হিন্দুরা কথায় কথায় মুসলিমদের বেহেশতে হুর নিয়ে খোটা দেয়, বলে মুসলিমরা তো বেহেশতে ৭২ টা হুর পাবে। যদিও কোরানে কোথাও বলা নেই ৭২ হুর দেয়া হবে। শুধু বলা আছে, হুর দেয়া হবে, হুর মানে সংগী, আর মানুষ সংগী ছাড়া থাকতে পারে না। একিসাথে হুর শব্দটা স্ত্রী লিংগ ও পুলিংগ উভয়ই বুঝায়। তাই স্বর্গবাসীর একাকিত্ব দূর করতে সেখানে থাকবে তাদের জন্য সংগী।
কিন্তু সনাতনী হিন্দুরা এই বিষয়টি নিয়ে মুসলিমদের সবচেয়ে খোটা দেয়, অথচ এইসব দাদারা জানে না যে তাদের ধর্মগ্রন্থে ১টা, ২টা কিংবা ৭২ টা না, বরং স্বর্গে সহস্র বা হাজার হুর, অপ্সরী ও কুমারী নারী দেয়ার কথা বলা আছে।
অথর্ববেদ ৪/৩৪/২, বলা আছে,
"নাইশাম শিশ্নামং প্রা দাহাতি যাতাভেদাহ,
স্বর্গলোকে বহু স্ত্রীনামেশাম"
অর্থঃ অগ্নি (যাহারা ধার্মিক) তাহাদের লিংগ (শিশ্না) পোড়াবে না এবং স্বর্গে তাহারা পাবে বহু স্ত্রী।
নীচে আর্য সমাজের আচার্য্য বিদ্যানাথ শাস্ত্রীর অনুবাদ,
যদিও বিদ্যানাথ শাস্ত্রী অনুবাদে লিখেছে One for each one as his wife কিন্ত মুল সংস্কৃততে এরকম কোন কিছুই নেই। তিনি হিন্দু ধর্মে একক বিবাহ প্রতিষ্টায় বাড়তি কথা যুক্ত করেছেন, স্বর্গালোকে বহুস্ত্রীনামেশং এর পরে আর কোন শব্দ নেই যা ঐ অর্থ নির্দেশ করে।
অন্য একটি অনুবাদ প্রদান করলেই ব্যাপারটা পরিস্কার হয়ে যাবে,
গায়ত্রী পরিবারের প্রতিষ্টাতা আচার্য শ্রীরাম শর্মা এর অনুবাদ লেখেন,
"অগ্নি উসকি উৎপাদক অংগকো নষ্ট নেহি করতা, স্বর্গমে উসকি বহুতছি স্ত্রী হ্যায়"
অর্থাৎ অগ্নি তাহার উৎপাদক অংগকে নষ্ট করে না এবং স্বর্গে তাহার বহু স্ত্রী থাকে।
অন্য একটি অনুবাদ প্রদান করলেই ব্যাপারটা পরিস্কার হয়ে যাবে,
গায়ত্রী পরিবারের প্রতিষ্টাতা আচার্য শ্রীরাম শর্মা এর অনুবাদ লেখেন,
"অগ্নি উসকি উৎপাদক অংগকো নষ্ট নেহি করতা, স্বর্গমে উসকি বহুতছি স্ত্রী হ্যায়"
অর্থাৎ অগ্নি তাহার উৎপাদক অংগকে নষ্ট করে না এবং স্বর্গে তাহার বহু স্ত্রী থাকে।
মহাভারত শান্তিপর্বে বলা আছে, ১২/৯৮
"স্বর্গে হাজারো অপ্সরী তীব্রবেগে ছুটে যাবে, যুদ্ধে নিহত বীরের আত্নাকে আনার জন্য"
অনুবাদঃ কিশোরী মোহন গাংগুলি
মহাভারত, অনুশাসন পর্ব, ১৩/৭৩ এ বল আছে,
গোসম্পদের সেবার মাধ্যমে মানুষ স্বর্গে গমনের পর এক হাজার স্বর্গীয় কুমারী নারী পাবে, যাদের থাকবে আকর্ষনীয় কটিদেশ এবং থাকবে সুন্দর পোষাক ও গহনায় সুসজ্জিত।
অনুবাদঃ কিশোরী মোহন গাংগুলি
মহাভারত বনপর্ব, ৩/৪২ এ বলা আছে,
ব্রাক্ষন, ক্ষত্রিয় বৈশ্য, স্বর্গে গেলে তাদের সকল দুশ্চিন্তা দূর হবে এবং তারা স্বর্গবাসীর সহিত ক্রীড়া করবে।
অনুবাদঃ কিশোরী মোহন গাংগুলি
ব্রাক্ষন, ক্ষত্রিয় বৈশ্য, স্বর্গে গেলে তাদের সকল দুশ্চিন্তা দূর হবে এবং তারা স্বর্গবাসীর সহিত ক্রীড়া করবে।
অনুবাদঃ কিশোরী মোহন গাংগুলি
মহাভারত, অনুশাসন পর্ব, ১৩/১০৬ এ বলা আছে,
যারা রোগে শোকে অবিচল, যজ্ঞে আত্ননিয়োগের গুনাবলি অর্জন করে প্রতি পদে , তাহাদের জন্য স্বর্গে শত অপ্সরা অসাধারন গুনাবলির সহিত অপেক্ষারত, তাহাদের সহিত ক্রিড়া করার জন্য।
অনুবাদঃ কিশোরী মোহন গাংগুলি
যারা রোগে শোকে অবিচল, যজ্ঞে আত্ননিয়োগের গুনাবলি অর্জন করে প্রতি পদে , তাহাদের জন্য স্বর্গে শত অপ্সরা অসাধারন গুনাবলির সহিত অপেক্ষারত, তাহাদের সহিত ক্রিড়া করার জন্য।
অনুবাদঃ কিশোরী মোহন গাংগুলি
ব্রাক্ষ বৈবর্ত পুরাণ, কৃষ্ণজন্ম খন্ড, অধ্যায় ৫৯, শ্লোক ৭৭-১০৩ এ বলা আছে,
"উত্তম চরিত্রের লোক পবিত্র কর্ম সম্পাদন করিয়া স্বর্গে গমন করে, এবং সেখানে স্বর্গের কুমারী নারীদের সহিত দীর্ঘ সময় ব্যাপী স্বর্গীয় সুখ লাভ করে।"
অনুবাদঃ রাজেন্দ্রনাথ সেন।
হিন্দু ধর্মগ্রন্থ হতে এরকম আরো বহু রেফারেন্স প্রদান করা যাবে।
GREAT JOB BRO
উত্তরমুছুনখ্রিস্টান ধর্মে হুর নেই?
উত্তরমুছুনআছে। রেফারেন্স 27 Peter answered him, “We have left everything to follow you!(A) What then will there be for us?”
মুছুন28 Jesus said to them, “Truly I tell you, at the renewal of all things, when the Son of Man sits on his glorious throne,(B) you who have followed me will also sit on twelve thrones, judging the twelve tribes of Israel.(C) 29 And everyone who has left houses or brothers or sisters or father or mother or wife[a] or children or fields for my sake will receive a hundred times as much and will inherit eternal life.(D) 30 But many who are first will be last, and many who are last will be first.(E)[matthew 19:27-30]
আছে
উত্তরমুছুনমনের মতো ওয়েভ সাইট পাইছি
উত্তরমুছুনকোরআন এ হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান, ঈহুদী ধর্ম বলে এমন কোন উক্তি নেই । ইসলাম ধর্ম নিয়ে আছে বাকী সব পরিত্যাজ্য ।ধন্যবাদ
উত্তরমুছুনএই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
মুছুনকোরআন এ হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান, ঈহুদী ধর্ম বলে এমন কোন উক্তি নেই । ইসলাম ধর্ম নিয়ে আছে বাকী সব পরিত্যাজ্য ।ধন্যবাদ
উত্তরমুছুনHindura sudhu sunei muslimder bole, aasole Ora nijerai jane na oder dharmo kotota nongra.
