ভয়ে মক্কা ছেড়ে মদিনাতে পালিয়ে গিয়েছিলো এটাও কি ক্ষত্রিয়ের ধর্ম!
আমার জবাবঃ
আমি আগেই বলেছি আমি কোথাও দাবী করিনি, নবিজি সঃ বৈদিক ঋষি। বরং ঋষি বলতে যা বুঝায় সে গুন নবিজির মধ্যেও রয়েছে। আর হ্যা শৌর্য, তেজ , ধৈর্য, দক্ষতা, যুদ্ধে অপলায়ন দান ও শাসন এগুলো সবই রাসুলুল্লাহর গুনা বলি ছিল। শৌর্য তেজ ও দক্ষতার প্রমান তার ২৭ টি যুদ্ধ ও বিশাল মুসলিম বাহিনিকে পরিচালনা করা। তিনি ছিলেন নেতা, কিন্তু তারপরো তিনি মুসলিমদের কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করতেন, মাটি কাটতেন, সকল পরিশ্রমের কাজ গুলোই করতেন। হাদিসে রুকানাহ নামের এক কুস্তিগীরের সাথে তার লড়াই এর ঘটনা উল্লেখ আছে যাকে রাসুলুল্লাহ পর পর তিনবার হারান এবং এরপর রুকানাহ ইসলাম কবুল করেন। এদ্বরা রাসুলুল্লাহর শৌর্য-বীর্য, শক্তি প্রকাশ পায়। আর যুদ্ধে অপলায়ন, তা রাসুলুল্লাহ কোন যুদ্ধে পলায়ন করেছে তার রেফারেন্সসহ বলুক পারলে এই মুর্খটা। দান ও শাসন, এই দুয়ের ক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহর সমসাময়িক আর কাউকেই খুজে পাওয়া যাবে না। তার দানের ব্যাপারে একটা ঘটনাই তুলে ধরি, তাহলেই বোঝা যাবে, তিরিমিজি শরীফ, হাদিস নং ৫৮৬ এ উল্লেখ আছে,
একদা নবিজি কিছু মুদ্রা অর্জন করেছিলেন। তিনি তার স্ত্রীকে বললেন, এই মুদ্রাগুলো সব গরীবদের দিয়ে দিতে। কিন্তু রাসুলুল্লাহ তখন অসুস্থ থাকলে তার স্ত্রী সেগুলো গরীবদের দিতে ভুলে যায়। যখন পরবর্তীতে রাসুলুল্লাহ এটা জানতে পারেন যে মুদ্রাগুলো এখনো গরিবদের দেওয়া হয়নি, তখন তিনি দুঃখের সহিত সেগুলো হাতে নিয়ে বলেন, “আল্লাহর নবী তখন কি ভাববে, যখন সে আল্লাহর সম্মুখে দাঁড়াবে, এবং তার হাতে তখনো এই মুদ্রাগুলো থেকে যাবে?”
হাদিস লিংক http://www.alim.org/library/hadith/TIR/586
এদ্বারা বোঝা যায় রাসুলুল্লাহ নিজের সঞ্চয়ের জন্য কখনও একটি মুদ্রাও রাখেন নি, সামান্য সম্পদ অর্জিত হলেই তিনি সেটা গরীবদের দিয়ে দিতেন। ইতিহাসে এরকম নজির কি আর পাওয়া যাবে? তার দানের ঘটনা তুলে ধরতে হলে বই লিখেও শেষ করা যাবে না। আর নবিজি সঃ মরার ভয়ে মক্কা ছেড়ে মদিনাতে পালান নি, তার সাথে ছিল তখন নব্য মুসলিম হওয়া নারী শিশু বৃদ্ধ ও পুরুষ, কাফেররা নতুন মুসলিম হওয়া সবাইকে অমানবিক নির্যাতন করত, রাসুলুল্লাহকে মারারও পরিকল্পনা করেছিল। যদি রাসুলুল্লাহ সেইসময় হিজরত না করতেন, তবে সেই সকল নবমুসলিম সাহাবীদের কি হত যাদের সাথে রয়েছে স্ত্রী শিশু বা বৃদ্ধ। রাসুলুল্লাহ সামগ্রিক বিবেচনা করেই হিজরত করেছেন। মরার ভয় যদি তার থাকত তবে তিনি ইসলামই প্রচার করতেন না। কারন জলে বসে কুমিরের সাথে লড়াই মানে নিশ্চিত মৃত্যু।আর সেটা ভেবেই তিনি কাফেরদের ভুমিতে বসেই সাফা পর্বতের পাদদেশে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলেছিলেন আল্লাহ ছাড়া আর কোন মাবুদ নেই। তাকে বহু হত্যার চেষ্টার পরেও তিনি পিছপা হন নি। আমরা জানি, উমর রাঃ ও ইসলাম গ্রহনের পুর্বে তাকে হত্যার জন্য এগিয়ে এসেছিলেন, কিন্তু পরে তাকে হত্যা করতে এসে নিজেই মুসলিম হয়ে যান। এসব ঘটনা কারো অজানা নয়। কিন্ত এসব এই নীচু জাতের শুদ্রদের কে তা বুঝাবে, যাদেরকে উচু জাতের ব্রাক্ষনরা প্রতিনিয়ত গদাম ঠাপ দেয়।
আর ঋষি নিয়ে এই চরম মুর্খটা যে পরিমানের জল ঘোলা করেছে, তাই আগে ঋষি অর্থ কি বহন করে সেটা জেনে আসি। স্বামী বিবেকানন্দের বলেন,
Rishi-state is not limited by time or place, by sex or race. Vâtsyâyana boldly declares that this Rishihood is the common property of the descendants of the sage, of the Aryan, of the non-Aryan, of even the Mlechchha.
লিংক http://www.swamivivekanandaquotes.org/swami-vivekanandas-quotes-on-rishis-and-sages.html

অর্থাৎ ঋষি যেমন হতে পারে অন্যান্য ঋষিদের বংশধর কিংবা আর্যরা তেমনি হতে পারে ননআর্যরা, এমনটা ম্লেচ্ছ অর্থাৎ বিদেশীরাও। তাহলে এটা স্পষ্ট যে ঋষি হতে হলে বৈদিক ঋষিদের বংশধর হতে হবে, আর্য হতে হবে, কিংবা বেদ রচনা করতে হবে ইত্যাদি একটাও সত্য নয়, যেটা এই মুর্খ দাবি করছে অনলাইন হিন্দুদের ধোকা দিতে।
ঋষি অর্থ মন্ত্রদ্রষ্টা (seer of thought), অর্থাত যিনি চিন্তাকে দেখতে পান। এই অর্থে যে কেউই ঋষি হতে পারেন অনার্য কিংবা বিদেশীও কেউও।

এরপরে ও লেখে,
(১) বেদ প্রকাশের এইসব ব্যাক্তিগত ও মনগড়া মন্তব্যের জন্যতো উনি পন্ডিতদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন। রামায়ণ, মহাভারত এমন কি বৈদিক ব্রাহ্মণ গ্রন্থে অনেক প্রমান পাওয়া যায় যেখানে রাজা ঋষি, মুনি ও ব্রাহ্মণদের অনেক দান অর্পিত করেছেন এবং ঋষি, মুনি ও ব্রাহ্মণরা খুশিমনে তা গ্রহণ করেছেন। এটা একদিকে যেমন রাজধর্মের অংশ ও সমাজে রাজার সন্মান বৃদ্ধি করে তেমনি অপর দিকে ইহা সমাজে ঋষি, মুনি ও ব্রাহ্মণদের মর্যাদা বৃদ্ধি করে। রাজা ধেনুদান, স্বর্ণমুদ্রাদান, হিরণ্যদান, মাল্যভূষণাদিদান, নানা বিধি পুরস্কার দান উপহার দান প্রভৃতি দিয়ে সমাজে ঋষি, মুনি ও ব্রাহ্মণদের মর্যাদা বৃদ্ধি করতেন। শ্বেতকেতু, সোমশুষ্ম ও যজ্ঞবল্ক্য কে রাজর্ষি জনক অগ্নিহোত্র বিষয়ে শিক্ষাদান করিয়েছিলেন এবং রাজর্ষি সকল ঋষি কে দান দিয়ে পরিতুস্ট করিয়েছিলেন, এদের মধ্যে যজ্ঞবল্ক্য কে রাজর্ষি জনক শতধেনু দান করেছিলেন। বস্তুত ৩নং মন্ত্রে কি পরিমাণের দান দেবে তা এখানে উল্লেখ আছে।
আমার জবাবঃ
 বেদ প্রকাশ এর বই এই মুর্খের মতে পন্ডিতদের সমালোচনার মুখে পড়েছে। আগেই পরিস্কার করেছি যে হিন্দু ধর্মে এটা হওয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক বিভিন্ন মত, প্রথা, ঐশ্বরিক ও অবতারের কনসেপ্ট ভিন্নতার কারনে।এখানে এক শাখার মতবাদই আরেক শাখায় টিকে না। কিন্তু এই মুর্খ হয়ত জানে না যে একিসাথে বহু পন্ডিতরা এই বইয়ের ভুয়সী প্রশংসাও করেছেন। বইয়ের প্রথমেই পন্ডিতদের একটি লম্বা লিষ্ট প্রদান করা আছে যেটা আমি পুর্বের নোটেও দিয়েছি যারা বেদ প্রকাশের রচনার প্রশংসা করেছেন। হালের পন্ডিত রবিশংকরও তার প্রশংসা করেছেন এমনকি তার বইয়ের অংশ বিশেষ তার নিজের লেখা বইয়েও সন্নিবেশিত করেছেন। আর কোন কোণ ঋষিরা কত উপহার পেয়েছেন এটী আসলে আলচ্য বিষয় নয়। কারন এই মন্ত্রটিতে নারশাংসাকে প্রদান করা উপহার অলংকারিক অর্থে এমনকি আর্য সমাজের ভাষ্যকররাও নিয়েছেন অনেকে। এবং বেশিরভাগ ক্লাসিকাল স্কলাররা এটি উপলংকার হিসেবেই নিয়েছেন। যজ্ঞবল্ক্য শতধেনু বা ১০০ গাভী পেয়েছেন উপহারে(যদিও রেফারেন্স নেই কোন) আর নারশাংসা পাবে ১০ হাজার। এবার সংখ্যার বিশাল পার্থক্যটা নিজেই বিচার করুন। আর যজ্ঞবল্ক যদি শত গরু উপহার পান, এটা অবাক হওয়ার কিছুই নেই। কারন উনি নিজে গরু খেতেন। রেফারেন্স শতপথ ব্রাক্ষন ৩/১/২/২১ দৃষ্টব্য । একশ গরু পেয়েই হয়ত বেচারার প্রিয় খাদ্য হয়ে গিয়েছিল গরুর মাংস, যদিও মুর্খটা একশ গরু স্বর্নমুদ্রা ইত্যাদির কোন রেফারেন্স দেয় নি।

এরপরে ও লেখে,
 এরপর মোল্লা আরেকটি মন্তব্য আমদানি করেছে- “প্রায় সকল স্কলাররাই একমত। তুলসীরাম এই মন্ত্রগুলোকে Mystical বলে আখ্যায়িত করেছে। আচার্য্য শ্রী রাম শর্মা এই সুক্তের কমেন্টারিতে লিখেছেন, এই কুন্তাপ সুক্তটি ও এর সম্বন্ধিত শব্দগুলোর অর্থ আক্ষরিক নয় বরং সাংকেতিক” (১) আমি তো তুলশিরামের ৩নং মন্ত্রের নিচে এইরকম কোনো পাদটীকা তো পেলাম না, উনি ১ ও ২নং মন্ত্রের নিচে মন্তব্যটি উল্লেখ করেছেন। (২) আর আচার্য্য শ্রী রাম শর্মা সুক্তটার যদি বুঝতে না পেরে, সুক্ষবিশ্লেষণ এরিয়ে গিয়ে লিখে দিলো সুক্তটা রহস্যা আবৃত, তবে আর কেউ নাই নাকি যে এই রহস্যের উন্মোচন করতে পারবে না! এছাড়ও রাম শর্মা এখানে কোথাও আক্ষরিক নয় এমন লেখেননি। বরং লিখেছেন"উনকা তথা উনসে সম্বন্ধিত কথানকো কে সংকেত সহিত মন্ত্রার্থ করনে কে প্রয়াস কিয়া গয়া হৈ" রামশর্মা বলেছেন "এই সূক্তের বিভিন্ন বর্গের বিভিন্ন নাম রয়েছে। এর দ্বারা কি বোঝায় তা এখানে সংকেত সহ অনুবাদের প্রয়াস করা হল।" যেমন প্রথম তিন মন্ত্রের নাম "নারাশংস্য", পরের তিন মন্ত্রের নাম "রেভ্য", পরের চার মন্ত্রের নাম "পারিক্ষিত্য" এবং শেষ চার মন্ত্রের নাম "কারব্য"। এছাড়াও উনি ত্রুটিপূর্ণ বেদের অনুবাদ করেছেন “মামহে ঋষি” যে নামের কোনো ঋষিই নাই মন্তব্যটা তো তিনিও তুলেছেন। বেদভাষ্যে যার তার আগে “ঋষি” লাগিয়ে দিলে হবে! নইলে উনি এমনি এমনি মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতীর বেদভাষ্য পড়ে প্রশংসাতে পঞ্চমুখ হবেন! বস্তুত উনি যেসব বিশ্লেষণ গুলো করার সামর্থ্য প্রকাশ করেন নাই মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী সেইসব সামর্থ্য দেখিয়েছিলো, যার জন্য উনি দয়ানন্দ সরস্বতীর বেদভাষ্য পড়ে প্রশংসাতে পঞ্চমুখ। তবে যদি এই গোটা সুক্তটাতে আক্ষরিক অর্থ প্রয়োগ করা হয় তবে সেই সুক্তটা “ক্রীড়াসুক্ত” নামে পরিচিত হবে তখন সেটা আর “কুন্তাপ সুক্ত” থাকবে না। আর আচার্য্য শ্রী রাম শর্মা এই সুক্তটা “কুন্তাপ সুক্ত” হিসাবে অনুবাদ করেছেন “ক্রীড়াসুক্ত” হিসাবে নয়। তবে যেই দিকে যান কেনো বেদে “মহাউন্মাদ” কে কোনো “উন্মা্দ” ছাড়া কেউ খুঁজে পাবে না। কুন্তাপ সুক্তের আরেক নাম যে ক্রীড়াসুক্ত তুলশিরাম দুটোনামই ব্যাবহার করেছেন।

