হিন্দুরা প্রায়ই দাবি করে যে তাদের ধর্মের কিছু মানুষ নিজেরাই অজ্ঞতাবশত নাকি গরুর মুত্র পান করে। তাদের ধর্মগ্রন্থে নাকি কোথাও গরুর মুত্র খেতে বলা হয়নি। তাই আসুন দেখি তাদের ধর্মগ্রন্থে গোমুত্র খাওয়া নিয়ে বেশ কিছু প্রমানসহ রেফারেন্স।
প্রথমে বলি, হিন্দুরা হয়ত ভুলে গেছে পঞ্চগভ্যের কথা। পঞ্চগভ্য হচ্ছে গরুর পাচটি উপাদান, তা হচ্ছে দুধ, দই, ঘি, মুত্র এবং গোবর। এই পাচটি উপাদান দিয়ে তৈরি হয় পঞ্চগভ্য, যেটা প্রসাদ সহ বিভিন্ন খাদ্য এবং অন্যান্য কাজে ব্যবহার করে হিন্দুরা।
ভগবত পুরাণে বলা আছে, ৮.৮.১১ তে বলা আছে,স্বামী প্রভুপাদ এর অনুবাদে লেখে,
"পঞ্চগভ্য পাচটি উপাদান যা গরু হতে পাওয়া যায়, যথাক্রমে দুধ, দই, ঘি, গোবর এবং মূত্র। এগুলো সকল ধর্মানুষ্ঠানে ব্যবহৃত হয় বৈদিক নিয়মানুসারে।"
স্বামী প্রভুপাদীর নিজের হাতে করা ইংরেজী অনুবাদ।
সরাসরি পড়ুন http://www.vedabase.com/en/sb/8/8/11/
মহাভারত অনুশাসন পর্ব, ১৩/৭৮ এ বলা আছে,
"যদি কেউ দুঃস্বপ্ন দেখে, তার উচিত গরুর গোবর দিয়ে গোছল করা। তার উচিত শুকনা গরুর গোবরের উপরে বসা। এবং কখনোই গরুর গোবর বা মুত্রের উপর নিজের মলমুত্র ফেলা উচিত নয়।"
অনুবাদে ঃ কিশোরী মোহন গাংগুলি। নীচে স্ক্রীনশট,
মনুসংহিতায়ও গরুর মূত্র ও গোবর খাওয়ার বিধান আছে, মনুসংহিতা ১১/২১৩, বলা আছে,
"সান্তপন দুই দিবসসাধ্য, গোমুত্র এবং গোময়, দুগ্ধ, দধি, ঘৃত, কুশোদক এই কয়েক দ্রব্য একত্র করিয়া প্রথম দিনে খাইবে।"
মনুসংহিতা ১১/৯১-৯২ তে আছে, যদি কোন ব্রাক্ষন জ্ঞানপুর্বক সুরা পান করে তাহলে পাপ দূর করতে সে আগুনে গরম করা গোমুত্র, জল ,দুগ্ধ ইত্যাদি খাবে যতক্ষননা পাপ না মরে।
মহাভারত, অনুশাসন পর্ব ১৩/৮১ তে বলা আছে,
"যারা গরুর সেবা করে তারা অমুল্য সম্পদ লাভ করে। প্রত্যেকের উচিত তাদেরকে সুখী রাখা। তারা পরিপুর্ন সুখ নিয়ে গরুকে শ্রদ্ধা করবে এবং পুজা করবে। প্রত্যেকের উচিত প্রথম ৩ দিন গরম গরুর মূত্র পান করা , পরের তিনিদিন গরুর গরম দুধ পান করা, পরের তিনদিন ঘি এবং তার পরের তিনিদিন শুধু বাতাস এর উপর ভর করে বেচে থাকা। এটিই হচ্ছে পবিত্র আচার যার দ্বারা দেবতাগন পরম সুখ লাভ করেন। এমনটা দ্বারা একজন ব্রাক্ষনও চরম উপকৃত হতে পারেন।"
অনুবাদঃ কিশোরি মোহন গাংগুলি।
এরকম গরুর মূত্র, গোবর, এবং এগুলো দিয়ে তৈরি পঞ্চগভ্য খাওয়া ও ব্যবহারের বহু বহু রেফারেন্স দেয়া যাবে হিন্দু ধর্মগ্রন্থ হতে। এখানে বিস্তারিত পড়ুন
মূলত হিন্দুরা তাদের শাস্ত্রের নির্দেশ মতেই গোমুত্র খেয়ে থাকে। এটি কেউ অজ্ঞতা বা শুধু কুসংস্কারাচ্ছন্নতা দ্বারা করে না। বরং হিন্দু ধর্মীয় বিধান পালন করতেই তারা গোবর গোমুত্র খেয়ে থাকে।
Thanks
উত্তরমুছুনHmm
উত্তরমুছুনপ্রভুপাদ ইসকন এর প্রতিষ্ঠাতা তার সাথে বৈদিক ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই
উত্তরমুছুনচৈতন্য মহাপ্রভু মূলত বৈদিক ধর্মকেই পুনঃপতিষ্ঠা করেছে।প্রভুপাদ তার ভক্ত হয়ে সেই ভগবানের বাণী প্রচার করেছে মাত্র।
উত্তরমুছুন