উত্তরমুছুনএই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
মুছুনকোনো দিনতো হিন্দুরা স্বর্গে ও নরকে কি পাবে সেটা নিয়ে এত মাথা ঘামায়নি ,তাহলে মুসলিমরা কেন এত আদাজল খেয়ে লেগেছে!! ও বুজতে পারছি ,নিজেরা তো সব অশালীন জিনিস পাবে ,তাহলেতো তারা আমাদেরও অশালীন হতে জোর দিবে ,এইটা তো একটা কুত্তাও জানে !! এই কূল ও ওই কুলও যেন না যায় ,সেজন্যে আমাদেরও তাদের অশালীনতার মধ্যে টানবে!যাই হোক ,এইসব তারছেড়া পাবনা পলাতক মুসলিমদের বলি ,তো মরার পর আপনার শরীর কবরের দোযোগে থাকবে ,তাহলে এইসব বড়ো বড়ো স্তনওয়ালা হুর কিভাবে পাবেন ,আবার আত্মা বলে কিছু বিশ্বাস করেন না! কিভাবে যাবেন আপনাদের হুরের কাছে এই শরীর ছাড়া!আত্মা তো খাইতে ও চলতে পারে না! যাই হোক মূর্খ বিশ্বাসীরা ,স্বর্গ ও নরকের ধারণা তৈরী হয়েছে ,ভালো কাজের উৎসাহসের জন্য ও খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকার জন্য!যদি এই মূর্খ মহাশয় বেদ ,গীতা ,মহাভারত ও হিন্দুগ্রন্থ পড়ে থাকে তাহলে জানতো ,হিন্দুদের স্বর্গ ও নরক কোনো চিরন্তর ও চিরস্থায়ী এবং মূললক্ষ্য নয় মুসলিমদের মতো! হিন্দু বিশ্বাসের বিশিষ্ট ধাপ গুলির মধ্যে ধর্ম (নীতি / কর্তব্য), সংসার (জন্ম, জীবন, মৃত্যু, এবং পুনর্জন্মের ধারাবাহিক চক্র), কর্ম (ক্রিয়া, অভিপ্রায় এবং পরিণতি), মোক্ষ (মুক্তি থেকে মুক্তি) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এই জীবনের মুক্তি) এবং বিভিন্ন যোগব্যায়াম (পথ বা অনুশীলন)। তো এইখানে স্বর্গ ও নরক পাবার কথা কখনও বলে নাই ,শুধু বলছে কর্মফলের আশা ত্যাগ করে ভালো কর্ম করতে! নিষ্কাম কর্ম করতে বলছে! কিন্তু মুসলিমদের তো হুর,জান্নাত,বহুস্ত্রিকে বিবাহ,মেয়েদের গনিমতের মাল ইত্যাদি ইত্যাদি ক্ষেত্রে পুরাই পাগলখোর!! নিজের চোখ বুলে দেখেন:::::
উত্তরমুছুনএকজন মুসলিম পুরুষের জন্যে চার পত্নি (Quran 4:3), উপপত্নি, দাসী (Quran 23:5-7, 70:29-30, Malik’s Muwatta hadis 2:23:90, 28:14:33, 28:14:38), যুদ্ধ বন্দিনি (Sahih Muslim 8:3373, 8:3383, 8:3432, Sahih Bukhari 7:62:137, 9:93:506, 5:59:459, Abu Dawud 11:2166) -দের সাথে যৌন সম্পর্ক করা বৈধ । মানুষ হিসেবে আপনার কেমন লাগবে যখন আপনার ধর্ম আপনাকে শেখাচ্ছে বিবাহ বহির্ভুত যৌনসম্পর্ক, পরকীয়া, ধর্ষন, বহুবিবাহ ?
পাকিস্তানি আর্মি কর্তৃক বাঙালি নারী ধর্ষন আপনার চোখে কেন খারাপ প্রতিপন্ন হয় যখন কুরান এবং হাদিসে তারই নির্দেশনা রয়েছে (Quran 4:24, 33:50 Sahih Bukhari 5:59:637, 5:59:459, 7:62:137 Abu-Dawud 11:2150 Sahih Muslim 8:3432) ?
যুদ্ধ বন্দিনিদের সাথে যৌন সম্পর্ক কে (Sahih Muslim 8:3373, 8:3383, 8:3432, Sahih Bukhari 7:62:137, 9:93:506, 5:59:459, Abu Dawud 11:2166) আপনার দৃষ্টিতে কি ধর্ষন বলে মনে হয় না ? নিশ্চই কোন নারী নিজের স্বামী হন্তকের সাথে স্ব-ইচ্ছায় যৌন সম্পর্ক করতে চাইবে না !
ইসলামে পুরুষকে চারটা বিয়ের অনুমতি (Quran 4:3) দেওয়ার মাধ্যমে কি নারীদের যৌন ভোগ্যপন্য হিসেবে উপস্থাপন করা হয় নি ?
ইসলাম অনুযায়ী নারীদের জন্যে বহু বিবাহ নিষিদ্ধ, বিবাহ পুর্ব বা বিবাহ বহির্ভুত যৌন সম্পর্ক নিষিদ্ধ, স্বামীর গায়ে হাত তোলা নিষিদ্ধ, যদিও এর সব গুলোই একজন পুরুষ পারবে (Quran 4:3, 23:1-11, 4:34) ! একজন পুরুষ সম্পত্তির ক্ষেত্রে নারীর দিগুন পাবে (Quran 4:11) এবং কোর্টে সাক্ষ্য গ্রহনের ক্ষেত্রে একজন নারী একজন পুরুষের অর্ধেক বলে বিবেচিত হবে (Quran 2:282) ! তাহলে একজন মুসলিম কিভাবে দাবি করে ইসলামে নারী ও পুরুষের সমান অধিকার দেওয়া হয়েছে ?
বাল্য বিবাহ আধুনিক সমাজে খারাপ হিসেবে দেখা হয় কেননা এতে করে বহু সমস্যার সৃষ্টি হয়, এবং বয়সন্ধির পূর্বেই (below 16 yrs) যৌন সম্পর্ক আইনের দৃষ্টিতে ধর্ষন ! তাহলে কুরানে (Quran 65:4, Sahih Bukhari 7:62:63, Al-Muwatta 29 33.108) কেন সে ধরনের ইঙ্গিতই রয়েছে, যার ফলে বহু ইসলামিক দেশেই বিষয়টাকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে ?
উত্তরমুছুনলিংক
আপনি (for women) কি নিজ বাড়িতে আপনার স্বামীর সঙ্গে তার দাসীদের (sex slaves) যৌন সম্পর্ককে মেনে নেবেন ? কেন নয় যখন তার অনুমোদন এসেছে আল্লাহর কাছ থেকে (Quran 23:5-7, 70:29-30 Malik’s Muwatta hadis 2:23:90, 28:14:33, 28:14:38) এবং যার চর্চা নবী মুহম্মদও করে গেছেন (Sahih Bukhari 9:89:321 or eg. Mariyah) ?
লিংক
ইসলাম আদেশ করে যখনই একজন মুসলিম স্বামী ইচ্ছা করবে, তখনই তার পত্নিকে সেক্স এর জন্যে সারা দিতে হবে, যদিনা তার রজচক্র চলে বা অসুস্থ থাকে (Sahih bukhari 8:3368, Mishkat al-Masabih Book I, Section ‘Duties of husband and wife’, Hadith No. 61, Al Tirmidhi Hadith No. 1160 and Ibn Ma’jah Hadith No. 4165) ! ইসলামে নারীদের কোন ব্যক্তি স্বাধীনতা দেওয়া হয়নি কেন ?
ইসলামে ধর্ষনের অনুমোদন পাওয়া যায় কুরান থেকে (Quran 4:3, 4:24 Tafsir al-Wahidi, 23:5-6, 33:50, 70:22-30) হাদিস থেকে (যুদ্ধবন্দিনি ধর্ষন – Sahih Bukhari 5:59:459 Sahih Muslim 8:3432, 8:3433, 8:3371 Abu Dawud 2:2150, 11:2153 দাসী ধর্ষন – Sahih Bukhari 8:77:600, 3:34:432 Sahih Muslim 8:3383 Abu Dawud 31:4006) ! আপনি (for women) কি মনে করেন ইসলামের এই অনৈতিক বিষয়গুলোকে কোন সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত হতে পারে ?
আপনার (for women) কি মনে হয় না যে বেহেস্ত পুরুষের জন্যে একটা বেশ্যালয় ছাড়া আর কিছুই নয় ?
(Quran 56:35-37, 78:31-33, 55:56, 55:70-74 see Tafsir Ibn Kathir Al-Tirmidhi Vol-4, Ch-21, No-2687 Sahih Muslim 40:6795, 40:6796 Sahih Bukhari 4:55:544 Al-Itqan fi Ulum al-Quran, page 351 Mishkat al-Masabih Book-4, Ch-42, No-24 Sunan Ibn Maja, Zuhd Book of Abstinence 39 Al-Suyuti, Al-Itqan fi Ulum al-Quran, p. 351)
লিংক
একজন ৫৪ বছর বয়স্ক ব্যাক্তির (মুহম্মদ) সাথে ৯ বছরের বালিকার (আয়েশা) যৌন সম্পর্ককে আপনার কি মনে হয় – নৈতিক নাকি অনৈতিক (Sahih Bukhari 7:62:64, 8:73:151, 5:58:234, 5:58:236, Abu-Dawud 2:2116) ?
এরকম হাজারো নোংরামি ও অশালীনতা আছে এবং বৈজ্ঞানিকভাবে কোরআন ভুল আমাদের সবার জানা আছে!! চাইলে আরো দেয়া যাবে , আপাতত এগুলো কোরআনে খুঁজে হজম করে নিন!!
এগতগুলা লাইন লিখলেন তাও কীন যুক্তি দিতে পারলেন না 🤣🤣
মুছুনহিন্দু ধর্ম থেকেই ইসলাম ধর্মের কন্সেপ্ট বানিয়েহে মোহাম্মদ
মুছুনবোকাচোদা ভন্ড কাল্পনিক গল্প ইসলাম
মুছুনসনাতন ধর্ম হল একমাত্র সত্য ধর্ম
উত্তরমুছুনমহানবি হযরত চুদাম্মদ
উত্তরমুছুন১। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম প্রথম ৫০ বছর বয়সে ৬ বছরের মেয়ে আয়েশাকে বিয়ে করেছে কে ?
উত্তর: #মুহম্মদ।
২। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম পুত্রবধূকে বিয়ে করেছে কে ?
উত্তর : #মুহম্মদ
৩। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম গনিমতের মালের নামে অন্যধর্মের লোকেদের ধন সম্পত্তি লুঠ করেছে কে ?
উত্তর : #মুহম্মদ।
৪। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম অমুসলিম নারীদেরকে ধর্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছে কে ?
উত্তর: #মুহম্মদ।
৫। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম চাচার সাথে ভাতিজির (আলী ও ফাতেমা) বিয়ে দিয়েছে কে ?
উত্তর: #মুহম্মদ।
৬। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম ডাকাতির মালে ২০% কমিশন খেয়েছে কে ?