আমার জবাবঃ
আসলে পুরো জবাবটা দিতে ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি কারন এই নির্লজ্জ একচোখা মুর্খ শুধু আর্য সমাজের ভাষ্য হতেই পুরো সুক্ত ও মন্ত্রগুলো ব্যাখা করছে। ওর মতে আর্য সমাজের ভাষ্যই এখানে সঠিক। কিন্তু এই একি ভাষ্য যখন ওদের মুর্তিপুজার বিপক্ষে দাড় করানো হয় তখন ওরা ধুতি খুলে দৌড় মারে। আর্য সমাজীদের বেদ ভাষ্য মুর্তিপুজার বিপক্ষে। কিন্তু এই মুর্খ তো শিবের আটির ভক্ত। মুর্তি পুজায় এই মুর্খ ও এর সমসাময়িক অধিকাংশ অনলাইন হিন্দুরা সিদ্ধ। মুখে বলে বেদ মানেই আর্য সমাজ ভাষ্য, কিন্তু মন্দিরে যেয়ে জয় মা বলে ড্যাবকা ফিগারের মুর্তিগুলোর নিতম্বে মুখ গুজে এরাই। তুলসীরাম এই সুক্তের প্রথম দুটি মন্ত্রকে Mystical বা রহস্যময় বললেও ৩ নাম্বার মন্ত্রটিকে সেরকম কিছু বলেন নি। আর আমি আমার নোটেও কোথাও বলিনি যে তুলসীরাম এই ৩ নাম্বার মন্ত্রটিকে Mystical বা রহস্যময় বলেছে। আমি বলেছি মন্ত্রগুলোকে। আর প্রথম দুটিকে উনি সাংকেতিক রহস্যময় বললেও ৩ নাম্বারটিকে আক্ষরিক অনুবাদ করে গেছেন। আর কিছুই বলেন নি। এ দ্বারা কি প্রমানিত হয় ? একটি সুক্ত শুরু হয় দুটি সাংকেতিক মন্ত্র দিয়ে এরপরেরটা আক্ষরিকই অনুবাদ রয়ে যায় এটা অবাক ব্যাপার। তবে আসল কথা তিনি এটাকেও যদি সাংকেতিকই ধরে নিতেন তাতেই বা কি, সেকি এগুলো নবিজির সাহাবাদের সংখ্যার সহিত তুলনা করতেন ? মোটেই না। মুলত আলেখ্য এর ব্যাপারটা কখনো আক্ষরিক হয় না। তবে এটা সত্য, এখানে গাভীর সংখ্যাকে সাহাবার সংখ্যার সংকেত ধরা পন্ডিত বেদ প্রকাশের নিজস্ব আলেখ্য। হাদিসেও সাহাবাদের নিরীহ গাভীর সহিত তুলনার কথা রয়েছে। কেউ সামগ্রিক বিষয়টাকে সত্য মানতেও পারে, আবার কেউ চাইলে কেয়ামত পর্যন্ত সেটা অস্বীকার করে যেতেই পারে। তারা গরুতে গরুই দেখবে। মানুষ আর পাবে না। কয়লার খনিতে তারা শুধু কয়লাই পাবে, হীরা পাবে না। তাই কেউ যদি বেদ প্রকাশের এই মন্ত্রের ব্যাখা অস্বীকার করতে চায় তো সে সেটা কেয়ামত পর্যন্তই করতে পারবে।

এরপরে লেখে,
(১) মোল্লার ভাষাই নামের অর্থ মিললে চলবে বাক্তিগত বৈশিষ্ট্যগুলো দেখার দরকার নাই। সেইভাবে বিচার করলে ভারত-পাক সীমান্তের অঞ্চলে “Jaieh-e-mohammed” নামক একটি ইসলামী সন্ত্রাসী গ্রুপ আছে, যার অর্থ “মুহাম্মাদের আর্মি” সেই অর্থে দাঁড়াই মুহাম্মাদ সন্ত্রাসী গ্রুপের লিডার! (২) এখানে রেভের অর্থ স্তুতা, বিদ্বান বা প্রশংসক হিসাবে ব্যাবহার হতে পারে কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এটা কাকে উদ্দেশ্য করে বলা হচ্ছে। এখানে রেভ সেই যে সৎউপদেশ দ্বারা মানুষের মনের ক্লেশ কে দূর করে, যার ভূমিকাই এই অনুবাদে আছে স্ত্রী-পুরুষ(মা-বাবা) কোনো অশিক্ষিত বেদুইন মুহাম্মাদ নয়।

আমার জবাবঃ
 মুর্খটা লিখেছে Jaieh-e-mohammed কিন্তু শব্দটা আসলে হবে Jaish e mohammed যাক গে, মুর্খরা কি আর সঠিকভাবে ইংরেজী পড়তে পারে, ভুল হওয়াটাই স্বভাবিক। কিন্তু কথা হচ্ছে যারা নিজেদের নাম জাইশে মুহাম্মাদ রেখেছে, তারা কি অন্য কোন অর্থ মীন করেছে নাকি তারা এখানে মুহাম্মাদ বলতে মুহাম্মদ সঃ কেই মীন করেছে ? হোক তাদের বৈশীষ্ট রাসুলুল্লহার আর্মীর সাথে মিলযুক্ত বা অমিলযুক্ত। তাহলে কি আমরা ধরে নিতে পারি যে রেভ নামটিও যিনি লিখেছেন তিনিও মুহাম্মদ সঃ এর নাম আহম্মদ এর সাথে মিলিয়েই রেখেছেন ? বা লেখক রেভ দ্বারা মুহাম্মদ সঃ কেই বুঝাতে চেয়েছেন ?
আসলে এই পুরো নোটেই এই মুর্খের বহু কুযুক্তিতে ভরা। সেগুলোর জবাব দিতে গেলেও কুযুক্তিই প্রদান করতে হয়। রেভ এর অর্থ স্তোতা, আর আমিও আমার নোটে লিখেছিলাম, রাসুলুল্লাহর আরেক নাম আহমদ যার অর্থ স্তোতা বা যিনি প্রশংসা করেন। আর শ্রী রাম শর্মার অনুবাদে সৎ উপদেশ দিয়ে মানুষের ক্লেশ দূর, স্ত্রী পুরুষ ইত্যাদির কোন উল্লেখ নাই। আর্য সমাজের অনুবাদে থাকতে পারে, সেক্ষেত্রে এই মুর্খ পারলে এই মন্ত্র হতে ক্লেশ, স্ত্রী পুরুষ এই তিন শব্দের সংস্কৃত শব্দ তিনটি বের করে দেখাক পারলে। এদ্বারাই বোঝা যায় আর্য সমাজীরা মন্ত্রে নতুন নতুন শব্দ যুক্ত করে অর্থই পরিবর্তন করে ফেলে মন্ত্রের। আর্য সমাজের এক স্কলারের অনুবাদ থেকে আরেক স্কলারর অনুবাদ এ আকাশ পাতাল পার্থক্য দেখা যায়। কেউ যদি দুজন পৃথক স্কলারের অনুবাদিত বেদ পড়ে, তবে তার মনে হবে সে সম্পুর্ন ভিন্ন দুটি বই পাঠ করছে। এ ব্যাপারটা এই মিথ্যুকটাও খুব ভালো করে জানে। আর হ্যা মন্ত্রে সেসব থাকুক বা না থাকুক, রাসুলুল্লাহ সারাজীবন মানুষকে সৎ উপদেশ দিয়েছেন এবং শুধু উপদেশ দিয়েই নয়, নিজের শ্রমেই মানুষের দুখ দূর করতে সচেষ্ট হয়েছেন।

এরপরে মিথ্যুকটা লিখে, এবার কাটমোল্লা অথর্ববেদের ২০.১২৭.৫ থেকে আরেকটি দাবী নিয়ে এসেছে-“৫ নাম্বার মন্ত্রটি গ্রিফিন্থ এভাবে অনুবাদ করেছে “শিকারী-দেখিয়া যেমন শিকারগণ বলশালী বৃষবৎ করিয়া পলায়ন ।। গৃহেতে থাকে তাহাদের কেবল বৎসগণ অপেক্ষা করিয়া থাকে গাভীদের জন্য” এর আগের মন্ত্রে গরু যে আক্ষরিক নয় তা এই মন্ত্রেই প্রমানিত হয়। গাভীদের জন্য তাদের বৎসগণ অধীর আগ্রহে বাড়িতে অপেক্ষা করছে, এটা খুব স্পষ্টভাবে কুরাইশদের অত্যাচারে হিজরতকারী সাহাবীদের পরিজনদের কথা বলেছে, যারা গৃহে বসে তাদের ফিরে আসার অপেক্ষা করছিল।অষ্টম হিজরিতে মক্কা বিজয়ের পর সাহাবীরা পুনরায় নিজ মাতৃভুমিতে এসে ফেলে আসা সন্তান সন্ততি ও পরিবার পরিজনদের সাথে মিলিত হবার সুযোগ পায়। (১) বেশ তো এই ভাবে তিল কে তাল করে বেদের মন্ত্রগুলো মহাউন্মাদের ইতিহাস বানিয়ে ফেললে হয়।মনে হয় কাটমোল্লাদের এটাই করতে বাকি রেখেছে এখনো। (২) কিন্তু এখানে তো আক্ষরিক অর্থ হিসাবে কোনোটাকে তুলে ধরা হয়নি। মোল্লা এখানে বলতে চাইছে গরু আক্ষরিক অর্থ হিসাবে এখানে ব্যাবহার হয়েছে! (বৃষাঃ)বলবান+(গাবঃ ইব)বৃষের সমান কোনোটাও এখানে আক্ষরিক অর্থ নয়। বাকি থাকে (গাঃ), এর অর্থ “সাথে দাঁডিয়ে সম্পর্কিত” অর্থে এখানে ব্যাবহার হয়েছে। এখানে (এষাম) বিদ্বানদের উদ্দেশ্য বলা হয়েছে, পরের মন্ত্রে আবার (এষাম) কে (গোবিদম) ভূখন্ড কে প্রাপ্তকারী হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে, সরল পাঠার্থ গঠনের সুবিধার্থে তাই (গাঃ)=বিদ্বান+রাজ্যাধিকারী অর্থে ব্যাবহার হয়েছে। এগুলো কি আক্ষরিক অর্থ? এখানে দুটো অনুবাদ আছে এক গ্রিফিন্থের আরেকটি আর্য সমাজীদের মেন পেজের এবার নিজের মিলিয়ে দেখুন! মজার ব্যাপার বেদের প্রাথমিক লেভেলে শিখানো হয় বেদে প্রতিটি মন্ত্রে কিছু না কিছু জ্ঞানমূলক শিক্ষা লুকিয়ে থাকে, যার জন্য বেদের আরেক নাম “জ্ঞান”। যা আর্য সমাজীরা কিন্তু পরিস্কার ভাবে তুলে ধরেছে!
আমার জবাবঃ
কানাটা লিখল, কিন্তু এখানে তো আক্ষরিক অর্থ হিসাবে কোনোটাকে তুলে ধরা হয়নি। মোল্লা এখানে বলতে চাইছে গরু আক্ষরিক অর্থ হিসাবে এখানে ব্যাবহার হয়েছে! আমি যা লিখেছি ও সম্পুর্ন তার উলটা দাবী করেছে আমার বিষয়ে, আমি কোথাও লিখিনি গরু এখানে আক্ষরিক অর্থ, উলটো লিখেছি গরু এখানে আক্ষরিক অর্থ নয়। ও সেটাই প্রমান করল, অর্থাৎ আমার কথাটিকেই ও প্রমান করে দিল। আমিও বলেছি যে এই মন্ত্রে গরু আক্ষরিক অর্থ নয়। তবে হ্যা এখানে লক্ষনীয় এর আগের মন্ত্রে দশ হাজার গরু প্রদানকে কিন্তু আক্ষরিক ধরে নিয়েছিল এই মিথ্যুক এক চোখা, সেখানে সে যজ্ঞবল্কের ১০০ গরু দানের সাথে এটাকে তুলনা করে দশ হাজার গরুকে আক্ষরিক তুলে ধরল, আবার এই মন্ত্রেই সে গরুগুলোকে সাংকেতিকভাবে তুলে ধরল, অর্থাৎ নিজের সুবিধামত যখন যেটা খুশী তখন সেটা চালিয়ে দেয় এই মিথ্যুক।
একিসাথে আরো মিথ্যা লিখল যে গ্রিফিন্ত এর আর্য সমাজের মেইন পেজে অনুবাদ মিলিয়ে দেখতে বলল, যে সেখানে এমন কিছু নেই। অথচ গ্রিফিন্থ এর অনুবাদে স্পষ্ট রয়েছে,
Their little maidens are at hoem, at home they wait upon the cows.
অর্থাৎ আমি বাংলাতে যেটা লিখেছিলাম সেটাই বলা হয়েছে, গৃহেতে থাকে তাহাদের কেবল বৎসগণ অপেক্ষা করিয়া থাকে গাভীদের জন্য অর্থাৎ কৌরামা বা হিজরতকারী রাসুলের সহীত অবস্থানরত সাহাবাদের বতসগণ মক্কাতে গৃহে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে। গরু এখানে সাহাবাদের সাংকেতিক চিহ্ন। যেটা আমি বলেছিলাম, অথচ মুর্খটা বলল আমি নাকি বলেছি গরু আক্ষরিক অর্থ।
 মূলত বেদ প্রকাশের এই সাংকেতিক বিশ্লেষনটি খুব পরিস্কারভাবেই রাসুলুল্লাহ ও সাহাবীদের ঘটনাগুলির সাথে মিলে যায়।