উত্তর: #মুহম্মদ
৭। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম যুদ্ধবন্দিনীদেরকে ধর্ষণ এবং তাদেরকে ক্রীতদাসী হিসেবে বাজারে বিক্রি করেছিলো কে?
উত্তর: #মুহম্মদ।
৮। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম ডজন খানেক বউ নিয়ে নিজের বাড়িকে মিনি পতিতালয় বানিয়েছিলো কে ?
উত্তর: #মুহম্মদ।
৯। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম কন্যা বা নাতনীসমদেরকে বিয়ে করেছিলো কে ?
উত্তর: #মুহম্মদ।
১০। বোরাকে চড়ে মহাকাশ ভ্রমণের মিথ্যা দাবীদার কে ?
উত্তর: #মুহম্মদ।
১১। পিতা ও পুত্র কর্তৃক একদিনে দুই বোনকে বিয়ে করা পৃথিবীর প্রথম ব্যক্তিদ্বয় কে কে ?
উত্তর: #মুহম্মদের কথিত পিতা আব্দুল্লাহ এবং দাদা মোতালিব।
১২। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম ৮০০ লোককে (কুরাইজা গোত্র) একদিনে জবাই করে হত্যা করেছিলো কে ?
উত্তর: #মুহম্মদ।
১৩। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম- জিহাদ বা সন্ত্রাস করাই হলো বেহেশতে যাওয়ার সহজ পথ- বলেছে কে ?
উত্তর: #মুহম্মদ।
১৪। মারিয়া দাসীর গর্ভে ইব্রাহিম নামক পুত্রের জন্ম দিয়েছিলো কে ?
উত্তর: #মুহম্মদ।
১৫। পৃথিবীতে দাস ব্যবসার জনক কে ?
উত্তর: #মুহম্মদ।
১৬। পৃথিবীতে ধর্মীয় সন্ত্রাসের জনক কে ?
উত্তর: #মুহম্মদ।
১৭। পৃথিবীর সর্বপ্রথম মুক্তিপণ আদায়কারী কে ?
উত্তর: #মুহম্মদ।
১৮। পৃথিবীতে- লাইব্রেরি ধ্বংসকারী জ্ঞানবিমুখ জাতি কে ?
উত্তর: #মুসলমান।
১৯। পৃথিবীতে শুয়োরের মতো সন্তান জন্মদানে বিশ্বাসী জাতি কোনটি ?
উত্তর: #মুসলমান।
২০। পৃথিবীতে- খুনী, সন্ত্রাসী, ধর্ষক, মিথ্যুক, প্রতিজ্ঞা ভঙ্গকারী, লুচ্চা, ডাকাত সর্দার- মুহম্মদকে নবী হিসেবে মানে বা বিশ্বাস করে কারা ?
উত্তর: #মূর্খ_মুসলমানরা।
২১। পৃথিবীতে ইসলাম নামক এক অবাস্তব থিয়োরির প্রবক্তা কে ?
উত্তর: #মুহম্মদ।
২২। তালাক দিয়ে স্ত্রীকে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলার বিধান দাতা কে ?
উত্তর: #মুহম্মদ।
২৩। কে মনে করতো যে নারীরা হলো পণ্য, তাদেরকে ভালো রাখতে হলে বস্তায় মুড়ে রাখতে হবে ?
উত্তর: #মুহম্মদ।
২৪। একজন পুরুষ ৪ জন নারীকে বিয়ে করতে পারবে, এমন বিধান দাতা লুচ্চা কে ?
উত্তর: এক ডজনেরও বেশি নারীকে বিয়ে করা লম্পট মুহম্মদ।
২৫। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম কে বলেছে- পশুর সাথে যৌনতায় কোনো সমস্যা নেই ?
#মুহম্মদ।
আপনি কি কখনো হাদিসের বর্ননার সাথে বিজ্ঞান কে মেলানোর চেষ্টা করে দেখেছেন ?
উত্তরমুছুন১ মানুষের আদিপিতা আদম ছিলো ৯০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট – Sahih Bukhari 4:55:543 Sahih Muslim 40:6809, 32:6325
২ সূর্য প্রতি রাতে আল্লাহর আরশের নিচে সেজদা দিতে থাকে – Sahih Bukhari 4:54:421 Sahih Muslim 1:297
৩ চাঁদের নিজস্ব আলো আছে – Sahih Bukhari 4:54:422
৪ চন্দ্র-সূর্যের গ্রহন ঘটে মানুষকে ভয় পাওয়ানোর উদ্দেশ্যে – Sahih Bukhari 2:18:158
৫ সাগর দাড়া পরিবেষ্ঠিত মহা বিশ্ব – Abu Dawud 2:475
৬ মহাবিশ্বের বাইরে বৃহদাকার ছাগল – Abu Dawud 40:4705
৭ যৌনকর্মের সময় ‘আল্লাহর ইচ্ছা’ বললেই জন্ম নেবে পুত্র সন্তান – Sahih Bukhari 4:52:74i
৮ মানব ভ্রুণ ৪০ দিন অতিবাহিত করে শুক্রবিন্দু রূপে ৪০ দিন বক্তপিন্ড রূপে ৪০ দিন মাংসপিন্ড রূপে – Sahih Bukhari 4:54:430, 4:55:549, 8:77:593, 9:93:546 Sahih Muslim 33:6390
৯ মানব ভ্রুণ ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে তা নির্ধারিত হয় ১২০ দিন পর – Sahih Bukhari 8:77:594, 4:55:550 Sahih Muslim 33:6397
১০ জন্মের পূর্বে কেউ জানতে পারবে না সন্তান ছেলে না মেয়ে – Sahih Bukhari 2:17:149
১১ জন্মের সময় সন্তান কাঁদে শয়তানের স্পর্শে – Sahih Bukhari 4:54:506
১২ শরীরের জন্ম-দাগ খারাপ দৃষ্টির ফল – Sahih Bukhari 7:71:635
১৩ হাই আসে শয়তান থেকে – Sahih Bukhari 4:54:509
১৪ রাতের বেলা নাকে শয়তান ঘুমায় – Sahih Muslim 2:462
১৫ অধিক ঘুমানোর কারন কানে শয়তানের মূত্র ত্যাগ – Sahih Bukhari 2:21:245
১৬ অমুসলিমের রয়েছে সাতটা অন্ত্র (Intestine) আর মুসলিমের একটা – Sahih Muslim 23:5113 Al-Muwatta 49.49.69, 49.49.610
১৭ পুরুষের থেকে নারীর বুদ্ধি কম হয় – Sahih Bukhari 3:48:826, 2:24:541, 1:6:301
১৮ কেউ জানতে পারবে না কখন বৃষ্টি হবে – Sahih Bukhari 2:17:149
১৯ সন্তানের চেহারা নির্ভর করে বীর্যপাতের ওপর – Sahih Bukhari 55:546
২০ চোখের দৃষ্টি নষ্ট করে ও গর্ভপাত ঘটায় সাপ – Sahih Bukhari 54:527-528
২১ প্রার্থনার সময় ওপর দিকে তাকালে দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হওয়া – Sahih Muslim 4:862-863
২২ শীত গ্রীষ্ম হচ্ছে দোজখের নিশ্বাসের ফল – Sahih Bukhari 54:482
২৩ জ্বরের তাপ আসে দোজখের তেজ থেকে – Sahih Bukhari 54:483-86
২৪ কোন বস্তুর প্রতি ভালোবাসা অন্ধত্ব এবং বধিরতার কারন – Abu Dawud 41:5111
ইসলাম হল মিথ্যা কাল্পনিক গল্প । এটা আরবদের মিথ্যা বানানো গল্প । এর কারন নিচে ঃ
উত্তরমুছুন১। ইসলাম বলে মানুষ আদম হাওয়া থেকে এসেছে যে সম্পূর্ণ কাল্পনিক । মানুষ এসেছে বিবর্তনের মাধ্যমে । এ কথা জাকির নায়েক না মানলেও ইয়াসির কাদি মানে । মানে মুসলিমদের মধ্যেই এটা নিয়ে বিভেদ আছে । কিন্তু ৯০% মুসলিম বিশ্বাস করে বিবর্তন সত্য নয় কিন্তু বিজ্ঞান এবং বিশ্বের অসব উন্নত সভ্য দেশে এই তত্ত প্রমানযোগ্য সত্য । এর প্রমান ডি এন এ এবং ফসিলের মাঝেই আছে । কিন্তু আদম হাওয়ার কোন প্রমান নেই ।
২। ইসলাম ও খ্রিস্টিয়ানিটি মতে আদম এসেছে ৮ থেকে ১২ হাজার বছর পূর্বে । কিন্তু বাস্তবতা হলে আধুনিক মানুষ (HOMO SAPIENS) এসেছে ১ লাখ+ বছর আগে । অর্থাৎ , এ থেকেও বুঝা যায় আদম হাওয়ার কাহিনি মিথ্যা । বিবর্তন সত্য ।
৩।ইসলাম ও কুড়ানে জিন নামক কল্পিত জীবের বর্ণনা আছে যার বিজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই । এই জিন নামক কল্পিত প্রানির কথা অন্য কোন আব্রাহামিক ধর্মে লেখা নেই । শুধু তাই নয় প্রাচিন আরব দেশের পৌরাণিক কাহিনিতে জিনের কথা আছে । অর্থাৎ জিন নামক এই কল্পিত প্রানি এসেছে আরব প্যাগানদের কল্পনা থেকে । বাস্তবে এর অস্তিত্ত নেই ।