মিথ্যাবাদিটা এরপরে লিখল,
(১) এবার কাটমোল্লা আরেক বৈদিক ঋষির আবিস্কার করলো “রেভ ঋষি”! (২) মোল্লা লেখা দেখে মনে হচ্ছে, মোল্লা নোটের মাধ্যমে সাধারণদের আইওয়াশ করতে নেমেছে। এক একবার এক একজনের অনুবাদ নিয়ে টানাটানি করছে, মূলত ওর কু-বুদ্ধি আর জাকিরের মন্তব্যের সাথে যারই অনুবাদের মিল পাচ্ছে তাকেই সেখান থেকে তুলছে, কোনো একটি স্থানে স্থির থাকছে না। This is called confusing effect. (৩) আগের মন্ত্রে মানে ৪নং মন্ত্রে “রেভ” মানে বুঝিয়েছিলো স্ত্রী-পুরুষ কে মানে মা-বাবা কে। যদিও এখানে রেভ মানে স্তুতা বা বিদ্বান বা প্রশংসক হিসাবে ব্যাবহার হতে পারে কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এটাই সেটা কাকে উদ্দেশ্য করে বলা হচ্ছে। এখানে রেভ হল সেই যে রাজ্য এবং ধন প্রাপ্তির জন্য সৎউপদেশ দেয়। আর বৈদিক যুগে রাজসভা তে এই ধরণের ব্যাক্তি উপস্থিত থাকতো। এই যেমন হস্তিনাপুরের রাজসভাতে বিদূর ও ব্যাসের রেভ হিসাবে অবস্থান, রেভ এর এই সমস্থ কর্মের জন্যই তো রেভ প্রশংসক। (৪) সবচেয়ে বড় ব্যাপার এখানে কোনো জ্ঞানময় গ্রন্থের অবতীর্ণের কথাই উল্লেখ নাই এখানে বল হয়েছে মনুষ্য বিদ্বানদের মধ্যে বসে আলোচনা করে একটি কার্যকারী সিদ্ধান্তে উপনিত হওয়া, মোল্লাদের দাবী যদি আমরা মানি তবে এটাও প্রমাণিত হচ্ছে কোরাণ আল্লার বাণী নয়!

 আমার জবাবঃ
(১) রেভ ঋষি বিষয়টা আমি আবিষ্কার করিনি, যেহেতু পুর্বে এই মহামানবের সহিত বিভিন্ন ভাষ্যকরেরা ঋষি যুক্ত করেছেন তাই আমিও এটার সহিত ঋষি যুক্ত করলাম, ঋষি মানে কি এটা আগেই ব্যাখা করেছি। এখন যদি এখানে ঋষি বাদ দিই, তাতেও কিছু ওলটপালট হয় না।
(২) সাধারনের আইওয়াশ করতে কে নেমেছে তা এইজাতীয় হিন্দুদের দেখলেই বোঝা যায়। এরা অবশ্য সাধারনের আইওয়াশ করেনা, করে নীচু জাতের আইওয়াশ। কারন সাধারন যারা রয়েছে তাদের বুদ্ধিবিবেক এদের থেকে উন্নত। এর দ্বারা সাধারনের আইওয়াশ সম্ভব না। আর এক একবার একেক জনের অনুবাদ টানাটানি করাটা যদি দোষের হয়, তবে একেক জনের আলাদা আলাদা অনুবাদই তো দোষের। ভাষ্যকরেরা আলাদা আলাদা অনুবাদ কেন করেছে তার আগে জবাব দিক। তারা আলাদা আলাদা বক্তব্য প্রদান করেছে আর আমি সেগুলো তুলে ধরতেও পারব না, এ কেমন কথা। আর নিজের ইচ্ছামত বিভিন্ন অনুবাদকের অনুবাদ নিয়ে কে টানা টানি করে সেটা এই মুর্খ্র পুংসবন নিয়ে লেখা নোটের জবাবেই তুলে ধরেছি। এরপর কোন মুখে ও এই কথা বলে ? এমনকি এই নোটেও ও অনেকজনের অনুবাদ বিভিন্ন জায়গাতে ইচ্ছেমত ব্যাবহার করেছে।
 (৩) রেভ দ্বারা কোথায় নারী পুরুষকে বুঝিয়েছে তার সংস্কৃত মন্ত্রটি তুলে পারলে ও দেখাক, আর্য সমাজের মনগড়া ভাষ্য থেকে নয়। মুল মন্ত্রে নারীপুরষ এর সংস্ক্রত শব্দটি পারলে দেখাক।
 (৪)মুর্খের মতে এখানে নাকি জ্ঞানময় গ্রন্থের কথা নেই, আসুন দেখি, গ্রিফিন্থের আক্ষরিক অনুবাদটা দেখি, মন্ত্রে রয়েছে, ধীম ভার্সবা গোবিন্দা বাসুভিধাম আচার্য্য শ্রীরাম শর্মা লিখেছেন অনুবাদে, গোধন ও সম্পদ প্রাপ্তী করার বুদ্ধি ধারন করে, অর্থাৎ এমন বানী যা গোধন ও সম্পদ বৃদ্ধি করবে, এরপরে আছে, এই বানী সংরক্ষন করে সেই স্তোতা দেবতারাজ বা ঈশ্বরের প্রতি স্তুতি করবে। গ্রিফিন্থ লিখেছে,
O Singer, bring thou forth the hymn that findeth cattle, findeth: wealth. p. 364 Even as an archer aims his shaft address this prayer unto the Gods.
অর্থাৎ সেই বানী বা গীতি যা সম্পদ ও গোধন আনে, এবং যা সৃষ্টার উদ্দেশ্যে গাওয়া হয় এখানে এটাকে কোরান বলা যেতে পারে, কোরান হচ্ছে পুরোটাই গীতি, এটি সুর করে পড়া হয়, এবং এটি পড়া হয় সেই সৃষ্টার উদ্দেশ্যে। আর মুহাম্মদ সঃ ই সেই কোরান নামক গীতির স্তোতা। আর গোধন বা সম্পদ আনাটিকেও রুপক অর্থ এ নেয়া যেতে পারে। গোধন আনে, অর্থাৎ সাহাবীদের আনে, কারন রাসুলুল্লাহ মক্কাবাসীর মাঝে কোরান প্রচার করেই সাহাবী আনতেন। আর সম্পদ, নিসন্দেহে কোরান পাঠের মাধ্যমে জাগতিক ও পরলৌকিক সকল সম্পদ নিহিত। এই সম্পদ হতে পারে আত্নিক পার্থিব কিংবা বেহেশত। বেহেশত এর থেকে বড় সম্পদ আর কিই বা হতে পারে?

এরপরে মহামুর্খটা লেখে,
 (১) একই ভাবে অমুসলিম পন্ডিত ও লেখক তো বটেই মুসলিম পন্ডিতরাও মুহাম্মদ কে সর্বকালের সর্বনিম্ন মানব বলেছে, উনাদের বই বা লিখা গুলো পড়লে তা বুঝা যায়। শুধু মুহাম্মদ কেনো উনাদের অনেকেই এটাও মানে ইসলাম সন্ত্রাসের ধর্ম। আজকাল তো বাজারে মুহাম্মাদ কার্টুন কিনতে পাওয়া যায়। (২) অথর্ববেদের ২০.১২৭.৭ এখানে স্পস্ট করে বলা হয়েছে, সেই বিশ্বজনীন সর্বশ্রেষ্ট রাজার উপকারী গুণ গুলোকে নিজের মধ্যে প্রস্ফুটিত করার উপদেশ। গোটা সুক্তটার বিষয় যখন “রাজধর্মের উপদেশ” ও গোটা সুক্তটাই যখন বৈদিক যুগের রাজধর্মের প্রেক্ষাপট কে তুলে ধরছে তখন সেখানে আমি মরুদস্যু মুহাম্মদ কে খুঁজতে যাবো কেনো! (৩) এই গোটা সুক্তে কাকে রাজা হিসাবে উল্লেখ করা হচ্ছে, তা ১১নং এবং ১৩নং মন্ত্রে এসে পরিস্কার হয়ে যায়। সেই হচ্ছে “ইন্দ্র”, যে এই সুক্তের দেবতা, যে এখানে রাজার ভূমিকাই আছে, যাকে কেন্দ্র করে মন্ত্র গুলো কে স্তুতি করা হচ্ছে।

আমার জবাবঃ
(১) মুসলিম পন্ডীত বলতে কি বোঝায় তা বোধহয় এই গাধার জানা নাই। মুসলিম পন্ডিত বলতেই ও মনে করে আলী সিনাহ বা ঐটাইপের দু একটা খ্রিষ্টানদের ফেক একাউন্টকে যাদের সর্বোচ্চ দৌড় দু একটা অনলাইন হাদিস ধরিয়ে দেয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কিংবা আলী দস্তি নামক ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিককে, এদেরকেই তাহলে ও মুসলিম পন্ডিত ভাবছে ?আলী দস্তির বই খানাকে তো বাংলাদেশের অঘোষিত নাস্তিক গুরু জাফর ইকবালও সমালোচনা করেছেন। তার মতে কোন সুস্থ সমালোচনার ভাষা এমন হতে পারে না যেটা আলী দস্তি রচনা করেছে। তিনি একজন নাস্তিক হয়েও এই কথা বলেছেন। আর এই মুর্খ পারলে দেখাক, স্বীকৃত একজন আলেম, বা একজন মুহাদ্দিস, যে রাসুলুল্লাহকে সর্বনিম্ন মানুষ বলেছে, ও যে বলল মুসলিম পন্ডিত, পারলে একটা উদাহরন দেখাক, সর্বনিম্ন মানুষ বলা তো দূরে থাক, তার সম্পর্কে কোন মুহাদ্দিস তাবেঈ আলেমগন একটি খারাপ কথা বলার চিন্তাও করতে পারে না, অথচ হাদিস সনদ সীরাত গ্রন্থসমুহ তারাই সবথেকে ভালো জানেন। তারা কেউ রাসুলুল্লাহকে খারাপ বলেছে এমন একটা উদাহরন দেখাক। রাসুলুল্লাহ যদি খারাপ হত তবে পৃথিবিতে লাখো লাখো আলেম একজনও আর মুসলিম থাকত না। এটলিষ্ট তাদের মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগই নাস্তিক হয়ে যেত। কিন্তু আমরা দেখি সম্পুর্ন উলটো। আর ইসলামকে সন্ত্রাসের ধর্ম, ও নবিজিকে নিয়ে কার্টুন, এগুলো কোন বিখ্যাত ব্যাক্তিরা করেন নি, মনিষি ত দূরে থাক। দুচারজন হাতে গোনা অখ্যাত ইসলাম বিদ্বেষী ছাড়া।
(২) সেই রাজার(মুহাম্মদ সঃ) উপকারী গুন ধারন করাটি প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ফরজ।এই মুর্খটা বৈদিক ধর্ম, বৈদিক ধর্ম, রাজধর্ম, ইত্যাদি বলে বলে চেচিয়ে নিজের মুখে ফেনা তুলে ফেলেছে, অথচ তথাকথিত সেই রাজধর্মের ১০০ ভাগই নবিজির রাজধর্মের সাথে মিলে যায়। আর রাসুলুল্লাহ দস্যু হলে(নাউজুবিল্লাহ) শিব হচ্ছে পর্নষ্টার প্লাস জ্যাক দ্যা রিপার প্লাস প্রাচীন ঠগীদের ক্লাসিক ভার্সন। যদিও ঠগি ডাকাতরা কালির পুজা করত। আর এই মুর্খের তাকে ফলো করাই মানায়।
(৩)আবারো সেই অবৈদিক কথা, ইন্দ্রকে রাজা বানাইয়া ফালাইছে। এই মুর্খ তবে ওর এই দাবীটা আর্য সমাজের কাছে পেশ করুক, যে ইন্দ্র একজন মনুষ্যধারী দানবীর রাজা। দেখি ওর বাহাদুরি।