৪।মুসলিমসহ সকল আব্রাহামিক ধর্মের মানুষরা বিশ্বাস করে যে নুহ এর বন্যা নামক কল্পিত এক বন্যা সারা বিশ্বব্যাপি হয়েছিল । কিন্তু এই বন্যার বাস্তব কোন প্রমান নেই । সব বিজ্ঞানিরা বলেছে এ বন্যা কাল্পনিক এবং নুহ এর পক্ষে সকল প্রানিকে এক জাহাজে নেওয়া সম্ভব না ।
৫। ইসলামে নানা কাহিনি যেমন ঃ আদম হাওয়া , নুহ এর বন্যা । এসব কাহিনির সাথে সাধারনত প্রাচিন ব্যাবিলনিয় এবং সুমেরিয় মিথ এর সাথে লিঙ্ক পাওয়া যায় । অর্থাৎ বুঝাই যায় ইসলাম সহ সকল আব্রাহামিক ধর্ম ঐ ব্যাবিলনিয় মিথ থেকেই চুরি করা হয়েছে ।
৬। মুসলিমরা জান্নাত জাহান্নামে বিশ্বাস করে যা প্রাচিন পারসিক ধর্ম থেকে চুরি । পারসিক ধর্ম জোড়আস্ট্রিয়ান ধর্মে পুলসিরাত ব্রিজ ও হুর হুরির কথা লেখা আছে । চাইলে zoroastrian version fo afterlife পড়ে নিতে পারেন ।
৭।ইসলাম ধর্মের কুড়ানে নানাবিধ বিজ্ঞানিক ভুল বিদ্যমান । হাদিসেও প্রচুর কাল্পনিক কথার খোজ পাওয়া যায় । নিম্নে ২ লিঙ্কে এসব ভুলের কথা উল্লেখ করা হল ।
কুড়ানের ভুলঃ https://wikiislam.net/wiki/Scientific_Errors_in_the_Quran
হাদিসের ভুল ঃ https://wikiislam.net/wiki/Scientific_Errors_in_the_Hadith
১৬।কাবা শরিফ নাকি আদম তৈরি করেছিল এবং নুহ এর বন্যার পর তা নাকি আব্রাহামের দ্বারা পুনর্নির্মিত হয় । কিন্তু বাস্তবতা হল আদম বলে কেউ ছিলই না । নুহ বলেও কেউই ছিল না কারন নুহ এর বন্যার বিজ্ঞানিক প্রমান নেই । + কাবা ছিল প্রাচিন প্রাক ইসলামিক আরব প্যাগানদের একটি উপাসনালয়স্থল । সেখানে তারা তাদের মূর্তি রেখে দিত । এবং এর মাঝে মুল দেবতা ছিল হুবাল । আবার আল্লা ছিল মুল DEITY । আল্লার মেয়ে ছিল ৩ জন ঃ আল লাত , আল উজ্জা , আল মানাত । অর্থাৎ মুসলিমরা কাবা নিয়ে যে ইতিহাস বলে তা কাল্পনিক + মুহম্মদের পর কাবা অনেকবার আক্রমন ও ধংসের শিকার হয় । কেন আল্লাহ কাবাকে বাচাতে পারে নি ।
উত্তরমুছুন১৭। মুসলিমরা জিব্রাইল , আজ্রাইল নামক কল্পিত জিনিসে বিশ্বাস করে যার অস্তিত্ত নেই । ফেরেস্তা বলে কিছুই নেই । সব কল্পনা এবং প্রাচিন গ্রিক , পারসিক ও খ্রিস্টান মিথ থেকে চুরি ।
১৮। মুসলিমরা মেরাজের কাহিনিতে বিশ্বাস করে ।, বলে মেরাজের রাতে নাকি তাদের নবি মুহম্মদ বুরাক নামক কল্পিত উড়ন্ত পেগাসাস সদৃশ ঘোড়ায় চড়ে জান্নাতে যায় । অথচ গাধা/ ঘোড়া কখনও ফিসিক্স/ বিজ্ঞান / জিব্বিজ্ঞানের নীতি অনুযায়ী ডানা নিয়ে উড়তে পারে না + কেন আল্লাহ বুরাক নামক কল্পিত প্রানি পাঠাবেন ??? কেন সে কি মুহম্মদকে চোখের পলকে জান্নাতে নিতে পারলেন না ?? কারন মেরাজের কাহিনি হল মুহম্মদ / আরবদের বানানো । মেরাজের কাহিনি সম্পূর্ণ ভাবে প্রাচিন পারসিক বই "বুক ওব আরদা এন্ড ভিরাফ" থেকে নেওয়া । + বুরাকের সাথে গ্রিক মিথের পেগাসাসের মিল অনেক ।
১৯ । কাবার কাল পাথর হল একটি সামান্য পাথর । কিন্তু মুসলিমরা কল্পিত গল্প বলে এ পাথর নাকি সাদা ছিল । কিন্তু বাস্তবে সাদা পাথর কখনও কাল হতে পারে না । কিন্তু মুসলিমদের মতে এটা জান্নাতে পাথর । তাহলে এটাই যদি হয় তাহলে কেন এই জান্নাতে পাথর নিজেকে বাচাতে পারে না ??? শিয়ারা একবার এই পাথরকে চুরি করে টুকড়া করেছিল এবং এই পাথরের উপড়ে এক পারসিক মলত্যাগ করেছিল । অর্থাৎ জান্নাতি পাথর যেহেতু নিজেকেই বাচাতে পারে না তার মানে এই পাথরের গল্প কাল্পনিক ।
২০ । মুসলিমরা বিশ্বাস করে চাঁদ নাকি দিখন্ডিত হয়েছিল । অথচ সকল বিজ্ঞানি এবং নাসা বলে চাঁদ কখনই ভেঙ্গে যায় নি । তবে কিছু মুসলিম চাদের মাঝে লুনার রিজ দেখিয়ে বলে এটা নাকি চাঁদ ভাঙ্গার প্রমান । এটা সম্পূর্ণ কাল্পনিক । কারন লুনার রিজ হল খাদের ন্যায় । আমাদের পৃথিবীসহ নানা গ্রহে এমন জিনিস আছে
২১। মুসলিমরা বিশ্বাস করে মানুষ নাকি মাটির তৈরি । অথচ এটা মিথ্যা এবং এই সেম বিশ্বাস প্রাচিন মিশরিয় এবং মেসপটেমিয় সভ্যতারা করত । এটা কাল্পনিক ।
উত্তরমুছুন২২।মুসলিমরা বিশ্বাস করে প্রাচিন আরবদেশে নাকি মেয়েদের জিবন্ত কবর দেওয়া হত । অথচ ইসলাম এর যুগের সব পুরুষের কাহিনিতে দেখা যায় তাদের অনেক স্ত্রি । তাহলে এত নারি কই থেকে এল ??? এসবকি গনিমত ???
২৩।মুসলিমরা অনেক সময় হিন্দু ও বুদ্ধ সহ ক খ্রিস্টানদের বলে যে তাদের ধর্ম ভুয়া কারন তাদের ধর্মের উপাসনালয় কেন তাদের সৃষ্টিকর্তা রক্ষা করতে পারে না ?? কথা হল মুসলিমদের মসজিদি তো আল্লাহ রক্ষা করতে পারেন না । বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে দেয় হিন্দুরা । স্পেনে মসজিদ ভেঙ্গে দেয় স্প্যানিশ খ্রিস্টানরা । আর আরাকানে মসজিদ ভাঙ্গে বুদ্ধরা । তাহলে তাদের এই যুক্তি তারা কিভাবে দেয় । অন্য ধর্মের উপাসনালয় যেমন তাদের সৃষ্টিকর্তা রক্ষা করতে পারেন না তেমনি মুসলিমদের মসজিদও আল্লাহ রক্ষা করতে পারেন না । কারন আল্লাহ কল্পিত চরিত্র ব্যাতিত কিছুই নয় ।
২৪।মুসলিমরা বিশ্বাস করে কাবা পৃথিবীর মাঝে অবস্থিত । যদিও কুড়ান হাদিসে এর কথা নেই । কিন্তু বাস্তবে পৃথিবীর কোন কেন্দ্র নেই কারন পৃথিবী সমতল নয় ।
২৫। মুসলিমরা বিশ্বাস করে বোরকা নামক বাজে ও security hazard পোশাক নাকি ধর্ষণ কমায় । অথচ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ধর্ষণ হয় হল মুসলিম দেশে । এই নিন RAPE SCALE দেখুন http://chartsbin.com/view/38592 ।
২৬। সৌদিতে নারি কর্মী ধর্ষণ + বাংলাদেশের মাদ্রাসায় যে পরিমান ধর্ষণ হয় তা কোথাও হয় না । সুতরাং ইসলাম ধর্ষণ থামায় তা সত্য নয় ।
২৭। বোরকা নামক পোশাক এর কারনে মুসলিম নারিদের দেশে ভিটামিন ডি এর শুন্যতা দেখা দেয় https://pubmed.ncbi.nlm.nih.gov/27651580/
২৮।কেন মুসলিমরা হিন্দুদের মুরতিপুজারি বলে অথচ তাদের নামাজ , তাদের কাল পাথরে চুমু খাওয়া , তাদের সেজদা সব প্রাক ইসলামিক প্যাগানদের কাছ থেকে চুরি ।
২৯। মুসলিমদের মাঝে শিয়া , সুন্নি ভাগ কেন ??? কে সত্য ??? আর কে জান্নাতে যাবে ???
৩০। মুসলিমদের মাঝে সুন্নিদের মাঝে হানাফি , বারলেভি , হানবালি , সালাফি , ওহাবি , আহলে হাদিস , কুড়ানিস্ট , শিয়া , আলআইট নামক নানা ভেদ আছে । কোনটা সত্য ??? আর কে জান্নাতে যাবে আর কে আল্লাহর কাছে ঠিক ??? আর সুন্নিরা বর্তমানে শিয়াদের কাছে যুদ্ধে হারছে কেন ???
হিন্দুরা কঠিন মিথ্যাবাদী। ওদের নিজ ধর্ম গ্রন্থ থেকে চোখের সামনে দেখালেও বিশ্বাস করেনা!!
উত্তরমুছুনকিছু নমঃশুদ্রের কমেন্ট দেখলাম, প্রচুর বিনোদন, হিন্দু মানেই কপিপেস্ট হিন্দু, হিন্দু মানেই মূর্খ 😆
উত্তরমুছুনOpen Challage, come live with me
E-mail: support@frommuslims.com
প্রসঙ্গ : হিন্দুধর্মের তথাকথিত হুর !
উত্তরমুছুননানা জনের নানা প্রশ্নের জবাব দিতে বা নানা জনের প্রশ্নের ক্ষুধা মেটাতে আমি প্রায়ই পোস্ট লিখি ব'লে, অনেকেই আমাকে জানিয়েছে, মুসলমানদেরকে হুরের কথা বললেই, তারা কাউন্টার হিসেবে হিন্দুধর্মের হুরের কথা বলে, আমি যেন এর জবাবে একটি পোস্ট লিখি; আমার পাঠক বন্ধুদের সেই দাবী আজ পূরণ করলাম।
মুসলমানদের একটি স্বভাব হলো- আপনি যদি কোরান হাদিস থেকে কোনো ইসলামিক কেলেঙ্কারী তুলে ধরেন, তারা সেটার কোনো যুক্তিযুক্ত জবাব না দিয়ে, ডাইরেক্ট আপনাকে আপনার ধর্ম থেকে যেকোনো একটি বিষয় তুলে ধরে এ্যাটাক করবে, কাউন্টার জবাবটি অপ্রাসঙ্গিক হলেও, সেই বিষয়ের সত্যতা খুঁজতে গিয়ে আপনি দেখবেন, হয় বাস্তবে যার অস্তিত্বই নেই, অথবা যেভাবে আছে, মুসলমানরা সেটাকে উল্লেখ করেছে অন্যভাবে, এরকম বহু অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি; তাই আমার ফাইনাল সিদ্ধান্ত, মুসলমানরা যা বলবে- সেটা হান্ড্রেড পার্সেন্ট মিথ্যা, আর যদি তাতে কোনো সত্য থাকেও, সেটার পরিমান ১০% এর বেশি নয়; এই ১০% সত্যের সাথে ৯০% মিথ্যা মিশিয়ে তারা সেটাকে উপস্থাপন বা বাজার জাত করে।
বর্তমানে কিছু মুসলমানের মধ্যে আরেকটি প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কোরান হাদিসের কোন একটি বিষয় তুলে ধরলেই, তারা সে বিষয়ে কোনো কথা না ব'লে বলবে, এই বিষয়ে জাকির নায়েকের সাথে অমুক অমুক অমুক অমুকের বিতর্ক হয়েছে, তারা পরাজিত হয়েছে, এর পর কেউ বলবে- "হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল", এরপর কেউ বলবে, " হিন্দু মালু, তুই ইসলামের কী বুঝিস? আইছে কোরানের ভুল ধরতে" ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি। কোরান হাদিসের প্রকৃত সত্য তুলে ধরে আপনি যখন ইসলামের কদর্য দিক তুলে ধরবেন, তখন মুসলমানদের জবাব হবে ঠিক এরকম। কিন্তু আসল কথায় ওরা কখনো হাত দেবে না, এই রকমই একটি প্রসঙ্গ হলো ইসলামের হুর, যার কথা তুললেই তারা সে সম্পর্কে কোনো কথা না বলে, বলবে, হিন্দুধর্মেও হুরের কথা বলা আছে, সুতরাং সেটা নিয়ে এত কান্নাকাটি কেনো ? মানে হচ্ছে- আমি লুচ্চা হলে, আমার মতে আপনিও লুচ্চা, তো আমার লুচ্চামি নিয়ে আপনার এত সমস্যা কেনো ? কিন্তু আপনি বললেই তো আমি আর লুচ্চা হয়ে যাবো না, আর আপনার লুচ্চামি নিয়ে আমি কথা বলবো; কারণ, আপনার লুচ্চামি মার্কা বিশ্বাস, সমাজের জন্য ক্ষতির কারণ, তাই সেটা নিয়ে কথা বলার অধিকার শুধু আমার নয়, সবারই আছে।
আরেকটা বিষয়- ইসলামের কোনো নোংরা ব্যাপার নিয়ে কথা বললেই, তারা সেটাকে ডিফেন্ড করার জন্য, অন্যান্য ধর্মে সেই বিষয়ে কী আছে, সেটার উদাহরণ তুলে ধরবে; যেমন বাংলাদেশে বিএনপির দুঃশাসন (২০০১-২০০৭) নিয়ে কোনো কথা বললেই সেই সময়ের বিএনপির এমপিরা তুলে ধরতো সেই বিষয়ে অতীতে কোন সরকারের আমলে কী ঘটেছে, সেগুলো। আরে বাবা, বুঝলাম অতীতের সরকারের কাজ খারাপ ছিলো, তাই তাদের পতন হয়েছে এবং জনগণ ভোট দিয়ে আপনাদেরকে ক্ষমতায় এনেছে সুশাসন পাবে বলে। আপনারাও সেই একই ঘটনা ঘটাচ্ছেন, আর সেই কথা বললেই, বলছেন, অতীতের সরকারের সময়ও এমন হয়েছে, তাহলে লোকজন আপনাদেরকে ক্ষমতায় এনেছে কেনো ?
মুসলমানদেরকে বলছি- একই ভাবে আপনারা, নিজেদেরকে আধুনিক ধর্মের লোক মনে করেন, আপনাদের বিধি বিধান হবে প্রাচীনধর্মগুলোর চেয়ে সবদিক থেকে ভালো এবং মানবিক। আপনারা নিজেদেরকে প্রাচীন ধর্মের সাথে তুলনা করবেন কেনো ? প্রাচীন ধর্মে কিছু ভুল ত্রুটি থাকতে পারে, (যদিও তা বাস্তবে নেই) কিন্তু আপনারা তো আধুনিক, আপনাদের ধর্মে সেই সব ভুল ত্রুটি থাকবে কেনো ? কোনো মহিলা যদি প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স করে দ্বিতীয় স্বামী গ্রহণ করে, সেটা সে করবে আগের জনের- অত্যাচার, নির্যাতন এবং তার প্রতি অবহেলার ফলে; দ্বিতীয় জনও যদি সেই একই কাজ করে, আর তার স্ত্রী যদি তাকে সেসব অত্যাচার নির্যাতনের কথা বলে, তাহলে দ্বিতীয় স্বামী কি তাকে আগের জনের অত্যাচার নির্যাতনের উদাহরণ দেবে ? তাহলে ঐ মহিলা, প্রথমজনকে ছেড়ে দ্বিতীয় জনের কাছে এসেছিলো কেনো ?
উত্তরমুছুনউপরের এই উদহারণটি দিলাম, জাস্ট উদাহরণ দেওয়ার জন্য, মুসলমানদের মনোভাবের প্রতিবাদ করতে গিয়ে। বাস্তবে পাদের দুর্গন্ধ যেমন লুকানো যায় না, তেমনি ইসলামের নোংরা দুর্গন্ধকেও মুসলমানরা কিছুতেই ঢেকে রাখতে পারবে না, যতই তারা অন্য ধর্মের উদাহরণ টেনে নিজেদের নোংরামিকে আড়াল করার চেষ্টা করুক না কেনো ?
যা হোক, মূল প্রসঙ্গে ফিরে আসি, সেটা হলো- হিন্দুধর্মে হুর।
মুসলমানরা হিন্দুধর্মের হুরের কথা বলতে গিয়ে বেদের একটি মন্ত্র, মহাভারতের কয়েকটি শ্লোক এবং ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণের কিছু শ্লোকের রেফারেন্স দিয়েছে।
মহাভারতের যে রেফারেন্স দিয়েছে, সেটা কোনো এক অখ্যাত অনুবাদক কিশোরীমোহন গাঙ্গুলির, যার নাম মহাভারতের অনুবাদক হিসেবে ইতোপূর্বে আমি শুনিনি। কিন্তু বর্তমানে মহাভারতের বাংলা গদ্য অনুবাদক হিসেবে রাজশেখর বসুর নাম মোটামুটি ভাবে পরিচিত, রাজশেখর বসু মহাভারতের শ্লোক টু শ্লোকের অনুবাদ করেন নি, তিনি সারানুবাদ করেছেন, এর মানে হলো মহাভারতের সকল ঘটনার বর্ণনা তিনি গদ্যে সংক্ষেপে বলেছেন, কিন্তু তার অনুবাদের কোথাও মুসলমানরা মহাভারত থেকে যেসব রেফারেন্স দিয়েছে; যেমন- অনুশাসন পর্ব- ১৩/৭৩, ১৩/১০৬; বন পর্ব- ৩/৪২; শান্তি পর্ব- ১২/৯৮ এর কোথাও হুর বা অপসরা সম্পর্কে সেরকম কোনো কথাই বলা নেই; আর মুসলমানরাও তো সংস্কৃত মহাভারত থেকে কোনো শ্লোক তুলে দিয়ে প্রমাণ করতে পারে নি যে ঐ শ্লোকগুলোতে আসলেই হুর বা অপসরা সম্পর্কে কিছু বলা আছে। তারা শ্লোকের রেফারেন্স দিয়েছে, আর ইংরেজি গদ্য অনুবাদের স্ন্যাপশট দিয়েছে, এটা কি রেফারেন্স দেওয়ার কোনো সিস্টেম ?