আবার লেখে ও,
 (১) এই মন্ত্র ও আগের মন্ত্র গুলো থেকে এটাই প্রমাণিত হচ্ছে। এখানে রাজা হবে খুব ধনবান নইলে এতো দান দেওয়া খুব অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু সেই তুলনাই মুহাম্মাদ তো গরীব ছিলো, অতো ধন সম্পদ তো মুহাম্মাদের কাছে ছিলো না! তবে কাটমোল্লারা কি ভেবে দাবী তোলে এই মন্ত্র গুলোতে মুহাম্মাদের উল্লেখ আছে?
(২) এই মন্ত্রে স্পস্ট ভাবে বলা হয়েছে রাজা এমন কোনো পদক্ষেপ নেবে যাতে গো-সমূহদের বৃদ্ধি ঘটবে, অর্থ্যাৎ গো-সমূহদের রক্ষার কথা বলা হয়েছে, কিন্তু মুহাম্মাদ ও তাদের অনুসারীরা কেনো গো-ভক্ষক?

আমার জবাবঃ
(১)এই মুর্খের ইসলামিক ইতিহাস সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারনা নেই, রাসুলুল্লাহর দানের ব্যাপারে আগেই তুলে ধরেছি। আর হ্যা নিসঃন্দেহে তিনি ধনীও ছিলেন। বিবি খাদিজার মৃত্যুর পর সকল সম্পদ তিনি রাসুলুল্লাহ্র নামেই লিখে দিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু রাসুলুল্লাহ সেই সম্পদ এর কিছুই নিজের জন্য ব্যায় করেন নি। সেই পুরো সম্পদ তিনি দান করে দেন। বিবি খাদিজা ছিলেন সম্পদশালী মহিলা। তাই সেই বিশাল সম্পদ তিনি দান করে দিয়েছেন, এবার মুর্খটা নিজেই বুঝুক, দান করতে হলে কি পূজিভুত সম্পদ লাগে ?
(২) আবারো বলেছি গো এখানে রুপক অর্থ দাড় করানো হয়েছে। এখানে গাভী রক্ষা মানে সাহাবাদেরকে রক্ষার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলা হয়েছিল, যারা ছিল কাফিরদের ভুমিতে অসহায়। তবে এবার দেখুন এই মিথ্যাবাদির দ্বিমুখিতা, এর আগের মন্ত্রেই ও দাবী করল গরু এখানে রুপক, আবার এই মন্ত্রে দাবী করল আক্ষরিক, বোঝাই যাচ্ছে গিরগিটির মত কিভাবে রঙ বদলায় এই ঠগীর বংশধরেরা।

আবার লেখে,
 (১) বেশ ঠিক আছে মানলাম! প্রথমত আমি দূত মানে That Prophet ধরবো না কারণ নবীবাদ সনাতন ধর্মে নাই। দ্বিতীয়ত যদি এখানে বেদের নবায়ন এর কথা বলা হয় তাহলে এটাও স্পস্ট করতে হবে মুহাম্মাদ কোন বেদের কোন অংশে কে পুনঃনবীকরণ করেছে বা কোন বেদের উপর কাজ করেছে? আর একটা জিনিস বুঝছি না সনাতন ধর্মে কি ঈশ্বরের দূতের অভাব পড়েছে যে আব্রাহামিক ধর্ম গুলো থেকে দূত কে ধার করতে যাবে, না ১৪০০ বছর ধরে সনাতন ধর্মে কোনো দূত আসেনি, গীতাই শ্রী কৃষ্ণ তো বলে গেছেন ধর্মরক্ষার জন্য তিনি যুগ যুগ ধরে আবির্ভূত হবেন! ঋগ্বেদের ১.১০৫.৪ এর মূলমন্ত্র, মন্ত্রের পদগঠন, ভাষার্থ ও সবচেয়ে দামী মন্ত্রের সঠিক উদ্দেশ্য ও সরল অর্থ যা এই মন্ত্রের মূল জ্ঞান সেই ভাবার্থ কে শুদ্ধ আলোচনা করেছি। মজার বিষয় কাটমোল্লা যে মন্ত্রকে দিয়ে তার অপপ্রচার লিখা শুরু করেছিলো সেই মন্ত্রটি সাধারণ হিন্দুদের জন্য একটি উপদেশ দিয়ে দিলো।।

আমার জবাবঃ
মুর্খটা লিখেছে দূত মানে ও নবীবাদ ধরবে না, কারন নবীবাদ সনাতন ধর্মে নাই। এত বিনুদুন কই রাখি ? দূত মানেই হচ্ছে নবী, নবী মানেই হচ্ছে দূত। অর্থাৎ নবীবাদ আছে বলেই তো এখানে সেই দূতের কথা বলা হয়েছে। আবারো মুর্খের মত প্রশ্ন করেছে মুহাম্মদ সঃ বেদ এর কোন অংশের উপর কাজ করেছে, এর জবাব আগেও দিয়েছি। অন্যভাবে বলা যায়, মুহাম্মদ সঃ অন্তিম বেদ তথা অন্তিম জ্ঞান কোরানের উপর কাজ করেছেন।
আর গীতা অনুসারে কৃষ্ণ যদি যুগে যুগে আসে, তবে গত একশ বছরে কৃষ্ণ কয়বার এসেছে তা ও উল্লেখ করুক। পারলে দু একটা ভিডিও ফুটেজও পারলে দেখাক গত যুগে আবির্ভুত কৃষ্ণের। কুরুক্ষেত্রর পর কৃষ্ণ কি আসছে কোথাও আর? এই মন্ত্রটিই সাধারন হিন্দুদের উপদেশ দিচ্ছে ইসলামের সত্যতার ও সর্বশেষ ধর্মের বিবেচনের।

এরপরে লিখে,

বেদ সম্বন্ধে এইসব মূর্খ মোল্লারা বেদে “ব” টাও না জেনে এসেছে বেদ নিয়ে অপপ্রচার করতে। বস্তুত এইসব কোনো মন্ত্রেও মুহাম্মাদের কোনো উল্লেখ নাই। এইসব মন্ত্রে উক্ত নামগুলো স্তুতি করা হচ্ছে সেই সুক্তের দেবতা কে বা কোনো একটি নির্দিষ্ট চরিত্র কে, এই যেমন এই মন্ত্রসমূহে নরাশংস শব্দটি আছে যা কোনো মন্ত্রে রাজা, কোথাও ঈশ্বর, কোথাও যজ্ঞ অর্থে ব্যাবহৃত হয়েছে, কোনো মুহাম্মাদ কে উদ্দেশ্য করে নয়। যদি বেদে মুহাম্মাদ থাকতো তবে অনেক আগে ভারতের সবচেয়ে বড় বৈদিক সংস্থা আর্য সমাজ তার মান্যতা দিয়ে দিতো! এগুলোসব এইসব কাটমোল্লাদের কাটা বুদ্ধির প্রয়াস মাত্র। এইসব কাটমোল্লারা যখনই কোনো এই টাইপের নোট লিখবে আপনিও উল্লেখ করে দেবেন “আমিও আপনার নোটের প্রতিটি বিষয় মেনে নেবো যদি এটা আর্য সমাজীদের দ্বারা পরীক্ষিত প্রমাণিত হয়”। কাটমোল্লারাও পারে বেদের এইসব বিষয় গুলো নিয়ে প্রিন্ট বের করে (প্রমাণ স্বরূপ) সঙ্গে একটি চিঠি লিখে তা সরাসরি আর্য সমাজের মেন অফিসে পাঠিয়ে দিতে, মোল্লাও নিজেও দেখে নেবে উনারা কি উত্তর লিখে পাঠাই বা সরাসরি আর্য সমাজের অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করতে পারে। মোল্লা এইদিকে কিন্তু হাঁটবে না কারণ মোল্লা ভালো জানে হাটে হাঁড়ি ভেঙে যেতে পারে।নরম পেয়ে গরম দেখানো যায় কিন্তু গরমের উপর গরম দেখানো যায় না। এইসব কাটমোল্লারা জানে বেদ সম্বন্ধে অধিকাংশ হিন্দু পরিচিত নয় এবং বাংলা ভাষাতে শুদ্ধ বেদের অনুবাদ এখনো কেউ লিখে নাই যার দরুণ ওরা বেদ নিয়ে এইসব অপপ্রচার করার সুযোগ পেয়ে যায়!
আমার জবাবঃ
বেদ নিয়ে অপপ্রচার সবথেকে বেশী করে হিন্দুরা। অনলাইন আর্য সমাজীরা বেদ নিয়ে সাধারনের আইওয়াশ করতে কি পরিমান মিথ্যাচার করত সেটা আমি বিভিন্ন সময় আমার বিভিন্ন নোটে তুলে ধরেছি। আর হ্যা কেউ যদি এখানে মুহাম্মদ সঃ এর কোন উল্লেখ নেই, এমনটা মেনেই খুশী থাকতে চায়, তবে সেটা সে কেয়ামত পর্যন্ত পারবে। অনলাইন বুদ্ধিবিবেক হীন হিন্দুরা সেটাই সাধারনত করে থাকে। এরপরে ও মজার কথা লিখে, যদি বেদে মুহাম্মাদ থাকতো তবে অনেক আগে ভারতের সবচেয়ে বড় বৈদিক সংস্থা আর্য সমাজ তার মান্যতা দিয়ে দিতো! ইসলাম বিদ্বেশী আর্য সমাজীরা নাকি বেদ এ মুহাম্মদ সঃ এর মান্যতা দিবে, এর থেকে হাস্যকর আর কি হতে পারে ? তারা তো বেদ এ শীব স্বরস্বতি এদেরো মান্যতা দেয় না । আরো মজা পাই, মুর্খটা লিখে, এইসব কাটমোল্লারা যখনই কোনো এই টাইপের নোট লিখবে আপনিও উল্লেখ করে দেবেন “আমিও আপনার নোটের প্রতিটি বিষয় মেনে নেবো যদি এটা আর্য সমাজীদের দ্বারা পরীক্ষিত প্রমাণিত হয়”। অর্থাৎ আর্য সমাজীরা মান্যতা দিলেই নাকি সেটা গ্রহন যোগ্যতা পাবে বেদের বিষয়ে। তা আর্য সমাজীরা বেদ অনুসারে মুর্তিপজাকে হারাম মনে করে। সকল প্রতিমা পুজাকে হারাম মনে করে। তাহলে মুর্তি পুজা বেদ বিরোধি এটা আর্য সমাজী দ্বারা প্রমানিত, এখন এই মুর্খ কি তবে মুর্তি পুজা ছেড়ে দিবে ? শীব ঠাকুরের পুজা আর্চনা ত্যাগ করে নিরাকারভাবে এক ঈশ্বরের উপাসনা করবে ? প্রশ্ন রইল এই মুর্খ ও তার সমসাময়ীক অনলাইন হিন্দুদের প্রতি যারা চোখ বুঝে আর্য সমাজ আর্য সমাজ করে।




২৬টি মন্তব্য:

  1. উত্তরগুলি
    1. এই হলো 'টাখনুতে বুদ্ধি জমা রাখা'মনিন!
      কিছু বুঝার দরকার নেই~ মমিন যাই কিছু পাদাপাদি করুক~ সেটাই "অসাধারণ" 😄

      মুছুন
  2. ধনযবাদ প্রিয় ভাই...এই সব নিচু জাতের হিন্দুদের দাত ভেংগে দিয়েছ একেবারে।।ভাই আপনার সাথে আমার আছে দয়া করে কি কথা বল্বেন?আপ্নার কাছ থেকে আরও কিছু যানতে চাই...