মুসলমানদের উদ্দেশ্যে বলছি- বাংলায় রাজশেখর বসুর গদ্য অনুবাদের মহাভারত আছে, সেখান থেকে রেফারেন্স দিয়ে প্রমাণ করে দেখা যে মহাভারতে হুর বা অপসরার কথা বলা আছে, যাদেরকে স্বর্গবাসীরা লাভ করবে। এখানে শ্লোকের রেফারেন্স দিতে হবে না, শুধু পর্বের নাম উল্লেখ করে স্ন্যাপ দিবি, তাতেই হবে, আর যদি পারিস তো মূল সংস্কৃত মহাভারত থেকে শ্লোক তুলে দিয়ে রেফারেন্স দিবি, দেখি তোদের সত্যের জোর কত ?
উত্তরমুছুনমহাভারতের পর মুসলমানদের রেফারেন্স হলো- ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ, এই পুরাণে শ্রীকৃষ্ণকে লম্পট হিসেবে উপস্থাপন করায় বহু আগে থেকেই এই পুরাণকে আমি হিন্দুধর্মীয় গ্রন্থাবলী থেকে বাদ দিয়েছি, আমি এটাকে বেদব্যাস রচিত গ্রন্থ ব'লে স্বীকারই করি না, তাই এটা থেকে রেফারেন্স দিয়ে কোনো লাভ নেই; কারণ, যে পুরাণ শ্রীকৃষ্ণকে লম্পট বানিয়েছে, সেই পুরাণ যে কৃষ্ণভক্তদেরকে লম্পট হিসেবে উপস্থাপন করবে, তাতে আর সন্দেহ কি, তাই ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণের মতো, এর রেফারেন্সও আমার কাছে বলদের গু।
এরপর আসা যাক বেদের রেফারেন্সে-
হিন্দুধর্মে হুর প্রমাণ করতে মুসলমানরা রেফারেন্স দিয়েছে অথর্ববেদের ৪/৩৪/২ নং মন্ত্রের একটি শ্লোকের। কিন্তু অথর্ববেদ, বেদ হিসেবে প্রচার বা পরিচিতি পেলেও এটা আসলে বেদই নয়। বেদ তিনটি- যথা ঋক, সাম ও যজুঃ, যেটা শ্রীকৃষ্ণ গীতায় বলেছেন। এছাড়াও ত্রয়ী নামে সনাতন ধর্মে একটি টার্ম আছে, এর দ্বারাও তিনটি বেদকেই বোঝায়। বিষয়বস্তুর দিক থেকেও অথর্ববেদ, বেদের পর্যায়ে পড়ে না; কারণ- ঋক, সাম ও যজুর্বেদে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে স্তব-স্তুতি এবং ঈশ্বরের মাহাত্ম্য বিষয়ক বিষয় বর্ণিত হলেও অথর্ববেদের বিষয় হলো সম্পূর্ণ ব্যবহারিক; যেমন- চিকিৎসা বিদ্যা, তন্ত্র বিদ্যা, বাস্তু ও জ্যোতিষ এবং এই ধরণের প্র্যাকটিক্যাল বিষয়গুলো। যেহেতু এটা ঋষিদেরই রচনা এবং ঋষিগণ কর্তৃক রচিত অপর তিন বেদের সাথে সাথে, এটাও বেদব্যাসের হাতেই সংকলিত হয়েছে, সেহেতু এটা বেদ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে গেছে এবং অপর তিন বেদের সাথে এটাও যুক্ত হয়ে চার বেদ, এটা প্রচার হয়ে গেছে। এসব কারণেই অথর্ববেদের কোনো রেফারেন্সকে বেদের কথা বলে চালানোর কোনো সুযোগ নেই। তাই সনাতন ধর্মে যে হুরের ব্যাপার, সেটা মুসলমানদের শুধুই কষ্ট কল্পনা এবং তাদের বৃথা পরিশ্রম। আর যারা নিজেদের দিকে উঠা অভিযোগের যুক্তিযুক্ত জবাব না দিয়ে অযথা বা যথা অন্যের দিকে আঙ্গুল তুলে, তাদের পরিশ্রম তো বৃথাই হয়।
যা হোক, অথর্ববেদ যেহেতু বেদ হিসেবে প্রচারিত এবং এই অভিযোগটা যেহেতু অথর্ববেদের দিকেই, সেহেতু দেখা যাক, এটা অথর্ববেদের মধ্যে কোনো উদ্দেশ্য সাধনের জন্য প্রক্ষিপ্ত হতে পারে কি না ?
অথর্ববেদের ৩৪/৪ সূক্তের প্রথম চারটি মন্ত্র তুলে দিচ্ছি, এখান থেকে আপনারা বিষয়টি বুঝতে পারবেন।
উত্তরমুছুন"ব্রহ্মশব্দ- বাচ্য রথন্তর সাম এ ওদনের মস্তক, বৃহতসাম এ ওদনের পৃষ্ঠভাগ, বামদ্যে সাম এর উদর, গায়ত্রাদি ছন্দগুলি এর দুটি পক্ষ, সত্য নামক সাম হচ্ছে এর মুখ, বিস্তৃত অবয়ব বিশিষ্ট এ সবযজ্ঞ যজ্ঞ দানাদি অন্য তপস্যা অপেক্ষা আধিক্যরূপে উতপন্ন হয়েছে।" (১)
"অস্থি প্রভৃতি ষাট কৌশিক শরীর এদের নেই। অর্থাত অমৃতময় শরীর, অতএব অন্তরিক সঞ্চারি বায়ুর দ্বারা পবিত্রীকৃত, নির্মল, দীপ্যমান সবযজ্ঞের কর্তারা দেহবসানে দীপ্যমান জ্যোতির্ময় লোক প্রাপ্ত হয় স্বর্গলোকে অবস্থিত এদের ভোগসাধন শিশ্ন ইন্দ্রিয় জাতবেদা অগ্নি দগ্ধ করে না অর্থাত নিবীর্য করে না। সুকৃতফলোপভোগ স্থানে এ সুকৃতিদের ভোগের জন্য বহু স্ত্রী আছে।" (২)
"বিস্তৃত ওদন পাক করে যে যজমানরা ব্রাহ্মণদের দেয়, এ যজমানদের কখনো দারিদ্র স্পর্শ করে না। সে সব যজ্ঞের অনুষ্ঠাতা দেহবসানে পিতৃগণের অধিপতি যমের কাছে পূজিত হয়ে সুখে বাস করে এবং তার অনুজ্ঞাত হয়ে দেবতাদের কাছে যায়। সেরূপ সোমপাল বিশ্বাবসু প্রভৃতি গন্ধর্বদের সাথে অমৃতময় সোমপানে হৃষ্ট হয়।" (৩)
" যারা ওদন পাক করে ব্রাহ্মণদের দেয়, সে সবযজ্ঞের অনুষ্ঠাতাদের যম কখনো রেতোহীন করে না। সে সব যজ্ঞের অনুষ্ঠাতা ভূলোকে যাবজ্জীবন রথারূঢ হয়ে সঞ্চরণ করে। অন্তরিক্ষলোকে পক্ষযুক্ত হয়ে সে সে ভোগস্থানে ভোগ লাভ করে।" (৪)
এখন এই চারটি মন্ত্রের মধ্যে থেকে ২ নং মন্ত্রটি তুলে দিয়ে বাকি তিনটি মন্ত্রকে এক সাথে পড়ুন, দেখুন কাহিনী ঠিক মিলে যাবে, তিনটি মন্ত্র পড়ুন নিচে-
"ব্রহ্মশব্দ- বাচ্য রথন্তর সাম এ ওদনের মস্তক, বৃহতসাম এ ওদনের পৃষ্ঠভাগ, বামদ্যে সাম এর উদর, গায়ত্রাদি ছন্দগুলি এর দুটি পক্ষ, সত্য নামক সাম হচ্ছে এর মুখ, বিস্তৃত অবয়ব বিশিষ্ট এ সবযজ্ঞ যজ্ঞ দানাদি অন্য তপস্যা অপেক্ষা আধিক্যরূপে উতপন্ন হয়েছে।" (১)
"বিস্তৃত ওদন পাক করে যে যজমানরা ব্রাহ্মণদের দেয়, এ যজমানদের কখনো দারিদ্র স্পর্শ করে না। সে সব যজ্ঞের অনুষ্ঠাতা দেহবসানে পিতৃগণের অধিপতি যমের কাছে পূজিত হয়ে সুখে বাস করে এবং তার অনুজ্ঞাত হয়ে দেবতাদের কাছে যায়। সেরূপ সোমপাল বিশ্বাবসু প্রভৃতি গন্ধর্বদের সাথে অমৃতময় সোমপানে হৃষ্ট হয়।" (৩)
" যারা ওদন পাক করে ব্রাহ্মণদের দেয়, সে সবযজ্ঞের অনুষ্ঠাতাদের যম কখনো রেতোহীন করে না। সে সব যজ্ঞের অনুষ্ঠাতা ভূলোকে যাবজ্জীবন রথারূঢ হয়ে সঞ্চরণ করে। অন্তরিক্ষলোকে পক্ষযুক্ত হয়ে সে সে ভোগস্থানে ভোগ লাভ করে।" (৪)
এখানে খেয়াল করুন, ২ নং মন্ত্র তুলে দেওয়ার পরও কাহিনী বুঝতে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। তার মানে ২ নং মন্ত্রটি পরে কেউ কোনো উদ্দেশ্যসাধনে এখানে বসিয়ে দিয়েছে, যেহেতু ৪ নং মন্ত্রে আছে, "যজ্ঞের অনুষ্ঠাতাদের যম কখনো রেতোহীন করে না।… অন্তরিক্ষলোকে পক্ষযুক্ত হয়ে সে সে ভোগস্থানে ভোগ লাভ করে।" এর উপর ভিত্তি করে তারা মন্ত্র বানিয়েছে-
উত্তরমুছুন"অস্থি প্রভৃতি ষাট কৌশিক শরীর এদের নেই। অর্থাত অমৃতময় শরীর, অতএব অন্তরিক সঞ্চারি বায়ুর দ্বারা পবিত্রীকৃত, নির্মল, দীপ্যমান সবযজ্ঞের কর্তারা দেহবসানে দীপ্যমান জ্যোতির্ময় লোক প্রাপ্ত হয়। স্বর্গলোকে অবস্থিত এদের ভোগসাধন শিশ্ন ইন্দ্রিয় জাতবেদা অগ্নি দগ্ধ করে না অর্থাত নিবীর্য করে না। সুকৃতফলোপভোগ স্থানে এ সুকৃতিদের ভোগের জন্য বহু স্ত্রী আছে।"- (৩৪/৪/২)
এবার দেখুন ৩৪/৪/২ নং মন্ত্রে কী কী অসঙ্গতি আছে।
শুরুতেই বলা আছে- "অস্থি প্রভৃতি ষাট কৌশিক শরীর এদের নেই।" অর্থাত এই মন্ত্র মতে- স্বর্গবাসীদের কোনো শরীরই নেই; তাহলে স্বর্গলোকে- অগ্নি, স্বর্গবাসীদের শরীর, তাদের শিশ্ন অর্থাত লিঙ্গ ব্যতিরেকে দগ্ধ করবে কিভাবে ?