    উত্তরমুছুন
  3. আল্লাহ পাক আপনার জ্ঞান আরো বাড়িয়ে দিক। আমীন।

    উত্তরমুছুন
  4. ভাই ছোট্ট একটা প্রশ্ন কোনোদিন অরিজিনাল ভার্সনের বেদ বা পুরাণ পড়েছেন নাকি শুধু নেট ঘেটেই পুরো ব্যাপার টাকে উল্টা পাল্টা করে বর্ননা করেছেন?? এতো ইনফরমেশনকে কে দিয়েছে উইকিপিডিয়া নাকি জাকির নায়েকের প্রকাশিত ভুলে ভরা বই গুলো।। https://youtu.be/22-ijJLWbs0 লিংক টাতে গিয়ে ভালো করে ভিডিও টা দেখেন আসেন দয়া করে তারপর বলবেন।। নমস্কার দাদা।।
    হিন্দু ধর্মকে পুরটা জানার মতো ক্ষমতা আপনার নাই দাদা।।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. ভাই কেউ না চর্চা করে এতো সুন্দর ভাবে জবাব দিতে পারে বলে অাপনি কি মনে করেন? 😃😃

      মুছুন


    2. 🔲 সুরা (আল বাকারা) আয়াত নং[৭]⤵️
      خَتَمَ اللّٰہُ عَلٰی قُلُوۡبِہِمۡ وَ عَلٰی سَمۡعِہِمۡ ؕ وَ عَلٰۤی اَبۡصَارِہِمۡ غِشَاوَۃٌ ۫ وَّ لَہُمۡ عَذَابٌ عَظِیۡمٌ ٪﴿۷﴾
      (খাতামাল্লা-হু ‘আলা- কুলূবিহিম ওয়া ‘আলা-ছাম‘ইহিম ওয়া‘আলা আবসা-রিহিম গিশা-ওয়াতুও ওয়ালাহুম ‘আযা-বুন ‘আজীম)
      Allah has set a seal on their hearts and on their hearings,(i.e. they are CLOSED from accepting Allah's Guidance) & on their eyes there is a covering. Theirs will be a great torment.
      মহান আল্লাহ তাদের অন্তর ও কানের ওপর মোহর করে দিয়েছেন। আর তাদের চোখে আছে আবরণ। আর তাদের জন্য আছে মহা শাস্তি।

      ‘খাতামা’,( خَتَمٌ-) শব্দের অর্থ মোহর করে দেয়া। শায়তান তাদের ওপর বিপুলভাবে জয়লাভ করেছে এবং তারা তারই আজ্ঞাবহ দাসে পরিণত হয়ে গেছে।কোর’আনে ران- طبع এবং أقفال এই তিন প্রকারের শব্দ এসেছে। ران শব্দটি طبع হতে কম এবং طبع শব্দটি اقفال হতে কম। আর اقفال সবচেয়ে বেশি।মুজাহিদ (রহঃ) তাঁর হাতটি দেখিয়ে বলেনঃ‘অন্তর হচ্ছে হাতের তালুর মতো।বান্দার পাপের কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। বান্দা একটা পাপ করলে তখন তার কনিষ্ঠ আঙ্গুলটি বন্ধ য়।যখন দু’টি পাপ কাজ করলো তখন তার দ্বিতীয় আঙ্গুলও বন্ধ হয়ে যায়।এভাবে সমস্ত আঙ্গুল বন্ধ হয়ে যায়।এখন মুষ্টি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেলো এবং এর ভিতর কোন কিছু প্রবেশ করতে পারবে না। এভাবেই নিরন্তর পাপের ফলে অন্তরের ওপর কালো পর্দা পড়ে যায় এবং মোহর লেগে যায়। তখন আর সত্য তার মধ্যে ক্রিয়াশীল হয় না।‘উম্মাতের ইজমা‘ আছে যে, মহান আল্লাহ মোহর করাকেও নিজের একটি বিশেষ গুণ রূপে বর্ণনা করেছেন যে, মোহর কাফিরদের কুফরীর প্রতিদান স্বরূপ হয়ে থাকে। যেমন তিনি বলেনঃ ﴿بَلْ طَبَعَ اللّٰهُ عَلَیْهَا بِكُفْرِهِمْ﴾ বরং তাদের অবিশ্বাস হেতু মহান আল্লাহ ওদের অন্তরে মোহর এঁটে দিয়েছেন।(সূরা নিসা, আয়াত নং ১৫৫) হাদীসেও আছে যে, আল্লাহ তা‘আলা অন্তরকে পরিবর্তন করে থাকেন।প্রার্থনায় আছেঃ يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوْبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلَى دِيْنِكَ. ‘হে অন্তরের পরিবর্তন আনয়নকারী!আমাদের অন্তরকে দ্বীনের ওপর অটল রাখুন।হুযায়ফাহ (রাঃ) থেকে ফিতনার অধ্যায়ে একটি সহীহ হাদীস বর্ণিত রাসূল(সাঃ)ইরশাদ করেছেনঃ
      ‘অন্তরের মধ্যে ফিতনা এমনভাবে উপস্থিত হয় যেমন ছেঁড়া মাদুরের একটা খড়কুটা। যে অন্তর তা গ্রহণ করে নেয় তাতে একটা কালো দাগ পড়ে যায় এবং যে অন্তরের মধ্যে এই ফিতনা ক্রিয়াশীল হয় না, তাতে একটা সাদা দাগ পড়ে যায়। আর সেই শুভ্রতা বাড়তে বাড়তে সম্পূর্ণ সাদা হয়ে গিয়ে সমস্ত অন্তরকে আলোকে উদ্ভাসিত করে দেয়। তারপর ফিতনা এই অন্তরের কোন ক্ষতি করতে পারে না।পক্ষান্তরে, অন্য অন্তরে কৃষ্ণতা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে যায় এবং শেষে সমস্ত অন্তরকে কালিমাময় করে দেয়। তখন তা উল্টানো কলসের মতো হয়ে যায়, ভালো কথাও তার ভালো লাগে না এবং মন্দ কথাও খারাপ লাগে না।(সহীহ মুসলিম ১/১২৮,১২৯, মুসনাদ আহমাদ ৫/৩৮৬, ৪০৫) তাহলে জানা গেলো যে,পাপের প্রাচুর্য অন্তরের ওপর পর্দা ফেলে দেয় এবং এর পরে মহান আল্লাহর মোহর হয়ে যায়।একেই বলে খাতাম এবং তবা।’এরূপ অন্তরের মধ্যে ঈমান প্রবেশ করার ও কুফর বের হওয়ার আর কোন পথ থাকেনা।মহান আল্লাহ বলেনঃ ذَ اِلٰهَهٗ هَوٰىهُ وَ اَضَلَّهُ اللّٰهُ عَلٰى عِلْمٍ وَّ خَتَمَ عَلٰى سَمْعِهٖ وَ قَلْبِهٖ وَ جَعَلَ عَلٰى بَصَرِهٖ غِشٰوَةً١ؕ فَمَنْ یَّهْدِیْهِ مِنْۢ بَعْدِ اللّٰهِ١ؕ اَفَلَا تَذَكَّرُوْنَ ﴾ তুমি কি লক্ষ্য করছো তাকে, যে তা খেয়াল খুশীকে নিজের মা‘বূদ বানিয়ে নিয়েছে? মহান আল্লাহ জেনে শুনেই তাকে বিভ্রান্ত করেছেন এবং তার কর্ণ ও হৃদয় মোহর করে দিয়েছেন এবং তার চক্ষুর ওপর রেখেছেন আবরণ। অতএব,কে তাকে পথ নির্দেশ করবে?তবুও কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না?

      মুছুন
  5. যজুর্বেদ ২৬/২ পড়ে দেখে নিয়েন তো কাউকে বেদ পাঠে নিষেধ করা আছে কি না। আপনি তুলশীরামকে প্রাধান্য দিলেন। বেশ ভালো তো তুলশীরামের যেকোন বেদভাষ্যের ভুমিকা খুলে দেখুন তো আর্যসমাজীদের নিয়ে তার কথা কি?
    নিরুক্ত ৮/৬ এ নারাসাংশা শব্দের অর্থ দেয়া হয়েছে। পড়ে দেখুন আপনার এই সব হাস্যকর দাবী তারপর খাটবে তো?
    আর আর্যসমাজীরা যে বলে বেদে মুর্তিপুজা নেই তো ভুল কোথায়? স্বামী বিবেকানন্দ ও তো একই কথা বলেছে ওদিকে তার গুরুও তো মুর্তিপুজারী। মুর্তিপুজা বেদে থাকলে কোন না কোন ব্রাহ্মন গ্রন্থে তা থাকতো।
    মুর্তিপুজা হয় পুরান অনুসারে। না জানলে জানিয়ে রাখলাম।
    তার তুলশীরাম শর্মা কিন্তু এও বলেছে বেদে কোন গল্প বা ইতিহাস নেই। তাহলে এই সব বয়ান আসে কোথা থেকে। আর রইল বেদ প্রকাশের কথা। তা সেই বই বেরোনোর সময় নাকি ভারতে আলোড়ন হলো তার কোন প্রমান আছে আপনার কাছে। সে তো বৌদ্ধ গ্রন্থেও নবীকে পেয়েছে। তা আপনার কি এটা অজানা যে বৌদ্ধ এক প্রকার নাস্তিক্যবাদ? আর কিছুই বললাম না।
    আর আপনি হিন্দুদের বিভিন্ন গোত্রের কথা বললেন তো সুন্নি, শিয়া,কাদিয়ানী,মাজারপুজারী,পীরপুজারী এগুলি কি?
    আর সত্যার্থ প্রকাশের সমালোচনা কিছু পন্ডিত এই কারনেই করেছে,কারন এই বই মানলে তাদের ব্যবস্যায় লালবাতী জ্বলবে।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি


    1. 🔲 সুরা (আল বাকারা) আয়াত নং[৭]⤵️
      خَتَمَ اللّٰہُ عَلٰی قُلُوۡبِہِمۡ وَ عَلٰی سَمۡعِہِمۡ ؕ وَ عَلٰۤی اَبۡصَارِہِمۡ غِشَاوَۃٌ ۫ وَّ لَہُمۡ عَذَابٌ عَظِیۡمٌ ٪﴿۷﴾
      (খাতামাল্লা-হু ‘আলা- কুলূবিহিম ওয়া ‘আলা-ছাম‘ইহিম ওয়া‘আলা আবসা-রিহিম গিশা-ওয়াতুও ওয়ালাহুম ‘আযা-বুন ‘আজীম)
      Allah has set a seal on their hearts and on their hearings,(i.e. they are CLOSED from accepting Allah's Guidance) & on their eyes there is a covering. Theirs will be a great torment.
      মহান আল্লাহ তাদের অন্তর ও কানের ওপর মোহর করে দিয়েছেন। আর তাদের চোখে আছে আবরণ। আর তাদের জন্য আছে মহা শাস্তি।