যেহেতু ৩৪/৪/৪ নং মন্ত্রে বলা আছে- 'অন্তরিক্ষলোকে পক্ষযুক্ত হয়ে সে সে ভোগস্থানে ভোগ লাভ করে।"
স্বর্গ যেহেতু সুখভোগের স্থান, সেহেতু এই কথা বলা হয়েছে, এটার উপর ভিত্তি করে ঐ প্রক্ষিপ্ত মন্ত্রে বলা হয়েছে, সুকৃতফলোপভোগ স্থানে এ সুকৃতিদের ভোগের জন্য বহু স্ত্রী আছে।"
অর্থাত মূলে যেখানে আছে- সুখ ভোগের ব্যাপার, সেখানে প্রক্ষিপ্ত মন্ত্রে করা হয়েছে বহু স্ত্রী ভোগ এবং এটার উপর ভিত্তি করেই মুসলমানরা বলে বেড়াচ্ছে যে- হিন্দুরাও স্বর্গে গেলে হাজার হাজার স্ত্রী পাবে, সুতরাং মুসলমানদের হুর প্রাপ্তি নিয়ে তাদের এত কান্নাকাটি কেনো ?
অর্থাত মুসলমানদের বক্তব্য হচ্ছে- মুসলমানরা যদি হুর নিয়ে লম্পট হয়, তাহলে হিন্দুরাও বহু স্ত্রী নিয়ে লম্পট, সুতরাং সমানে সমান। কিন্তু আমি উপরেই আলোচনা করেছি যে- আধুনিক দাবীকারী কেউ, প্রাচীনের সাথে নিজেকে তুলনা করতে পারে না।
এবার আলোচনার সারসংক্ষেপে আসা যাক-
উত্তরমুছুনমুসলমানরা, হিন্দুধর্মে হুর প্রসঙ্গে যেসব রেফারেন্স দিয়েছে, তার মধ্যে প্রথমত মহাভারতের সকল রেফারেন্স মিথ্যা। দ্বিতীয়ত ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণের রেফারেন্স গ্রহনযোগ্য নয়, যেহেতু এই পুরাণে শ্রীকৃষ্ণকে লম্পট হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে; কারণ, এমন একটি পুরাণ বেদব্যাসের হাতে রচিত হতেই পারে না। তৃতীয়ত- অথর্ববেদ বেদই নয় এবং বেদ হিসেবে পরিচিত হয়ে গেছে ব'লে এই বেদকে বেদ হিসেবে স্বীকার করে নিলেও যে মন্ত্রে বহু স্ত্রীর কথা বলা হয়েছে, সেই মন্ত্রটি প্রক্ষিপ্ত এবং সেই প্রক্ষিপ্ত মন্ত্রের মধ্যেও আছে নানা অসঙ্গতি, যেহেতু মন্ত্রের শুরুতেই বলা হয়েছে- স্বর্গবাসীদের কোনো স্থূল শরীর নেই, সেহেতু সেই স্থূল শরীরকে পোড়ানো এবং সেই পোড়ানোর সময় ভোগ সাধন লিঙ্গকে বাঁচিয়ে রাখা একটি অবাস্তব ব্যাপার। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে- কারো দেহই যদি না থাকে, তাহলে শুধু লিঙ্গ দিয়ে সে কিভাবে দৈহিক সুখ ভোগ করবে ?
এই সব বিচারে একথা স্পষ্ট করে বলা যায় যে- হিন্দুধর্মে হুর আসলে মুসলমানদের একটি কষ্ট কল্পনা মাত্র।
এর বিপরীতে ইসলামে হুরের ব্যাপারটি যে কতটা স্পষ্ট এবং তা কতটা লাম্পট্য চিন্তায় ভরা, দেখুন নিচে-
বেহেশতি পুরুষদের প্রাপ্ত হুরের সংখ্যা সম্পর্কে বলা হয়েছে কমপক্ষে ৭২ জন এবং বেশিপক্ষে ১২,৫৭২ জন। এই হুরেরা সবাই হবে ১৬ বছর বয়স্কা। তাদের স্তন হবে খাড়া, যা কখনোই ঝুলে পড়বে না। তাদের চোখ হবে সুন্দর, তারা সব সময় থাকবে ন্যাংটা। পায়খানা প্রস্রাব, ঋতুস্রাব, সর্দি কাশির মতো কোনো নোংরা বিষয় তাদের থাকবে না। তারা হবে সাদা রং এর। তাদের দেহের ভেতর দিয়ে এপার ওপার সব দেখা যাবে। (কোরান ৫২/১৭-২০, ৭৮/৩১-৩৬, তিরমিজি –অধ্যায় ২ )
এই ধরণের হুর এবং এতগুলো হুরের সাথে সেক্স করার জন্য প্রত্যেক বেহেশতি পুরুষ পাবে ১০০ জন পুরুষের যৌনশক্তি (তিরমিজী, অধ্যায় ২, পৃষ্ঠা-১৩৮)| আর তাদের একজন হুরের সাথে একবারের সেক্সের এর সময়ের দৈর্ঘ হবে ঐ পুরুষ পৃথিবীতে যত দিন বেঁচে ছিলো ততদিন; অর্থাৎ তার পৃথিবীর জীবন ৬০ বছর হলে ৬০; ৭০ বছর হলে ৭০ বছর। এছাড়াও কোনো পুরুষের লিঙ্গ কখনো নিস্তেজ বা দুর্বল হয়ে পড়বে না, সব সময় শক্ত বা খাড়া হয়ে থাকবে | ( হাদিস নং ৪৩৩৭, ইবনে মাজাহ, ভলিউম-৫, পৃষ্ঠা-৫৪৭)
এ থেকে স্পষ্ট যে বেহেশতি পুরুষদের কখনো বীর্যপাত হবে না। তাহলে এখানে প্রশ্ন হচ্ছে, বীর্যপাত ই যদি না হয়, তাহলে সেক্স করার মজাটা কী ?
এছাড়াও বেহেশতে থাকবে চিরকিশোর তরুন, যাদের বলে গেলমান। এরা বেহেশতি পুরুষদের সবরকম খেদমতে নিয়োজিত থাকবে। হুরের সাথে সেক্স করে যদি কোনো পুরুষ একঘেঁয়েমিতে ভুগে, তখন তারা গেলমানদের সাথে সমকাম করে রুচি চেঞ্জ করতে পারবে। (কোরান - ৭৬/১৯)
বেহেশতে যাওয়ার পরপরই মুসলিম পুরুষরা যেসব হুর গেলমান পাবে, তা তাদের জন্য অনন্ত কালের জন্য নির্দিষ্ট। কিন্তু তাতেও যদি মুসলমানদের একঘেঁয়েমি এসে যায়, তখন সেই এক ঘেঁয়েমি কাটাতে বেহেশতে আছে হুরদের বাজার। এই বাজারে গিয়ে যে কোনো হুরকে পছন্দ হওয়া মাত্র মুসলমানরা সেখানেই তার সাথে সেক্স করা শুরু করতে পারবে (সহি হাদিস, অধ্যায় ৪, পৃষ্ঠা-১৭২, নং ৩৪)। এছাড়াও বেহেশতে খাবার দাবারের মধ্যে আছে- মদের নদী, দুধের ঝরণা, শীতল জলের ঝরণা ইত্যাদি ইত্যাদি, সেগুলোর বর্ণনা দিয়ে লেখার পরিধি আর বাড়ালাম না।
মুসলমানদের ইসলাম পালনের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো- আল্লার পতিতালয় বেহেশতে গিয়ে অগুনতি হুর নিয়ে সব সময় অনন্তকাল ধরে দোচাদুচিতে মেতে থাকা। এইরকম লাম্পট্যভরা চিন্তা নিয়ে যারা ধর্মপালন করে, তাদের মন-মানসিকতা আর কত উন্নত হবে ? তারা নিজেরা যেমন লম্পট, তারা তো চাইবেই হিন্দুদেরকেও লম্পট বানাতে; তাই- মহাভারত, পুরাণ ও বেদে হুর খুঁজে বেড়াচ্ছে।
জয় হিন্দ।
-----------------------------
উপরে যেসব রেফারেন্স দিয়েছি, আমার সেই বর্ণনায় কারো যদি সন্দেহ থাকে, নিচে হাদিস কোরানের সেই বাণীগুলো তারা দেখে নিতে পারেন-
উত্তরমুছুনকোরান - ৭৬/১৯ :
"তাদের সেবাকার্যে এমন সব বালক ব্যস্ত সমস্ত হয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে থাকবে যারা চিরকালই বালক থাকবে। তোমরা তাদেরকে দেখলে মনে করবে, এরা যেন ছড়ানো মুক্তা।"
কোরান, ৫২/১৭-২০:
"মুমিনগণ থাকবে সুখময় জান্নাতে, যেখানে আনন্দ-উল্লাস করে বেড়াবে আল্লাহ দানে... তাদের বলা হবেঃ তোমাদের কৃতকর্মের জন্য খাও-দাও, ফূর্তি করো, এবং তারা সারি-বাধা সিংহাসনে হেলান দিয়ে বসবে এবং আমরা (আল্লাহ) তাদেরকে যৌন-উন্মাদক চোখওয়ালা পরম সুন্দরী হুরদের তাদের সঙ্গী বানাব।"
তিরমিজী, অধ্যায় ২, পৃষ্ঠা-১৩৮:
"তারা যখন বেহেশতে প্রবেশ করবে তখন তাদের বয়স হবে ৩০ বৎসরের যুবকের ন্যায় এবং তাদের বয়সে আর কোন পরিবর্তন হবে না; আর প্রত্যেক বেহেশ্তবাসীকে ১০০টি শক্তিশালী পুরূষের সমান যৌনশক্তি দান করা হবে।"
সহি বুখারি , অধ্যায় ৪, পৃষ্ঠা-১৭২, নং ৩৪:
হযরত আলী (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, “নবী (সঃ) বলেছেন যে বেহেশতে একটি মস্তবড় খোলা বাজার থাকবে, যেখানে কোন কেনা-বেচা হবে না। সেখানে শুধুই থাকবে অতি-সুন্দরী উন্নত-বক্ষা হুরীগঙ, যারা ফলের দোকানের ন্যায় সেজে-গুজে বসে থাকবে বেহেশতবাসীদেরকে আকর্ষণ করার জন্য। বেহেশতবাসীদের পছন্দ হলেই তৎক্ষণাৎ তারা সে হুরীর সঙ্গে যৌন কাজ শুরু করে দেবে ঠিক সেখানেই”।
তিরমিজি, অধ্যায় ২,
"একজন হুরী অনিন্দ্য সুন্দরী যুবতী, যার শরীর হবে আয়নার মত স্বচ্ছ বা মসৃন। তার পায়ের হাড়ের ভেতরের মজ্জা দেখতে পাওয়া যাবে যেন মনি-মুক্তার ভেতরে রেখার ন্যায়। তাকে মনে হবে একটি সাদা গ্লাসে রাখা লাল মদের ন্যায়। সে হবে সাদা রং-এর দুধে আলতা মিশানো, এবং তার কখনো হায়েজ (মাসিক বা menstruation), প্রস্রাব, পায়খানা, গর্ভবতী হওয়া ইত্যাদি কিছুই হবে না। হুর হবে অল্প-বয়স্কা, যার বক্ষ-যুগল হবে বড় বড় ও গোলাকার, যা কখনোই ঝুলে পড়বে না; সব সময় তীরের ন্যায় চোকা থাকবে। এসব হুরীগণ থাকবেন এক অতি উজ্জ্বল এবং জৌলুসপূর্ণ জায়গায়।"
নবী করিম (সঃ) আরও বলেছেন যে-
উত্তরমুছুন‘‘বেহেশতবাসীরা ১০০জন শক্তিশালী পুরুষের সমান যৌন-শক্তি লাভ করবে। বেহেশতের প্রত্যেক বাসিন্দা পাবে ৫০০ শত হুরী, ৪,০০০ অবিবাহিত যুবতী মেয়ে ও ৮,০০০ যুবতী বিধবা মেয়ে। এরা প্রত্যেকে একজন (প্রতিটি) বেহেশতবাসী জিহাদীকে ক্রমান্বয়ে একে একে আলিঙ্গনাবদ্ধ করে রাখবে যার, স্থায়ীত্ব একজন বেহেশতবাসীর পার্থিব সারা জীবনের সময়ের সমান হবে।’’- (হাদিস নং ৪৩৩৭ ইব নে মাজাহ, ভলিউম-৫, পৃষ্ঠা-৫৪৭)
ইসলামের মহা পন্ডিত ইমাম গাজ্জালীর “Ihya Uloom Ed-Din”, পৃষ্ঠা ৪.৪৩১ #
"তারা হবে দাড়ীহীন, এবং শরীরে কোন লোম থাকবে না। তাদের বয়স হবে ৩৩ বৎসর (কখনো বয়স বাড়বে না) এবং তারা হবে ৬০ ফুট লম্বা ও ৭ ফুট চওড়া।"
আবু ওমামা (রাঃ) বলেছেন যে আল্লাহর রসুল (দঃ) বলেছেন,
“আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বেহেশতে স্থান দিবেন এবং প্রতিটি বেহেশতবাসীকে বিবাহ দিবেন ৭২টি অনিন্দ্য সুন্দরী রমণীর সঙ্গে; যাদের মধ্যে দুইজন হবে চিরকুমারি (virgin) আয়োতলোচনা এবং বড়-বড় চোখওয়ালা হুরী, এবং বাকী ৭০জন হবে উত্তরাধিকার, যা সে লাভ করবে দোজখবাসীদের হিস্যা থেকে বা গনীমতের মাল থেকে। প্রত্যেকটি সুন্দরী রমণী বা কন্যার থাকবে খুব সুখদায়ক যৌনাঙ্গ (pleasant vagina) এবং বেহেশতি পুরুষের যৌনাঙ্গ (penis) সর্বদাই শক্ত ও খাড়া হয়ে থাকবে (Permanent erection), কখনো বাঁকা হবে না যৌনতার সময়। অর্থাৎ মূলত পুরুষাঙ্গটি সবসময়ই হুরীদের যোনির ভেতরে প্রবিষ্ট থাকবে পালাক্রমে একের পর এক প্রায় ৭০ বৎসর ধরে।" - (হাদিস নং ৪৩৩৭ ইবনে মাজাহ, ভলিউম-৫, পৃষ্ঠা-৫৪৭)
আবু উমামা কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল বলেছেন,
"আল্লাহ যাদের জান্নাতে প্রেরণ করবেন, তাদের প্রত্যেককে ৭২ খানা স্ত্রীর সহিত বিবাহ দেয়া হইবে; যার দুইখানা হুরি এবং বাকি সত্তরখানা হবে জাহান্নামবাসীদের সম্পত্তির। তাদের সকলের থাকবে কামুক যৌনাঙ্গ এবং তার লিঙ্গ থাকবে অনন্তকাল উত্থিত।" -[সুনান ইবনে মাজা, যুহ্দ (Book of Abstinence) ৩৯]
দারাজ ইবনে আবি হাতিম কর্তৃক উল্লেখিত, আবু সাইদ আল-খুদরির নিকট হইতে প্রাপ্ত, আবু আল-হায়থাম’আবদুল্লাহ ইবনে ওহাব কর্তৃক বর্ণিত, যিনি শুনেছেন, নবী (সঃ) বলেছেন,
"জান্নাতের সবচে ছোট পুরস্কার হবে একটি প্রাকৃতিক ঘর, যেখানে আট হাজার ভৃত্য এবং ৭২ খানা হুরি থাকবে, যার গম্বুজ থাকবে মুক্তো, পান্না ও চুনী দ্বারা সজ্জিত, এবং যা প্রশ্বস্ত হবে আল-জাবিয়াহ থেকে সানার মধ্যকার দুরত্বের সমান।"- [আল-তিরমিজি, ভল্যুম ৪, চ্যাপ্টার ২১, নাম্বার ২৬৮৭]
"একজন হুরির সাথে প্রতিবার শয্যাগ্রহনকালে আমরা তাকে কুমারী হিসেবে পাব। তাছাড়া জান্নাতিদের লিঙ্গ কখনো নমনীয় হবে না। এই লিঙ্গোত্থান হবে অনন্তকালের জন্য; প্রতিবার তোমরা যে আনন্দ উপভোগ করবে, তা হবে পরম তৃপ্তিদায়ক যা এই দুনিয়ার কেউ পায় নি, এবং তোমরা যদি সেই পুলক দুনিয়াতে থেকে লাভ করতে তাহলে অজ্ঞান হয়ে যেতে। নির্বাচিত প্রতিটি মুসলিম বান্দা তাদের পৃথিবীর স্ত্রীদের ছাড়া আরও ৭০ খানা হুরির সহিত বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হইবে, এবং তাদের সকলের থাকবে অত্যন্ত কামুক যোনী।"- [আল-ইতকান ফি উলুম আল-কুরান, পৃঃ ৩৫১]