      ‘খাতামা’,( خَتَمٌ-) শব্দের অর্থ মোহর করে দেয়া। শায়তান তাদের ওপর বিপুলভাবে জয়লাভ করেছে এবং তারা তারই আজ্ঞাবহ দাসে পরিণত হয়ে গেছে।কোর’আনে ران- طبع এবং أقفال এই তিন প্রকারের শব্দ এসেছে। ران শব্দটি طبع হতে কম এবং طبع শব্দটি اقفال হতে কম। আর اقفال সবচেয়ে বেশি।মুজাহিদ (রহঃ) তাঁর হাতটি দেখিয়ে বলেনঃ‘অন্তর হচ্ছে হাতের তালুর মতো।বান্দার পাপের কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। বান্দা একটা পাপ করলে তখন তার কনিষ্ঠ আঙ্গুলটি বন্ধ য়।যখন দু’টি পাপ কাজ করলো তখন তার দ্বিতীয় আঙ্গুলও বন্ধ হয়ে যায়।এভাবে সমস্ত আঙ্গুল বন্ধ হয়ে যায়।এখন মুষ্টি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেলো এবং এর ভিতর কোন কিছু প্রবেশ করতে পারবে না। এভাবেই নিরন্তর পাপের ফলে অন্তরের ওপর কালো পর্দা পড়ে যায় এবং মোহর লেগে যায়। তখন আর সত্য তার মধ্যে ক্রিয়াশীল হয় না।‘উম্মাতের ইজমা‘ আছে যে, মহান আল্লাহ মোহর করাকেও নিজের একটি বিশেষ গুণ রূপে বর্ণনা করেছেন যে, মোহর কাফিরদের কুফরীর প্রতিদান স্বরূপ হয়ে থাকে। যেমন তিনি বলেনঃ ﴿بَلْ طَبَعَ اللّٰهُ عَلَیْهَا بِكُفْرِهِمْ﴾ বরং তাদের অবিশ্বাস হেতু মহান আল্লাহ ওদের অন্তরে মোহর এঁটে দিয়েছেন।(সূরা নিসা, আয়াত নং ১৫৫) হাদীসেও আছে যে, আল্লাহ তা‘আলা অন্তরকে পরিবর্তন করে থাকেন।প্রার্থনায় আছেঃ يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوْبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلَى دِيْنِكَ. ‘হে অন্তরের পরিবর্তন আনয়নকারী!আমাদের অন্তরকে দ্বীনের ওপর অটল রাখুন।হুযায়ফাহ (রাঃ) থেকে ফিতনার অধ্যায়ে একটি সহীহ হাদীস বর্ণিত রাসূল(সাঃ)ইরশাদ করেছেনঃ
      ‘অন্তরের মধ্যে ফিতনা এমনভাবে উপস্থিত হয় যেমন ছেঁড়া মাদুরের একটা খড়কুটা। যে অন্তর তা গ্রহণ করে নেয় তাতে একটা কালো দাগ পড়ে যায় এবং যে অন্তরের মধ্যে এই ফিতনা ক্রিয়াশীল হয় না, তাতে একটা সাদা দাগ পড়ে যায়। আর সেই শুভ্রতা বাড়তে বাড়তে সম্পূর্ণ সাদা হয়ে গিয়ে সমস্ত অন্তরকে আলোকে উদ্ভাসিত করে দেয়। তারপর ফিতনা এই অন্তরের কোন ক্ষতি করতে পারে না।পক্ষান্তরে, অন্য অন্তরে কৃষ্ণতা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে যায় এবং শেষে সমস্ত অন্তরকে কালিমাময় করে দেয়। তখন তা উল্টানো কলসের মতো হয়ে যায়, ভালো কথাও তার ভালো লাগে না এবং মন্দ কথাও খারাপ লাগে না।(সহীহ মুসলিম ১/১২৮,১২৯, মুসনাদ আহমাদ ৫/৩৮৬, ৪০৫) তাহলে জানা গেলো যে,পাপের প্রাচুর্য অন্তরের ওপর পর্দা ফেলে দেয় এবং এর পরে মহান আল্লাহর মোহর হয়ে যায়।একেই বলে খাতাম এবং তবা।’এরূপ অন্তরের মধ্যে ঈমান প্রবেশ করার ও কুফর বের হওয়ার আর কোন পথ থাকেনা।মহান আল্লাহ বলেনঃ ذَ اِلٰهَهٗ هَوٰىهُ وَ اَضَلَّهُ اللّٰهُ عَلٰى عِلْمٍ وَّ خَتَمَ عَلٰى سَمْعِهٖ وَ قَلْبِهٖ وَ جَعَلَ عَلٰى بَصَرِهٖ غِشٰوَةً١ؕ فَمَنْ یَّهْدِیْهِ مِنْۢ بَعْدِ اللّٰهِ١ؕ اَفَلَا تَذَكَّرُوْنَ ﴾ তুমি কি লক্ষ্য করছো তাকে, যে তা খেয়াল খুশীকে নিজের মা‘বূদ বানিয়ে নিয়েছে? মহান আল্লাহ জেনে শুনেই তাকে বিভ্রান্ত করেছেন এবং তার কর্ণ ও হৃদয় মোহর করে দিয়েছেন এবং তার চক্ষুর ওপর রেখেছেন আবরণ। অতএব,কে তাকে পথ নির্দেশ করবে?তবুও কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না?

      মুছুন
  6. আর অগ্নিবীর মিথ্যা লেখে তাইনা ক্ষমতা থাকলে ওদের যুক্তি ভুল প্রমান করে দেখিয়েন।

    উত্তরমুছুন
  7. আর অগ্নিবীর মিথ্যা লেখে তাইনা ক্ষমতা থাকলে ওদের যুক্তি ভুল প্রমান করে দেখিয়েন।

    উত্তরমুছুন
  8. এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।

    উত্তরমুছুন
  9. আর কোন ভাষ্যকার দির্দশকে ১২ ধরেছে? মিথ্যাচারের আগে ভেবেচিন্তে বলবেন।আর বেদে গোহত্যা নিষেধ এটা নিয়ে অসংখ্য বই আছে পড়ে নিয়েন। আর আর্যসমাজ নিরুক্ত পানিনী অনুযায়ী ভাষ্য করে বলেই সেটা সঠিক। আর তার বাইরে কিছু থাকলে সেটা অবশ্যই ভ্রান্ত। আপনি তাদের বিরুদ্ধাচারন করলেন কারন তাদের ভাষ্য মানলে আর অপপ্রচার করবেন কি দিয়ে😂😂😂😂

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি


    1. 🔲 সুরা (আল বাকারা) আয়াত নং[৭]⤵️
      خَتَمَ اللّٰہُ عَلٰی قُلُوۡبِہِمۡ وَ عَلٰی سَمۡعِہِمۡ ؕ وَ عَلٰۤی اَبۡصَارِہِمۡ غِشَاوَۃٌ ۫ وَّ لَہُمۡ عَذَابٌ عَظِیۡمٌ ٪﴿۷﴾
      (খাতামাল্লা-হু ‘আলা- কুলূবিহিম ওয়া ‘আলা-ছাম‘ইহিম ওয়া‘আলা আবসা-রিহিম গিশা-ওয়াতুও ওয়ালাহুম ‘আযা-বুন ‘আজীম)
      Allah has set a seal on their hearts and on their hearings,(i.e. they are CLOSED from accepting Allah's Guidance) & on their eyes there is a covering. Theirs will be a great torment.
      মহান আল্লাহ তাদের অন্তর ও কানের ওপর মোহর করে দিয়েছেন। আর তাদের চোখে আছে আবরণ। আর তাদের জন্য আছে মহা শাস্তি।

      ‘খাতামা’,( خَتَمٌ-) শব্দের অর্থ মোহর করে দেয়া। শায়তান তাদের ওপর বিপুলভাবে জয়লাভ করেছে এবং তারা তারই আজ্ঞাবহ দাসে পরিণত হয়ে গেছে।কোর’আনে ران- طبع এবং أقفال এই তিন প্রকারের শব্দ এসেছে। ران শব্দটি طبع হতে কম এবং طبع শব্দটি اقفال হতে কম। আর اقفال সবচেয়ে বেশি।মুজাহিদ (রহঃ) তাঁর হাতটি দেখিয়ে বলেনঃ‘অন্তর হচ্ছে হাতের তালুর মতো।বান্দার পাপের কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। বান্দা একটা পাপ করলে তখন তার কনিষ্ঠ আঙ্গুলটি বন্ধ য়।যখন দু’টি পাপ কাজ করলো তখন তার দ্বিতীয় আঙ্গুলও বন্ধ হয়ে যায়।এভাবে সমস্ত আঙ্গুল বন্ধ হয়ে যায়।এখন মুষ্টি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেলো এবং এর ভিতর কোন কিছু প্রবেশ করতে পারবে না। এভাবেই নিরন্তর পাপের ফলে অন্তরের ওপর কালো পর্দা পড়ে যায় এবং মোহর লেগে যায়। তখন আর সত্য তার মধ্যে ক্রিয়াশীল হয় না।‘উম্মাতের ইজমা‘ আছে যে, মহান আল্লাহ মোহর করাকেও নিজের একটি বিশেষ গুণ রূপে বর্ণনা করেছেন যে, মোহর কাফিরদের কুফরীর প্রতিদান স্বরূপ হয়ে থাকে। যেমন তিনি বলেনঃ ﴿بَلْ طَبَعَ اللّٰهُ عَلَیْهَا بِكُفْرِهِمْ﴾ বরং তাদের অবিশ্বাস হেতু মহান আল্লাহ ওদের অন্তরে মোহর এঁটে দিয়েছেন।(সূরা নিসা, আয়াত নং ১৫৫) হাদীসেও আছে যে, আল্লাহ তা‘আলা অন্তরকে পরিবর্তন করে থাকেন।প্রার্থনায় আছেঃ يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوْبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلَى دِيْنِكَ. ‘হে অন্তরের পরিবর্তন আনয়নকারী!আমাদের অন্তরকে দ্বীনের ওপর অটল রাখুন।হুযায়ফাহ (রাঃ) থেকে ফিতনার অধ্যায়ে একটি সহীহ হাদীস বর্ণিত রাসূল(সাঃ)ইরশাদ করেছেনঃ
      ‘অন্তরের মধ্যে ফিতনা এমনভাবে উপস্থিত হয় যেমন ছেঁড়া মাদুরের একটা খড়কুটা। যে অন্তর তা গ্রহণ করে নেয় তাতে একটা কালো দাগ পড়ে যায় এবং যে অন্তরের মধ্যে এই ফিতনা ক্রিয়াশীল হয় না, তাতে একটা সাদা দাগ পড়ে যায়। আর সেই শুভ্রতা বাড়তে বাড়তে সম্পূর্ণ সাদা হয়ে গিয়ে সমস্ত অন্তরকে আলোকে উদ্ভাসিত করে দেয়। তারপর ফিতনা এই অন্তরের কোন ক্ষতি করতে পারে না।পক্ষান্তরে, অন্য অন্তরে কৃষ্ণতা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে যায় এবং শেষে সমস্ত অন্তরকে কালিমাময় করে দেয়। তখন তা উল্টানো কলসের মতো হয়ে যায়, ভালো কথাও তার ভালো লাগে না এবং মন্দ কথাও খারাপ লাগে না।(সহীহ মুসলিম ১/১২৮,১২৯, মুসনাদ আহমাদ ৫/৩৮৬, ৪০৫) তাহলে জানা গেলো যে,পাপের প্রাচুর্য অন্তরের ওপর পর্দা ফেলে দেয় এবং এর পরে মহান আল্লাহর মোহর হয়ে যায়।একেই বলে খাতাম এবং তবা।’এরূপ অন্তরের মধ্যে ঈমান প্রবেশ করার ও কুফর বের হওয়ার আর কোন পথ থাকেনা।মহান আল্লাহ বলেনঃ ذَ اِلٰهَهٗ هَوٰىهُ وَ اَضَلَّهُ اللّٰهُ عَلٰى عِلْمٍ وَّ خَتَمَ عَلٰى سَمْعِهٖ وَ قَلْبِهٖ وَ جَعَلَ عَلٰى بَصَرِهٖ غِشٰوَةً١ؕ فَمَنْ یَّهْدِیْهِ مِنْۢ بَعْدِ اللّٰهِ١ؕ اَفَلَا تَذَكَّرُوْنَ ﴾ তুমি কি লক্ষ্য করছো তাকে, যে তা খেয়াল খুশীকে নিজের মা‘বূদ বানিয়ে নিয়েছে? মহান আল্লাহ জেনে শুনেই তাকে বিভ্রান্ত করেছেন এবং তার কর্ণ ও হৃদয় মোহর করে দিয়েছেন এবং তার চক্ষুর ওপর রেখেছেন আবরণ। অতএব,কে তাকে পথ নির্দেশ করবে?তবুও কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না?

      মুছুন
  10. আর কোন ভাষ্যকার দির্দশকে ১২ ধরেছে? মিথ্যাচারের আগে ভেবেচিন্তে বলবেন।আর বেদে গোহত্যা নিষেধ এটা নিয়ে অসংখ্য বই আছে পড়ে নিয়েন। আর আর্যসমাজ নিরুক্ত পানিনী অনুযায়ী ভাষ্য করে বলেই সেটা সঠিক। আর তার বাইরে কিছু থাকলে সেটা অবশ্যই ভ্রান্ত। আপনি তাদের বিরুদ্ধাচারন করলেন কারন তাদের ভাষ্য মানলে আর অপপ্রচার করবেন কি দিয়ে😂😂😂😂

    উত্তরমুছুন
  11. আর অগ্নিবীর মিথ্যা লেখে তাইনা ক্ষমতা থাকলে ওদের যুক্তি ভুল প্রমান করে দেখিয়েন।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি


    1. 🔲 সুরা (আল বাকারা) আয়াত নং[৭]⤵️
      خَتَمَ اللّٰہُ عَلٰی قُلُوۡبِہِمۡ وَ عَلٰی سَمۡعِہِمۡ ؕ وَ عَلٰۤی اَبۡصَارِہِمۡ غِشَاوَۃٌ ۫ وَّ لَہُمۡ عَذَابٌ عَظِیۡمٌ ٪﴿۷﴾
      (খাতামাল্লা-হু ‘আলা- কুলূবিহিম ওয়া ‘আলা-ছাম‘ইহিম ওয়া‘আলা আবসা-রিহিম গিশা-ওয়াতুও ওয়ালাহুম ‘আযা-বুন ‘আজীম)
      Allah has set a seal on their hearts and on their hearings,(i.e. they are CLOSED from accepting Allah's Guidance) & on their eyes there is a covering. Theirs will be a great torment.
      মহান আল্লাহ তাদের অন্তর ও কানের ওপর মোহর করে দিয়েছেন। আর তাদের চোখে আছে আবরণ। আর তাদের জন্য আছে মহা শাস্তি।

      ‘খাতামা’,( خَتَمٌ-) শব্দের অর্থ মোহর করে দেয়া। শায়তান তাদের ওপর বিপুলভাবে জয়লাভ করেছে এবং তারা তারই আজ্ঞাবহ দাসে পরিণত হয়ে গেছে।কোর’আনে ران- طبع এবং أقفال এই তিন প্রকারের শব্দ এসেছে। ران শব্দটি طبع হতে কম এবং طبع শব্দটি اقفال হতে কম। আর اقفال সবচেয়ে বেশি।মুজাহিদ (রহঃ) তাঁর হাতটি দেখিয়ে বলেনঃ‘অন্তর হচ্ছে হাতের তালুর মতো।বান্দার পাপের কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। বান্দা একটা পাপ করলে তখন তার কনিষ্ঠ আঙ্গুলটি বন্ধ য়।যখন দু’টি পাপ কাজ করলো তখন তার দ্বিতীয় আঙ্গুলও বন্ধ হয়ে যায়।এভাবে সমস্ত আঙ্গুল বন্ধ হয়ে যায়।এখন মুষ্টি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেলো এবং এর ভিতর কোন কিছু প্রবেশ করতে পারবে না। এভাবেই নিরন্তর পাপের ফলে অন্তরের ওপর কালো পর্দা পড়ে যায় এবং মোহর লেগে যায়। তখন আর সত্য তার মধ্যে ক্রিয়াশীল হয় না।‘উম্মাতের ইজমা‘ আছে যে, মহান আল্লাহ মোহর করাকেও নিজের একটি বিশেষ গুণ রূপে বর্ণনা করেছেন যে, মোহর কাফিরদের কুফরীর প্রতিদান স্বরূপ হয়ে থাকে। যেমন তিনি বলেনঃ ﴿بَلْ طَبَعَ اللّٰهُ عَلَیْهَا بِكُفْرِهِمْ﴾ বরং তাদের অবিশ্বাস হেতু মহান আল্লাহ ওদের অন্তরে মোহর এঁটে দিয়েছেন।(সূরা নিসা, আয়াত নং ১৫৫) হাদীসেও আছে যে, আল্লাহ তা‘আলা অন্তরকে পরিবর্তন করে থাকেন।প্রার্থনায় আছেঃ يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوْبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلَى دِيْنِكَ. ‘হে অন্তরের পরিবর্তন আনয়নকারী!আমাদের অন্তরকে দ্বীনের ওপর অটল রাখুন।হুযায়ফাহ (রাঃ) থেকে ফিতনার অধ্যায়ে একটি সহীহ হাদীস বর্ণিত রাসূল(সাঃ)ইরশাদ করেছেনঃ
      ‘অন্তরের মধ্যে ফিতনা এমনভাবে উপস্থিত হয় যেমন ছেঁড়া মাদুরের একটা খড়কুটা। যে অন্তর তা গ্রহণ করে নেয় তাতে একটা কালো দাগ পড়ে যায় এবং যে অন্তরের মধ্যে এই ফিতনা ক্রিয়াশীল হয় না, তাতে একটা সাদা দাগ পড়ে যায়। আর সেই শুভ্রতা বাড়তে বাড়তে সম্পূর্ণ সাদা হয়ে গিয়ে সমস্ত অন্তরকে আলোকে উদ্ভাসিত করে দেয়। তারপর ফিতনা এই অন্তরের কোন ক্ষতি করতে পারে না।পক্ষান্তরে, অন্য অন্তরে কৃষ্ণতা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে যায় এবং শেষে সমস্ত অন্তরকে কালিমাময় করে দেয়। তখন তা উল্টানো কলসের মতো হয়ে যায়, ভালো কথাও তার ভালো লাগে না এবং মন্দ কথাও খারাপ লাগে না।(সহীহ মুসলিম ১/১২৮,১২৯, মুসনাদ আহমাদ ৫/৩৮৬, ৪০৫) তাহলে জানা গেলো যে,পাপের প্রাচুর্য অন্তরের ওপর পর্দা ফেলে দেয় এবং এর পরে মহান আল্লাহর মোহর হয়ে যায়।একেই বলে খাতাম এবং তবা।’এরূপ অন্তরের মধ্যে ঈমান প্রবেশ করার ও কুফর বের হওয়ার আর কোন পথ থাকেনা।মহান আল্লাহ বলেনঃ ذَ اِلٰهَهٗ هَوٰىهُ وَ اَضَلَّهُ اللّٰهُ عَلٰى عِلْمٍ وَّ خَتَمَ عَلٰى سَمْعِهٖ وَ قَلْبِهٖ وَ جَعَلَ عَلٰى بَصَرِهٖ غِشٰوَةً١ؕ فَمَنْ یَّهْدِیْهِ مِنْۢ بَعْدِ اللّٰهِ١ؕ اَفَلَا تَذَكَّرُوْنَ ﴾ তুমি কি লক্ষ্য করছো তাকে, যে তা খেয়াল খুশীকে নিজের মা‘বূদ বানিয়ে নিয়েছে? মহান আল্লাহ জেনে শুনেই তাকে বিভ্রান্ত করেছেন এবং তার কর্ণ ও হৃদয় মোহর করে দিয়েছেন এবং তার চক্ষুর ওপর রেখেছেন আবরণ। অতএব,কে তাকে পথ নির্দেশ করবে?তবুও কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না?

      মুছুন
  12. আপনাদের অপপ্রচার ছিল, এখনো আছে। এ অপপ্রচার এর জন্য আপনাদের অনেককে ধ্বংস হয়েছে। আপনাদের ও ধ্বংস অনিবার্য।

    উত্তরমুছুন
  13. আপনাদের অপপ্রচার ছিল, এখনো আছে। এ অপপ্রচার এর জন্য আপনাদের অনেককে ধ্বংস হয়েছে। আপনাদের ও ধ্বংস অনিবার্য।

    উত্তরমুছুন
  14. 🔲 সুরা (আল বাকারা) আয়াত নং(৬)-⤵️
    اِنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا سَوَآءٌ عَلَیۡہِمۡ ءَاَنۡذَرۡتَہُمۡ اَمۡ لَمۡ تُنۡذِرۡہُمۡ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ ﴿۶﴾
    (ইন্নাল্লাযীনা কাফারূ ছাওয়াউন‘আলাইহিম আআনযারতাহুম আম লাম তুনযিরহুম) লাইউ’মিনূন।
    Verily, those who disbelieve, it is the same to them whether you (O Muhammad Peace be upon him) warn them or do not warn them, they will not believe.
    অর্থঃ-(নিশ্চয়ই যারা কুফরী করেছে তাদের তুমি ভয় দেখাও আর না দেখাও উভয়টাই তাদের জন্য সমান, তারা ঈমান আনবে না। অর্থাৎ তারা মহান আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে না)

    ✅যারা সত্যকে গোপন করতে অভ্যস্ত এবং তাদের ভাগ্যে এই রয়েছে যে, তারা কখনো সেই ওয়াহীকে বিশ্বাস করবে না যা রাসূল (সাঃ)-এর ওপর অবতীর্ণ হয়েছে।(সূরা ইউনুস, আয়াত নং ৯৬-৯৭) ﴿اِنَّ الَّذِیْنَ حَقَّتْ عَلَیْهِمْ كَلِمَتُ رَبِّكَ لَا یُؤْمِنُوْنَۙ۝۹۶ وَ لَوْ جَآءَتْهُمْ كُلُّ اٰیَةٍ حَتّٰى یَرَوُا الْعَذَابَ الْاَلِیْمَ﴾ নিঃসন্দেহে, যাদের সম্বন্ধে তোমার প্রভুর বাক্য সাব্যস্ত হয়ে গেছে তারা কখনো ঈমান আনবে না, যদিও তাদের নিকট সমস্ত প্রমাণ পৌঁছে যায়, যে পর্যন্ত না তারা যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি প্রত্যক্ষ করে। এমনিভাবে আল্লাহ তা‘আলা দুষ্টুমতি আহলে কিতাবদের সম্পর্কে বলেনঃ ﴿ وَ لَىِٕنْ اَتَیْتَ الَّذِیْنَ اُوْتُوا الْكِتٰبَ بِكُلِّ اٰیَةٍ مَّا تَبِعُوْا قِبْلَتَكَ ﴾ ‘আর যাদেরকে গ্রন্থ দেয়া হয়েছে তাদের নিকট যদি তুমি সমুদয় নিদর্শন আনয়ন করো তবুও তারা তোমার কিবলাহকে গ্রহণ করবে না।(সূরাহ্ বাকারাহ, আয়াত নং ১৪৫) এ আয়াত থেকে জানা গেলো যে, মহান আল্লাহ যাদের জন্য দুর্ভোগ লিখে রেখেছেন তারা তাদেরকে শান্তির পথ দেখানোর জন্য কোন পথ প্রদর্শক পাবে না এবং মহান আল্লাহ যাদেরকে বিপথে পরিচালিত করেন তারা কখনো সৎপথ প্রদর্শক খুঁজে পাবে না। তিনি বলেনঃ হে মুহাম্মাদ! তুমি তাদের জন্য দুঃখ করো না, তাদেরকে দা‘ওয়াত দিতে থাকো। তাদের মধ্যে যারা তোমার দা‘ওয়াত কবূল করবে, নিশ্চয়ই তাদের জন্য রয়েছে উত্তম প্রতিদান। আর যারা অস্বীকার করে মুখ ফিরিয়ে নিবে তাদের জন্য তুমি বিমর্ষ হয়ো না কিংবা তাদের নিয়ে চিন্তা-ভাবনাও করো না। কারণ ﴿فَاِنَّمَا عَلَیْكَ الْبَلٰغُ وَ عَلَیْنَا الْحِسَابُ ﴾ তোমার কর্তব্য শুধু প্রচার করা; আর হিসাব-নিকাশ তো আমার কাজ।(সূরাহ্ রা‘দ, আয়াত নং ৪০) অপর আয়াতে মহান আল্লাহ আরো বলেনঃ ﴿اِنَّمَاۤ اَنْتَ نَذِیْرٌ١ؕ وَ اللّٰهُ عَلٰى كُلِّ شَیْءٍ وَّكِیْلٌ﴾ তুমি তো একজন সতর্ককারী মাত্র, মহান আল্লাহই সবকিছু পরিবেষ্টনকারী।(সূরাহ্ হুদ, আয়াত নং ১২) ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, ‘রাসূল (সাঃ)-এর এ ব্যাপারে খুবই আগ্রহ ছিলো যে, সবাই যেন ঈমানদার হয়ে যায় এবং হিদায়াত কবূল করে নেয় কিন্তু মহান প্রভু বলে দিলেন যে,এ সৌভাগ্য প্রত্যেকের জন্য নয়।এ দান ভাগ করে দেয়া হয়েছে।যার ভাগ্যে এর অংশ পড়েছে আপনা আপনি তোমার কথা মেনে নিবে আর যে হতভাগা সে কখনো মানবে না(তাদেরকে ভয় দেখিয়ে কোন লাভ নেই।কেননা প্রকৃত অর্থে তারা নিজেদের কিতাবকেও মানে না। তখন হে নবী তারা তোমার কথাকে তারা কি করে মানতে পারে? অবশ্যই মহান আল্লাহ সবচেয়ে ভালো ও সুষ্ঠু জ্ঞানের অধিকারী।

    উত্তরমুছুন
  15. 🔲 সুরা (আল বাকারা) আয়াত নং(৬)-⤵️
    اِنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا سَوَآءٌ عَلَیۡہِمۡ ءَاَنۡذَرۡتَہُمۡ اَمۡ لَمۡ تُنۡذِرۡہُمۡ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ ﴿۶﴾
    (ইন্নাল্লাযীনা কাফারূ ছাওয়াউন‘আলাইহিম আআনযারতাহুম আম লাম তুনযিরহুম) লাইউ’মিনূন।
    Verily, those who disbelieve, it is the same to them whether you (O Muhammad Peace be upon him) warn them or do not warn them, they will not believe.
    অর্থঃ-(নিশ্চয়ই যারা কুফরী করেছে তাদের তুমি ভয় দেখাও আর না দেখাও উভয়টাই তাদের জন্য সমান, তারা ঈমান আনবে না। অর্থাৎ তারা মহান আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে না)

    ✅যারা সত্যকে গোপন করতে অভ্যস্ত এবং তাদের ভাগ্যে এই রয়েছে যে, তারা কখনো সেই ওয়াহীকে বিশ্বাস করবে না যা রাসূল (সাঃ)-এর ওপর অবতীর্ণ হয়েছে।(সূরা ইউনুস, আয়াত নং ৯৬-৯৭) ﴿اِنَّ الَّذِیْنَ حَقَّتْ عَلَیْهِمْ كَلِمَتُ رَبِّكَ لَا یُؤْمِنُوْنَۙ۝۹۶ وَ لَوْ جَآءَتْهُمْ كُلُّ اٰیَةٍ حَتّٰى یَرَوُا الْعَذَابَ الْاَلِیْمَ﴾ নিঃসন্দেহে, যাদের সম্বন্ধে তোমার প্রভুর বাক্য সাব্যস্ত হয়ে গেছে তারা কখনো ঈমান আনবে না, যদিও তাদের নিকট সমস্ত প্রমাণ পৌঁছে যায়, যে পর্যন্ত না তারা যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি প্রত্যক্ষ করে। এমনিভাবে আল্লাহ তা‘আলা দুষ্টুমতি আহলে কিতাবদের সম্পর্কে বলেনঃ ﴿ وَ لَىِٕنْ اَتَیْتَ الَّذِیْنَ اُوْتُوا الْكِتٰبَ بِكُلِّ اٰیَةٍ مَّا تَبِعُوْا قِبْلَتَكَ ﴾ ‘আর যাদেরকে গ্রন্থ দেয়া হয়েছে তাদের নিকট যদি তুমি সমুদয় নিদর্শন আনয়ন করো তবুও তারা তোমার কিবলাহকে গ্রহণ করবে না।(সূরাহ্ বাকারাহ, আয়াত নং ১৪৫) এ আয়াত থেকে জানা গেলো যে, মহান আল্লাহ যাদের জন্য দুর্ভোগ লিখে রেখেছেন তারা তাদেরকে শান্তির পথ দেখানোর জন্য কোন পথ প্রদর্শক পাবে না এবং মহান আল্লাহ যাদেরকে বিপথে পরিচালিত করেন তারা কখনো সৎপথ প্রদর্শক খুঁজে পাবে না। তিনি বলেনঃ হে মুহাম্মাদ! তুমি তাদের জন্য দুঃখ করো না, তাদেরকে দা‘ওয়াত দিতে থাকো। তাদের মধ্যে যারা তোমার দা‘ওয়াত কবূল করবে, নিশ্চয়ই তাদের জন্য রয়েছে উত্তম প্রতিদান। আর যারা অস্বীকার করে মুখ ফিরিয়ে নিবে তাদের জন্য তুমি বিমর্ষ হয়ো না কিংবা তাদের নিয়ে চিন্তা-ভাবনাও করো না। কারণ ﴿فَاِنَّمَا عَلَیْكَ الْبَلٰغُ وَ عَلَیْنَا الْحِسَابُ ﴾ তোমার কর্তব্য শুধু প্রচার করা; আর হিসাব-নিকাশ তো আমার কাজ।(সূরাহ্ রা‘দ, আয়াত নং ৪০) অপর আয়াতে মহান আল্লাহ আরো বলেনঃ ﴿اِنَّمَاۤ اَنْتَ نَذِیْرٌ١ؕ وَ اللّٰهُ عَلٰى كُلِّ شَیْءٍ وَّكِیْلٌ﴾ তুমি তো একজন সতর্ককারী মাত্র, মহান আল্লাহই সবকিছু পরিবেষ্টনকারী।(সূরাহ্ হুদ, আয়াত নং ১২) ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, ‘রাসূল (সাঃ)-এর এ ব্যাপারে খুবই আগ্রহ ছিলো যে, সবাই যেন ঈমানদার হয়ে যায় এবং হিদায়াত কবূল করে নেয় কিন্তু মহান প্রভু বলে দিলেন যে,এ সৌভাগ্য প্রত্যেকের জন্য নয়।এ দান ভাগ করে দেয়া হয়েছে।যার ভাগ্যে এর অংশ পড়েছে আপনা আপনি তোমার কথা মেনে নিবে আর যে হতভাগা সে কখনো মানবে না(তাদেরকে ভয় দেখিয়ে কোন লাভ নেই।কেননা প্রকৃত অর্থে তারা নিজেদের কিতাবকেও মানে না। তখন হে নবী তারা তোমার কথাকে তারা কি করে মানতে পারে? অবশ্যই মহান আল্লাহ সবচেয়ে ভালো ও সুষ্ঠু জ্ঞানের অধিকারী।

    উত্তরমুছুন


  16. 🔲 সুরা (আল বাকারা) আয়াত নং[৭]⤵️
    خَتَمَ اللّٰہُ عَلٰی قُلُوۡبِہِمۡ وَ عَلٰی سَمۡعِہِمۡ ؕ وَ عَلٰۤی اَبۡصَارِہِمۡ غِشَاوَۃٌ ۫ وَّ لَہُمۡ عَذَابٌ عَظِیۡمٌ ٪﴿۷﴾
    (খাতামাল্লা-হু ‘আলা- কুলূবিহিম ওয়া ‘আলা-ছাম‘ইহিম ওয়া‘আলা আবসা-রিহিম গিশা-ওয়াতুও ওয়ালাহুম ‘আযা-বুন ‘আজীম)
    Allah has set a seal on their hearts and on their hearings,(i.e. they are CLOSED from accepting Allah's Guidance) & on their eyes there is a covering. Theirs will be a great torment.
    মহান আল্লাহ তাদের অন্তর ও কানের ওপর মোহর করে দিয়েছেন। আর তাদের চোখে আছে আবরণ। আর তাদের জন্য আছে মহা শাস্তি।

    ‘খাতামা’,( خَتَمٌ-) শব্দের অর্থ মোহর করে দেয়া। শায়তান তাদের ওপর বিপুলভাবে জয়লাভ করেছে এবং তারা তারই আজ্ঞাবহ দাসে পরিণত হয়ে গেছে।কোর’আনে ران- طبع এবং أقفال এই তিন প্রকারের শব্দ এসেছে। ران শব্দটি طبع হতে কম এবং طبع শব্দটি اقفال হতে কম। আর اقفال সবচেয়ে বেশি।মুজাহিদ (রহঃ) তাঁর হাতটি দেখিয়ে বলেনঃ‘অন্তর হচ্ছে হাতের তালুর মতো।বান্দার পাপের কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। বান্দা একটা পাপ করলে তখন তার কনিষ্ঠ আঙ্গুলটি বন্ধ য়।যখন দু’টি পাপ কাজ করলো তখন তার দ্বিতীয় আঙ্গুলও বন্ধ হয়ে যায়।এভাবে সমস্ত আঙ্গুল বন্ধ হয়ে যায়।এখন মুষ্টি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেলো এবং এর ভিতর কোন কিছু প্রবেশ করতে পারবে না। এভাবেই নিরন্তর পাপের ফলে অন্তরের ওপর কালো পর্দা পড়ে যায় এবং মোহর লেগে যায়। তখন আর সত্য তার মধ্যে ক্রিয়াশীল হয় না।‘উম্মাতের ইজমা‘ আছে যে, মহান আল্লাহ মোহর করাকেও নিজের একটি বিশেষ গুণ রূপে বর্ণনা করেছেন যে, মোহর কাফিরদের কুফরীর প্রতিদান স্বরূপ হয়ে থাকে। যেমন তিনি বলেনঃ ﴿بَلْ طَبَعَ اللّٰهُ عَلَیْهَا بِكُفْرِهِمْ﴾ বরং তাদের অবিশ্বাস হেতু মহান আল্লাহ ওদের অন্তরে মোহর এঁটে দিয়েছেন।(সূরা নিসা, আয়াত নং ১৫৫) হাদীসেও আছে যে, আল্লাহ তা‘আলা অন্তরকে পরিবর্তন করে থাকেন।প্রার্থনায় আছেঃ يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوْبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلَى دِيْنِكَ. ‘হে অন্তরের পরিবর্তন আনয়নকারী!আমাদের অন্তরকে দ্বীনের ওপর অটল রাখুন।হুযায়ফাহ (রাঃ) থেকে ফিতনার অধ্যায়ে একটি সহীহ হাদীস বর্ণিত রাসূল(সাঃ)ইরশাদ করেছেনঃ
    ‘অন্তরের মধ্যে ফিতনা এমনভাবে উপস্থিত হয় যেমন ছেঁড়া মাদুরের একটা খড়কুটা। যে অন্তর তা গ্রহণ করে নেয় তাতে একটা কালো দাগ পড়ে যায় এবং যে অন্তরের মধ্যে এই ফিতনা ক্রিয়াশীল হয় না, তাতে একটা সাদা দাগ পড়ে যায়। আর সেই শুভ্রতা বাড়তে বাড়তে সম্পূর্ণ সাদা হয়ে গিয়ে সমস্ত অন্তরকে আলোকে উদ্ভাসিত করে দেয়। তারপর ফিতনা এই অন্তরের কোন ক্ষতি করতে পারে না।পক্ষান্তরে, অন্য অন্তরে কৃষ্ণতা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে যায় এবং শেষে সমস্ত অন্তরকে কালিমাময় করে দেয়। তখন তা উল্টানো কলসের মতো হয়ে যায়, ভালো কথাও তার ভালো লাগে না এবং মন্দ কথাও খারাপ লাগে না।(সহীহ মুসলিম ১/১২৮,১২৯, মুসনাদ আহমাদ ৫/৩৮৬, ৪০৫) তাহলে জানা গেলো যে,পাপের প্রাচুর্য অন্তরের ওপর পর্দা ফেলে দেয় এবং এর পরে মহান আল্লাহর মোহর হয়ে যায়।একেই বলে খাতাম এবং তবা।’এরূপ অন্তরের মধ্যে ঈমান প্রবেশ করার ও কুফর বের হওয়ার আর কোন পথ থাকেনা।মহান আল্লাহ বলেনঃ ذَ اِلٰهَهٗ هَوٰىهُ وَ اَضَلَّهُ اللّٰهُ عَلٰى عِلْمٍ وَّ خَتَمَ عَلٰى سَمْعِهٖ وَ قَلْبِهٖ وَ جَعَلَ عَلٰى بَصَرِهٖ غِشٰوَةً١ؕ فَمَنْ یَّهْدِیْهِ مِنْۢ بَعْدِ اللّٰهِ١ؕ اَفَلَا تَذَكَّرُوْنَ ﴾ তুমি কি লক্ষ্য করছো তাকে, যে তা খেয়াল খুশীকে নিজের মা‘বূদ বানিয়ে নিয়েছে? মহান আল্লাহ জেনে শুনেই তাকে বিভ্রান্ত করেছেন এবং তার কর্ণ ও হৃদয় মোহর করে দিয়েছেন এবং তার চক্ষুর ওপর রেখেছেন আবরণ। অতএব,কে তাকে পথ নির্দেশ করবে?তবুও কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না?

    উত্তরমুছুন
  17. আমি বুঝি না~ দুনিয়াতে একমাত্র ইসলাম ধর্মই কেনো "পরগাছার মতো বাচার চেষ্টা করে"?

    🔴 কুরানের ৭০% তাওরাত-ইঞ্জিলের কপি!

    🔴 আল্লাহর নিজের ভাষা নেই, সেই আরবিদের আরবি ভাষা চুরি করা! 😄


    🔴 আল্লাহ নামটাই তো মুর্তিপুজক কোরাইশদের প্রধান দেবতা *হুবালের অন্য নামগুলির একটি* যা সপাটে চুরি করে কল্পিত ৭ আসমানের আরশের উপরে বসানো হয়েছিলো! 😇 এই বিষয়ে নির্ভেজাল দলিল মুহম্মদের মুশিরেক বাপ " আব্দ+আল্লাহ=আব্দুল্লাহ "

    🔴 ইসলামের ধর্মীয় রীতিনীতি, সামাজিক কালচার~ সব ই পূর্ববর্তী ধর্মগুলোর হাইব্রিড সংস্করনঃ যা ইহুদি নাসারা ও মুর্তিপুজকদের থেকে সুবিধামতো চুরি করেছিলো ইসলামের নবী! এক্সাম্পলঃ আযান, নামাজ, খাতনা, বুরকা, টুপি, দাড়ি, জানাজা, হজ্জ, তাওয়াফ, কালা পাথর চুম্বন....ইত্যাদি ইত্যাদি

    🔴আজও সেই মুহাম্মাদি সুন্নতের অনুসরণে , মমিনরা "অন্য ধর্মে নিজেদের অস্তিত্ব খুজে মরছে! 😇

    এসব লেখার মুল কারনঃ ১) সব কিছু যদি বেদে পুরানেই ছিলো ~ তাহলে সেই আদি ধর্ম ছেড়ে খতনা করে ইসলাম কবুল করে মমিন হওয়ার কি দরকার ছিলো?
    ২) আপনাদের সেই গ্রান্ড নানু দাদুরা কি আরবেভগিয়ে, ১ বছরের আর্বি শেখার কোর্স করে~ কুরান আর ৭ লক্ষ হাদিস পড়ে বুঝে ~ তারপর মমিন হয়েছিলো? 😄
    না~ আর্বিদের তলোয়ারের ডগায় " এক লাইন কলেমা শুনেশুনে তোতাপাখির মতো বলে "শুইন্যা মুসলমান" হয়েছিলো?

    আশা করি কাপুরুষোচিত ব্লক, ডিলিট বা হিজ্রত না করে, পয়েন্ট বাই পয়েন্ট উত্তর দেবেন!
    "একমাত্র আল্লাহ কেই ভয় পাওয়া উচিত, আমাকে নয়!" 😃 আমি মহান, সর্বজ্ঞ!

    উত্তরমুছুন
  18. এই ব্লগের লেখক কে?? এর আগে কল্কি অবতার নিয়ে যে দাবীগুলো খণ্ডন করেছেন সেগুলো ভুল রেফারেন্সে ভরা আর এতোটা হাইস্যকর, যা বলার কোন অবকাশ নেই। বেদে মুহাম্মদের নাম আছে কিনা ডিবেটে রাজি থাকলে জানাবেন।

    উত্তরমুছুন